আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৩৫
সূরা নাবা
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, لَا يَرْجُوْنَ حِسَابًا তারা কখনও হিসাবের ভয় করত না। لَا يَمْلِكُوْنَ مِنْهُ خِطَابًا যাদেরকে আল্লাহ্ অনুমতি দেবেন, তাদের ব্যতীত তাঁর কাছে আবেদন-নিবেদনের শক্তি কারো থাকবে না।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, وَهَّاجًا প্রোজ্জ্বল।
ইবনে আব্বাস ব্যতীত অন্যরা বলেন, غَسَّاقًا ক্ষত হতে রক্ত-পূঁজ প্রবাহিত হয়েছে। الْغَسَاقَ এবং الْغَسِيْقَ একই অর্থ বহন করে। عَطَاءً حِسَابًا যথোচিত দান। যেমন বলা হয়, أَعْطَانِيْ مَا أَحْسَبَنِيْ অর্থাৎ সে আমাকে যথেষ্ট পরিমাণ দান করেছে।

পরিচ্ছেদঃ২৫৯২. আল্লাহর বাণীঃ يوم ينفخ في الصور فتأتون أفواجا "সেদিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে এবং তোমরা দলে দলে সমাগত হবে" (৭৮ঃ ১৮)
৪৫৭৫। মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, প্রথম ও দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুঁৎকারের মধ্যে চল্লিশের ব্যবধান হবে। জনৈক ব্যক্তি আবু হুরাইরা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করল, চল্লিশ বলে- চল্লিশদিন বুঝানো হয়েছে কি? তিনি বলেন, আমি অস্বীকার করলাম। তারপর পুনরায় তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, চল্লিশ মাস বুঝানো হয়েছে কি? তিনি বলেন, এবারও অস্বীকার করলাম। তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, চল্লিশ বছর বুঝানো হয়েছে কি? তিনি বলেন, এবারও আমি অস্বীকার করলাম। এরপর আবু হুরাইরা (রাযিঃ) বললেন, এরপর আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করবেন। এতে মৃতরা জীবিত হয়ে উঠবে, যেমন বৃষ্টির পানিতে উদ্ভিদরাজি উৎপন্ন হয়ে থাকে। তখন মেরুদণ্ডের হাড্ডি ব্যতীত মানুষের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পচে গলে শেষ হয়ে যাবে। কিয়ামতের দিন ঐ হাড়-খণ্ড থেকেই পুনরায় মানুষকে সৃষ্টি করা হবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন