শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৫৪২
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৪৪
সালাতে বসার বিবরণ, কিভাবে বসবে?
১৫৪২-১৫৪৪। সালিহ ইবনে আব্দুর রহমান (রাযিঃ) এবং রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাযিঃ)...... ওয়াইল ইবন হুজর্
আল-হাযরামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর পিছনে সালাত আদায় করলাম। আর মনে মনে ভাবলাম, আমি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সালাত লক্ষ্য করে দেখব। বর্ণনাকারী বলেন, যখন তিনি তাশাহ্হুদের জন্য বসলেন, তখন বাম পা বিছিয়ে দিলেন তারপর এর উপর বসলেন, এবং বাম উরুতে তার বাম হাতের তালু রাখলেন আর ডান উরুতে তার ডান হাত রাখলেন। তারপর আঙ্গুলগুলােকে বেঁধে বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং মধ্যমা আঙ্গুলি দ্বারা বৃত্ত
(হালকা) বানিয়ে অপর আঙ্গুলি (শাহাদাত) দিয়ে ইশারা করে দু'আ করতে লাগলেন।
ফাহাদ ইবনে সুলায়মান (রাহঃ)...... আসিম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও অনুরূপ উল্লেখ
করেছেন।
আবু জাফর (তাহাবী র) বলেন ঃ অতএব এটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের মতের অনুকূলে রয়েছে।
পক্ষান্তরে ওয়াইল (রাযিঃ)-এর উক্তি “তারপর রাসূলুম্লাহ্ (ﷺ) নিজ আঙ্গুলি বেঁধে বৃত্ত বানিয়ে ইশারা করে দু'আ করতে লাগলেন।” থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে, এটি সালাতের শেষ পর্যায়ে ছিল।
অতএব এ হাদীস এবং আবু হুমায়দ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মধ্যে বৈপরিত্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এজন্য আমরা উভয় হাদীসের বিশুদ্ধতা ও সনদগত যথার্থতা নিরূপণে যুক্তির নিরিখে দৃষ্টি দিতে প্রয়াস
পেয়েছি।
তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীলঃ
বস্তুত যখন ফাহাদ এবং ইয়াহইয়া ইবনে উসমান (রাহঃ)... মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আতা (রাহঃ) থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমার নিকট এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর দশজন সাহাবীকে বসা অবস্থায় পেয়েছেন। তারপর তিনি আবু আসিম (ব) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু জাফর (তাহাবী র) বলেন ঃ আমাদের আলােচনা দ্বারা আবু হুমায়দ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের
অসারতা প্রমাণিত হল। যেহেতু হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনে আমর (রাহঃ) একজন অজ্ঞাত পরিচয় বর্ণনাকারী
থেকে বর্ণনা করেছেন। হাদীস বিশারদগণ এরূপ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন না। অন্য পক্ষ যদি এ ব্যাপারে আপত্তি করে যে, আত্তাফ ইবনে খালিদ দুর্বল রাবী। অর্থাৎ তার রিওয়ায়াত দ্বারা আবু হুমায়দ সাঈদী (রাযিঃ) -এর রিওয়ায়াত কে দুর্বল বলা যাবে না, যেহেতু আত্তাফ ইবনে খালিদ নিজেই দুর্বল ও বিতর্কিত রাবী।
উত্তরে তাদেরকে বলা হবে যে, তােমরাও তাে- আত্তাফ ইবনে খালিদ অপেক্ষা আব্দুল হামিদ ইবনে
জাফরকে অধিক দুর্বল হিসাবে বিবেচনা করে থাক। অতএব তােমরা যদি আব্দুল হামিদ-এর
রিওয়ায়াত দ্বারা দলীল পেশ করতে পার, তাহলে আমরা আত্তাফ ইবনে খালিদ-এর রিওয়ায়াত দ্বারা
কেন দলীল দিতে পারব না ?
অথচ তােমরা আত্তাফের সমস্ত হাদীসকে অগ্রহণযােগ্য মনে কর না। তােমরা-ই বলে থাক যে, তার
প্রাথমিক যুগের সমস্ত হাদীস-ই বিশুদ্ধ ও নির্ভরযােগ্য। কিন্তু তার পরবর্তী যুগের হাদীসগুলােতে
কিছুটা দুর্বলতা ঢুকে গেছে। যেমনটি ইয়াহইয়া ইবন মাঈন (রাহঃ) তাঁর গ্রন্থে বলেছেন। বস্তুত আবু সালিহ্ (আব্দুল্লাহ ইবনে সালিহ্-র উপনাম) আত্তাফ (রাহঃ)-এর প্রাথমিক যুগের শিষ্য এবং তার থেকে
তিনি প্রাথমিক যুগে নিশ্চিতরূপে হাদীস শুনেছেন।
অতএব এটি ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (রাহঃ) বর্ণিত তাঁর বিশুদ্ধ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।
এতদসত্ত্বেও মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইব্ন আতা (রাহঃ)-এর বয়স এর ব্যাপারটি এমনটির সম্ভাবনা রাখে
না। এবং আব্দুল হামিদ ব্যতীত কেউ আবু হুমায়দ (রাযিঃ) থেকে যে মুহাম্মাদ ইবনে আমর হাদীস
শুনেছেন তা স্বীকার করেন না। অথচ আব্দুল হামিদ তােমাদের নিকট অত্যন্ত দুর্বল রাবী। পক্ষান্তরে
আবু হুমায়দ (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত আব্দুল হামিদ (রাহঃ)-এর অনুরূপ অপরাপর মুহাদ্দিসগণ
বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন এবং মুত্তাসিল (অবিচ্ছিন্ন) সনদ রূপে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা
বৈঠকের বিধান সম্পর্কে তার ন্যায় সবিস্তারে বর্ণনা করেননি।
বং তাদের রিওয়ায়াতগুলাে ওয়াইল ইবনে হুজর (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের সদৃশ। অতএব তাদের
রিওয়ায়াতের মুকাবিলায় তাঁর রিওয়ায়াত দলীল হিসাবে গ্রহণযােগ্য হতে পারে না।
অপরাপর মুহাদ্দিসগণের রিওয়ায়াত
আল-হাযরামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর পিছনে সালাত আদায় করলাম। আর মনে মনে ভাবলাম, আমি অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সালাত লক্ষ্য করে দেখব। বর্ণনাকারী বলেন, যখন তিনি তাশাহ্হুদের জন্য বসলেন, তখন বাম পা বিছিয়ে দিলেন তারপর এর উপর বসলেন, এবং বাম উরুতে তার বাম হাতের তালু রাখলেন আর ডান উরুতে তার ডান হাত রাখলেন। তারপর আঙ্গুলগুলােকে বেঁধে বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং মধ্যমা আঙ্গুলি দ্বারা বৃত্ত
(হালকা) বানিয়ে অপর আঙ্গুলি (শাহাদাত) দিয়ে ইশারা করে দু'আ করতে লাগলেন।
ফাহাদ ইবনে সুলায়মান (রাহঃ)...... আসিম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিও অনুরূপ উল্লেখ
করেছেন।
আবু জাফর (তাহাবী র) বলেন ঃ অতএব এটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের মতের অনুকূলে রয়েছে।
পক্ষান্তরে ওয়াইল (রাযিঃ)-এর উক্তি “তারপর রাসূলুম্লাহ্ (ﷺ) নিজ আঙ্গুলি বেঁধে বৃত্ত বানিয়ে ইশারা করে দু'আ করতে লাগলেন।” থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে, এটি সালাতের শেষ পর্যায়ে ছিল।
অতএব এ হাদীস এবং আবু হুমায়দ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের মধ্যে বৈপরিত্য পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এজন্য আমরা উভয় হাদীসের বিশুদ্ধতা ও সনদগত যথার্থতা নিরূপণে যুক্তির নিরিখে দৃষ্টি দিতে প্রয়াস
পেয়েছি।
তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীলঃ
বস্তুত যখন ফাহাদ এবং ইয়াহইয়া ইবনে উসমান (রাহঃ)... মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আতা (রাহঃ) থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমার নিকট এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর দশজন সাহাবীকে বসা অবস্থায় পেয়েছেন। তারপর তিনি আবু আসিম (ব) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন।
আবু জাফর (তাহাবী র) বলেন ঃ আমাদের আলােচনা দ্বারা আবু হুমায়দ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের
অসারতা প্রমাণিত হল। যেহেতু হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনে আমর (রাহঃ) একজন অজ্ঞাত পরিচয় বর্ণনাকারী
থেকে বর্ণনা করেছেন। হাদীস বিশারদগণ এরূপ হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন না। অন্য পক্ষ যদি এ ব্যাপারে আপত্তি করে যে, আত্তাফ ইবনে খালিদ দুর্বল রাবী। অর্থাৎ তার রিওয়ায়াত দ্বারা আবু হুমায়দ সাঈদী (রাযিঃ) -এর রিওয়ায়াত কে দুর্বল বলা যাবে না, যেহেতু আত্তাফ ইবনে খালিদ নিজেই দুর্বল ও বিতর্কিত রাবী।
উত্তরে তাদেরকে বলা হবে যে, তােমরাও তাে- আত্তাফ ইবনে খালিদ অপেক্ষা আব্দুল হামিদ ইবনে
জাফরকে অধিক দুর্বল হিসাবে বিবেচনা করে থাক। অতএব তােমরা যদি আব্দুল হামিদ-এর
রিওয়ায়াত দ্বারা দলীল পেশ করতে পার, তাহলে আমরা আত্তাফ ইবনে খালিদ-এর রিওয়ায়াত দ্বারা
কেন দলীল দিতে পারব না ?
অথচ তােমরা আত্তাফের সমস্ত হাদীসকে অগ্রহণযােগ্য মনে কর না। তােমরা-ই বলে থাক যে, তার
প্রাথমিক যুগের সমস্ত হাদীস-ই বিশুদ্ধ ও নির্ভরযােগ্য। কিন্তু তার পরবর্তী যুগের হাদীসগুলােতে
কিছুটা দুর্বলতা ঢুকে গেছে। যেমনটি ইয়াহইয়া ইবন মাঈন (রাহঃ) তাঁর গ্রন্থে বলেছেন। বস্তুত আবু সালিহ্ (আব্দুল্লাহ ইবনে সালিহ্-র উপনাম) আত্তাফ (রাহঃ)-এর প্রাথমিক যুগের শিষ্য এবং তার থেকে
তিনি প্রাথমিক যুগে নিশ্চিতরূপে হাদীস শুনেছেন।
অতএব এটি ইয়াহইয়া ইবনে মাঈন (রাহঃ) বর্ণিত তাঁর বিশুদ্ধ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।
এতদসত্ত্বেও মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইব্ন আতা (রাহঃ)-এর বয়স এর ব্যাপারটি এমনটির সম্ভাবনা রাখে
না। এবং আব্দুল হামিদ ব্যতীত কেউ আবু হুমায়দ (রাযিঃ) থেকে যে মুহাম্মাদ ইবনে আমর হাদীস
শুনেছেন তা স্বীকার করেন না। অথচ আব্দুল হামিদ তােমাদের নিকট অত্যন্ত দুর্বল রাবী। পক্ষান্তরে
আবু হুমায়দ (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত আব্দুল হামিদ (রাহঃ)-এর অনুরূপ অপরাপর মুহাদ্দিসগণ
বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন এবং মুত্তাসিল (অবিচ্ছিন্ন) সনদ রূপে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা
বৈঠকের বিধান সম্পর্কে তার ন্যায় সবিস্তারে বর্ণনা করেননি।
বং তাদের রিওয়ায়াতগুলাে ওয়াইল ইবনে হুজর (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াতের সদৃশ। অতএব তাদের
রিওয়ায়াতের মুকাবিলায় তাঁর রিওয়ায়াত দলীল হিসাবে গ্রহণযােগ্য হতে পারে না।
অপরাপর মুহাদ্দিসগণের রিওয়ায়াত
1542 - بِمَا حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَرَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَا: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ , عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ الْجَرْمِيِّ , عَنْ أَبِيهِ عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ الْحَضْرَمِيِّ , قَالَ: " صَلَّيْتُ خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: لَأَحْفَظَنَّ صَلَاةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَلَمَّا قَعَدَ لِلتَّشَهُّدِ فَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرَى ثُمَّ قَعَدَ عَلَيْهَا وَوَضَعَ كَفَّهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَوَضَعَ مِرْفَقَهُ الْأَيْمَنَ عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى , ثُمَّ عَقَدَ أَصَابِعَهُ وَجَعَلَ حَلْقَةَ الْإِبْهَامِ وَالْوُسْطَى ثُمَّ جَعَلَ يَدْعُو بِالْأُخْرَى "
1543 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا خَالِدٌ، عَنْ عَاصِمٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا يُوَافِقُ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ. وَفِي قَوْلِ وَائِلٍ , ثُمَّ عَقَدَ أَصَابِعَهُ يَدْعُو دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ كَانَ فِي آخِرِ الصَّلَاةِ فَقَدْ تَضَادَّ هَذَا الْحَدِيثُ وَحَدِيثُ أَبِي حُمَيْدٍ فَنَظَرْنَا فِي صِحَّةِ مَجِيئِهِمَا وَاسْتِقَامَةِ أَسَانِيدِهِمَا فَإِذَا فَهْدٌ وَيَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ قَدْ حَدَّثَانَا قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: ثنا يَحْيَى وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَا:
1544 - حَدَّثَنَا عَطَّافُ بْنُ خَالِدٍ , قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي رَجُلٌ أَنَّهُ وَجَدَ عَشَرَةً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُلُوسًا فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي عَاصِمٍ سَوَاءً. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَدْ فَسَدَ بِمَا ذَكَرْنَا حَدِيثُ أَبِي حُمَيْدٍ ; لِأَنَّهُ صَارَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو , عَنْ رَجُلٍ , وَأَهْلُ الْإِسْنَادِ لَا يَحْتَجُّونَ بِمِثْلِ هَذَا فَإِنْ ذَكَرُوا فِي ذَلِكَ ضَعْفَ الْعَطَّافِ بْنِ خَالِدٍ قِيلَ لَهُمْ: وَأَنْتُمْ أَيْضًا تُضَعِّفُونَ عَبْدَ الْحَمِيدِ أَكْثَرَ مِنْ تَضْعِيفِكُمْ لِلْعَطَّافِ مَعَ أَنَّكُمْ لَا تَطْرَحُونَ حَدِيثَ الْعَطَّافِ كُلَّهُ إِنَّمَا تَزْعُمُونَ أَنَّ حَدِيثَهُ فِي الْقَدِيمِ صَحِيحٌ كُلُّهُ وَأَنَّ حَدِيثَهُ بِآخِرِهِ قَدْ دَخَلَهُ شَيْءٌ. هَكَذَا قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ فِي كِتَابِهِ , فَأَبُو صَالِحٍ سَمَاعُهُ مِنَ الْعَطَّافِ قَدِيمٌ جِدًّا فَقَدْ دَخَلَ ذَلِكَ فِيمَا صَحَّحَهُ يَحْيَى مِنْ حَدِيثِهِ مَعَ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ لَا يَحْتَمِلُ مِثْلَ هَذَا , وَلَيْسَ أَحَدٌ يَجْعَلُ هَذَا الْحَدِيثَ سَمَاعًا لِمُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو مِنْ أَبِي حُمَيْدٍ إِلَّا عَبْدَ الْحَمِيدِ وَهُوَ عِنْدَكُمْ أَضْعَفُ وَلَكِنَّ الَّذِي رَوَى حَدِيثَ أَبِي حُمَيْدٍ وَوَصَلَهُ لَمْ يُفَصِّلْ حُكْمَ الْجُلُوسِ كَمَا فَصَّلَهُ عَبْدُ الْحَمِيدِ
1543 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: ثنا الْحِمَّانِيُّ، قَالَ: ثنا خَالِدٌ، عَنْ عَاصِمٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا يُوَافِقُ مَا ذَهَبُوا إِلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ. وَفِي قَوْلِ وَائِلٍ , ثُمَّ عَقَدَ أَصَابِعَهُ يَدْعُو دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ كَانَ فِي آخِرِ الصَّلَاةِ فَقَدْ تَضَادَّ هَذَا الْحَدِيثُ وَحَدِيثُ أَبِي حُمَيْدٍ فَنَظَرْنَا فِي صِحَّةِ مَجِيئِهِمَا وَاسْتِقَامَةِ أَسَانِيدِهِمَا فَإِذَا فَهْدٌ وَيَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ قَدْ حَدَّثَانَا قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: ثنا يَحْيَى وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ , قَالَا:
1544 - حَدَّثَنَا عَطَّافُ بْنُ خَالِدٍ , قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي رَجُلٌ أَنَّهُ وَجَدَ عَشَرَةً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُلُوسًا فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي عَاصِمٍ سَوَاءً. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَقَدْ فَسَدَ بِمَا ذَكَرْنَا حَدِيثُ أَبِي حُمَيْدٍ ; لِأَنَّهُ صَارَ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو , عَنْ رَجُلٍ , وَأَهْلُ الْإِسْنَادِ لَا يَحْتَجُّونَ بِمِثْلِ هَذَا فَإِنْ ذَكَرُوا فِي ذَلِكَ ضَعْفَ الْعَطَّافِ بْنِ خَالِدٍ قِيلَ لَهُمْ: وَأَنْتُمْ أَيْضًا تُضَعِّفُونَ عَبْدَ الْحَمِيدِ أَكْثَرَ مِنْ تَضْعِيفِكُمْ لِلْعَطَّافِ مَعَ أَنَّكُمْ لَا تَطْرَحُونَ حَدِيثَ الْعَطَّافِ كُلَّهُ إِنَّمَا تَزْعُمُونَ أَنَّ حَدِيثَهُ فِي الْقَدِيمِ صَحِيحٌ كُلُّهُ وَأَنَّ حَدِيثَهُ بِآخِرِهِ قَدْ دَخَلَهُ شَيْءٌ. هَكَذَا قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ فِي كِتَابِهِ , فَأَبُو صَالِحٍ سَمَاعُهُ مِنَ الْعَطَّافِ قَدِيمٌ جِدًّا فَقَدْ دَخَلَ ذَلِكَ فِيمَا صَحَّحَهُ يَحْيَى مِنْ حَدِيثِهِ مَعَ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ لَا يَحْتَمِلُ مِثْلَ هَذَا , وَلَيْسَ أَحَدٌ يَجْعَلُ هَذَا الْحَدِيثَ سَمَاعًا لِمُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو مِنْ أَبِي حُمَيْدٍ إِلَّا عَبْدَ الْحَمِيدِ وَهُوَ عِنْدَكُمْ أَضْعَفُ وَلَكِنَّ الَّذِي رَوَى حَدِيثَ أَبِي حُمَيْدٍ وَوَصَلَهُ لَمْ يُفَصِّلْ حُكْمَ الْجُلُوسِ كَمَا فَصَّلَهُ عَبْدُ الْحَمِيدِ
