শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৫০৪
ফজরের সালাত ও অন্যান্য সালাতে দু'আ কুনূত পাঠ করা ।
১৫০৪। আবু বাকরা (রাহঃ)... ইমরান ইবন হারিস আস-সুলামী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : আমি ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ)-এর পিছনে ফজরের সালাত আদায় করেছি, তিনি কুনূত পাঠ করেননি।
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেন : ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) -এর থেকে কুনূত বর্ণনাকারীদের মধ্যে একজন হচ্ছেন আবু রাজা (রাহঃ)। আর তিনি তখন বর্ণনা করেছেন যখন ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) আলী (রাযিঃ)-এর পক্ষ থেকে বসরার গভর্ণর হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। (তাই গভর্ণর নিযুক্ত অবস্থায় শত্রুদের বিরুদ্ধে কুনূত পাঠ করতেন)। তাঁর থেকে এর পরিপন্থী বর্ণনাকারী অপরজন হচ্ছেন, সাঈদ ইব্ন জুবায়র (রাহঃ)। আর তাঁর সাথে সাঈদ (রাহঃ)-এর সালাত আদায় ছিলো মক্কাতে, যখন তিনি আলী (রাযিঃ)-এর মক্কাতে চলে এসেছিলেন। অতএব সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার অভিমত ছিলো উমর (রাযিঃ) ও আলী (রাযিঃ)-এর সাথে অভিমতের অনুরূপ।
বস্তুত ফজরের সালাতে কুনূত পাঠ সংক্রান্ত সেই সমস্ত হাদীস, যা আমরা তাঁদের থেকে বর্ণনা করেছি, সেগুলো ছিল বিশেষ কারণে অর্থাৎ যুদ্ধরত থাকার কারণে যা আমরা পূর্বেই বর্ণনা করেছি। সে জন্য ফজর এবং অপরাপর সালাতে তাঁরা কুনূত পাঠ করেছেন। পক্ষান্তরে উক্ত অনিবার্য কারণ না থাকা অবস্থায় তারা তা পাঠ পরিত্যাগ করেছেন।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর অপরাপর সাহাবী থেকেও সারা বছর কুনূত পাঠ পরিত্যাগ করার রিওয়ায়াত আমরা পূর্বেই বর্ণনা করেছি। এর মধ্যে উল্লেখ্য :
আবু জা'ফর (তাহাবী র) বলেন : ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) -এর থেকে কুনূত বর্ণনাকারীদের মধ্যে একজন হচ্ছেন আবু রাজা (রাহঃ)। আর তিনি তখন বর্ণনা করেছেন যখন ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) আলী (রাযিঃ)-এর পক্ষ থেকে বসরার গভর্ণর হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। (তাই গভর্ণর নিযুক্ত অবস্থায় শত্রুদের বিরুদ্ধে কুনূত পাঠ করতেন)। তাঁর থেকে এর পরিপন্থী বর্ণনাকারী অপরজন হচ্ছেন, সাঈদ ইব্ন জুবায়র (রাহঃ)। আর তাঁর সাথে সাঈদ (রাহঃ)-এর সালাত আদায় ছিলো মক্কাতে, যখন তিনি আলী (রাযিঃ)-এর মক্কাতে চলে এসেছিলেন। অতএব সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার অভিমত ছিলো উমর (রাযিঃ) ও আলী (রাযিঃ)-এর সাথে অভিমতের অনুরূপ।
বস্তুত ফজরের সালাতে কুনূত পাঠ সংক্রান্ত সেই সমস্ত হাদীস, যা আমরা তাঁদের থেকে বর্ণনা করেছি, সেগুলো ছিল বিশেষ কারণে অর্থাৎ যুদ্ধরত থাকার কারণে যা আমরা পূর্বেই বর্ণনা করেছি। সে জন্য ফজর এবং অপরাপর সালাতে তাঁরা কুনূত পাঠ করেছেন। পক্ষান্তরে উক্ত অনিবার্য কারণ না থাকা অবস্থায় তারা তা পাঠ পরিত্যাগ করেছেন।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর অপরাপর সাহাবী থেকেও সারা বছর কুনূত পাঠ পরিত্যাগ করার রিওয়ায়াত আমরা পূর্বেই বর্ণনা করেছি। এর মধ্যে উল্লেখ্য :
1504 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: أنا عِمْرَانُ بْنُ الْحَارِثِ السُّلَمِيُّ، قَالَ: «صَلَّيْتُ خَلْفَ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا الصُّبْحَ , فَلَمْ يَقْنُتْ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَكَانَ الَّذِي يَرْوِي عَنْهُ الْقُنُوتَ هُوَ أَبُو رَجَاءٍ , وَإِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ وَهُوَ بِالْبَصْرَةِ وَالِيًا عَلَيْهَا لِعَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَكَانَ أَحَدُ مَنْ يَرْوِي عَنْهُ بِخِلَافِ ذَلِكَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ وَإِنَّمَا كَانَتْ صَلَاتُهُ مَعَهُ بَعْدَ ذَلِكَ بِمَكَّةَ , فَكَانَ , مَذْهَبُهُ فِي ذَلِكَ أَيْضًا مَذْهَبَ عُمَرَ وَعَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا. فَكَانَ ذَلِكَ الَّذِي رَوَيْنَاهُ عَنْهُمُ الْقُنُوتَ فِي الْفَجْرِ إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ مِنْهُمْ لِلْعَارِضِ الَّذِي ذَكَرْنَا فَقَنَتُوا فِيهَا وَفِي غَيْرِهَا مِنَ الصَّلَوَاتِ وَتَرَكُوا ذَلِكَ فِي حَالِ عَدَمِ ذَلِكَ الْعَارِضِ. وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ آخَرِينَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرْكَ الْقُنُوتِ فِي سَائِرِ الدَّهْرِ.
