শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৪৯১
ফজরের সালাত ও অন্যান্য সালাতে দু'আ কুনূত পাঠ করা ।
১৪৯১। ইব্ন আবু ইমরান (রাহঃ).... আস্ওয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: যখন উমর (রাযিঃ) যুদ্ধবিগ্রহে ব্যস্ত থাকতেন তখন তিনি কুনূত পাঠ করতেন। পক্ষান্তরে যখন যুদ্ধ-বিগ্রহে ব্যস্ত থাকতেন না তখন কুনূত পাঠ করতেন না।
সুতরাং আসওয়াদ (রাহঃ) সেই কারণ ও মর্মই বর্ণনা করেছেন, যা সামনে রেখে উমর (রাযিঃ) কুনূত পাঠ করতেন অর্থাৎ, তিনি যখন যুদ্ধ-বিগ্রহে ব্যস্ত থাকতেন তখন শত্রুদের বিরুদ্ধে কুনূতের মাধ্যমে বদ্ দু'আ করতেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহ্ তা'আলার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করতেন। যেমনিভাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাহাবীগণকে শহীদ করার কারণে কাফিরদের বিরুদ্ধে বদ্ দুআ করেছিলেন। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেন : তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি দিবেন- এই বিষয়ে তোমার করণীয় কিছুই নাই, কারণ তারা যালিম। (৩ : ১২৮) আব্দুর রহমান ইব্ন আবু বাকার (রাযিঃ) বলেন : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)- এরপর আর কারো বিরুদ্ধে বদ্ দুআ করেননি।
সুতরাং উপরোক্ত আয়াত আব্দুর রহমান (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) এবং তাঁদের মত পোষণকারীদের নিকট সালাতের মধ্যে কারো বিরুদ্ধে বদ্ দু'আ করা রহিত করে দিয়েছে। পক্ষান্তরে উমর (রাযিঃ)-এর নিকট যুদ্ধ-বিগ্রহের সময় কুনূতের মাধ্যমে কাফিরদের বিরুদ্ধে বদ্ 'দুআ করাকে উক্ত আয়াত রহিত করেনি। তবে তাঁর নিকট উক্ত আয়াত সাধারণ অবস্থায়, যুদ্ধ-বিগ্রহ না থাকাকালীন পরিস্থিতিতে কাফিরদের বিরুদ্ধে কুনূতের মাধ্যমে বদ্ দুআ করা রহিত করে দিয়েছে। বস্তুত এর দ্বারা তাদের উক্তির অসারতা প্রমাণিত হয়ে গেল, যারা ফজরের সালাতে সর্বদা কুনূত পাঠের মত ব্যক্ত করেন। এই অধ্যায়ে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসসমূহের এটাই হচ্ছে সঠিক বিশ্লেষণ। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস হলো নিম্নরূপ :
সুতরাং আসওয়াদ (রাহঃ) সেই কারণ ও মর্মই বর্ণনা করেছেন, যা সামনে রেখে উমর (রাযিঃ) কুনূত পাঠ করতেন অর্থাৎ, তিনি যখন যুদ্ধ-বিগ্রহে ব্যস্ত থাকতেন তখন শত্রুদের বিরুদ্ধে কুনূতের মাধ্যমে বদ্ দু'আ করতেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহ্ তা'আলার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করতেন। যেমনিভাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাহাবীগণকে শহীদ করার কারণে কাফিরদের বিরুদ্ধে বদ্ দুআ করেছিলেন। তারপর আল্লাহ্ তা'আলা নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেন : তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি দিবেন- এই বিষয়ে তোমার করণীয় কিছুই নাই, কারণ তারা যালিম। (৩ : ১২৮) আব্দুর রহমান ইব্ন আবু বাকার (রাযিঃ) বলেন : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)- এরপর আর কারো বিরুদ্ধে বদ্ দুআ করেননি।
সুতরাং উপরোক্ত আয়াত আব্দুর রহমান (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ্ ইবন উমর (রাযিঃ) এবং তাঁদের মত পোষণকারীদের নিকট সালাতের মধ্যে কারো বিরুদ্ধে বদ্ দু'আ করা রহিত করে দিয়েছে। পক্ষান্তরে উমর (রাযিঃ)-এর নিকট যুদ্ধ-বিগ্রহের সময় কুনূতের মাধ্যমে কাফিরদের বিরুদ্ধে বদ্ 'দুআ করাকে উক্ত আয়াত রহিত করেনি। তবে তাঁর নিকট উক্ত আয়াত সাধারণ অবস্থায়, যুদ্ধ-বিগ্রহ না থাকাকালীন পরিস্থিতিতে কাফিরদের বিরুদ্ধে কুনূতের মাধ্যমে বদ্ দুআ করা রহিত করে দিয়েছে। বস্তুত এর দ্বারা তাদের উক্তির অসারতা প্রমাণিত হয়ে গেল, যারা ফজরের সালাতে সর্বদা কুনূত পাঠের মত ব্যক্ত করেন। এই অধ্যায়ে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসসমূহের এটাই হচ্ছে সঠিক বিশ্লেষণ। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস হলো নিম্নরূপ :
1491 - فَإِذَا ابْنُ أَبِي عِمْرَانَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْوَاسِطِيُّ , عَنْ أَبِي شِهَابٍ الْحَنَّاطِ، عَنْ أَبِي حَنِيفَةَ، عَنْ حَمَّادٍ رَحِمَهُمَا اللهُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ , قَالَ: «كَانَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِذَا حَارَبَ قَنَتَ , وَإِذَا لَمْ يُحَارِبْ لَمْ يَقْنُتْ» فَأَخْبَرَ الْأَسْوَدُ بِالْمَعْنَى الَّذِي لَهُ كَانَ يَقْنُتُ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّهُ إِذَا حَارَبَ يَدْعُوَ عَلَى أَعْدَائِهِ , وَيَسْتَعِينُ اللهَ عَلَيْهِمْ وَيَسْتَنْصِرُهُ , كَمَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ , لَمَّا قُتِلَ مَنْ قُتِلَ , مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى أَنْزَلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ} [آل عمران: 128] قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ: فَمَا دَعَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَحَدٍ بَعْدُ. فَكَانَتْ هَذِهِ الْآيَةُ عِنْدَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَعِنْدَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَمَنْ وَافَقَهُمَا , تَنْسَخُ الدُّعَاءَ بَعْدَ ذَلِكَ فِي الصَّلَاةِ عَلَى أَحَدٍ. وَلَمْ يَكُنْ عِنْدَ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِنَاسِخَةٍ مَا كَانَ قَبْلَ الْقِتَالِ , وَإِنَّمَا نَسَخَتْ عِنْدَهُ الدُّعَاءَ فِي حَالِ عَدَمِ الْقِتَالِ , إِلَّا أَنَّهُ قَدْ ثَبَتَ بِذَلِكَ بُطْلَانُ قَوْلِ مَنْ يَرَى الدَّوَامَ عَلَى الْقُنُوتِ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ. فَهَذَا وَجْهُ مَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي هَذَا الْبَابِ. وَأَمَّا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَرُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ مَا قَدْ
