শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৪৩১
ইমামের জন্য সামিআল্লাহুলিমান হামিদা বলার পরে রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ বলা সমীচীন কি-না ?
১৪৩১। ইবন আবী দাউদ (রাহঃ).... আবু জুহায়ফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার নবী (ﷺ) -এর নিকট বিত্ত সম্পদের আলোচনা হল। এক ব্যক্তি বলল, অমুক ব্যক্তির সম্পদ রয়েছে উটের মধ্যে, আরেক ব্যক্তি বলল, ঘোড়ার মধ্যে। নবী (ﷺ) চুপ রইলেন। যখন সালাতের জন্য দাঁড়ালেন, তখন তিনি রুকূ থেকে মাথা তুলে বললেন : اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاءِ وَمِلْءَ الْأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ
“হে আল্লাহ্! হে আমাদের রব, আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আকাশ ও পৃথিবী এবং এছাড়ও আপনি যে পরিমাণ চান, তা সব পরিপূর্ণ করে দেয় এমন প্রশংসা আপনারই জন্য। যাকে আপনি দান করেন তা কেউ ঠেকাতে পারে না এবং যাকে আপনি আটকিয়ে রাখেন তার জন্য কেউ দান করতে পারে না; কোন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে তার সম্পদ কোন উপকার দিতে পারে না।”
সুতরাং এই সমস্ত হাদীসে এরূপ কোন কথা নেই যে, তিনি ইমামতি অবস্থায় ঐ বাক্যগুলো বলেছেন। এ বিষয়ে এখানে কোন দলীল নেই। তবে এর দ্বারা এতটুকু সাব্যস্ত হয় যে, কোন ব্যক্তি একাকী সালাত আদায় করলে সে (سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ) বলবে।
আমরা লক্ষ্য করতে প্রয়াস পাব যে, নবী (ﷺ) থেকে কি এরূপ কিছু বর্ণিত আছে, যা দ্বারা এ বিষয়ে ইমামের বিধান কি, তা বুঝা যায় ? থাকলে তা কিরূপ ? এবং সেও কি সেই বাক্যগুলো বলবে যা একাকী সালাত আদায়কারী বলে থাকে ? বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত হাদীসকে লক্ষ্য করছি :
“হে আল্লাহ্! হে আমাদের রব, আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আকাশ ও পৃথিবী এবং এছাড়ও আপনি যে পরিমাণ চান, তা সব পরিপূর্ণ করে দেয় এমন প্রশংসা আপনারই জন্য। যাকে আপনি দান করেন তা কেউ ঠেকাতে পারে না এবং যাকে আপনি আটকিয়ে রাখেন তার জন্য কেউ দান করতে পারে না; কোন ধনাঢ্য ব্যক্তিকে তার সম্পদ কোন উপকার দিতে পারে না।”
সুতরাং এই সমস্ত হাদীসে এরূপ কোন কথা নেই যে, তিনি ইমামতি অবস্থায় ঐ বাক্যগুলো বলেছেন। এ বিষয়ে এখানে কোন দলীল নেই। তবে এর দ্বারা এতটুকু সাব্যস্ত হয় যে, কোন ব্যক্তি একাকী সালাত আদায় করলে সে (سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ) বলবে।
আমরা লক্ষ্য করতে প্রয়াস পাব যে, নবী (ﷺ) থেকে কি এরূপ কিছু বর্ণিত আছে, যা দ্বারা এ বিষয়ে ইমামের বিধান কি, তা বুঝা যায় ? থাকলে তা কিরূপ ? এবং সেও কি সেই বাক্যগুলো বলবে যা একাকী সালাত আদায়কারী বলে থাকে ? বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত হাদীসকে লক্ষ্য করছি :
1431 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو هُوَ الْمُنَبِّهِيُّ , عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، قَالَ: " ذَكَرْتُ الْجُدُودَ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ: جَدُّ فُلَانٍ فِي الْإِبِلِ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: فِي الْخَيْلِ فَسَكَتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا قَامَ يُصَلِّي , فَرَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ , قَالَ: «اللهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاءِ وَمِلْءَ الْأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ , لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ , وَلَا مُعْطِيَ لَمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ» فَلَيْسَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ أَنَّهُ قَدْ كَانَ يَقُولُ ذَلِكَ وَهُوَ إِمَامٌ , وَلَا فِيهَا مَا يَدُلُّ عَلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ. غَيْرَ أَنَّهُ قَدْ ثَبَتَ: بِهَا , أَنَّ مَنْ صَلَّى وَحْدَهُ يَقُولُ «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ , رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ» . فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ: هَلْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَدُلُّ عَلَى حُكْمِ الْإِمَامِ فِي ذَلِكَ كَيْفَ هُوَ؟ وَهَلْ يَقُولُ مِنْ ذَلِكَ مَا يَقُولُهُ مَنْ يُصَلِّي وَحْدَهُ أَمْ لَا؟
