শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১২৭৫
মাগরিবের সালাতে কিরাআত
১২৭৫। আহমদ ইবন আব্দিল মু'মিন খুরাসানী (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ ইবন বুরায়দা (রাহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইশার সালাতে ‘ওয়াশ্ শামসি ওয়া দুহাহা' বা অনুরূপ সূরা তিলাওয়াত করতেন।
যদি কোন ব্যক্তি বলে যে, নবী (ﷺ) থেকে কি এরূপ বর্ণিত আছে যে, তিনি মাগরিবের সালাতে 'কিসার মুফাসসাল' থেকে তিলাওয়াত করেছেন? তাহলে তাকে বলা হবে, হ্যাঁ!
1275 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْمُؤْمِنِ الْخُرَاسَانِيُّ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، قَالَ: ثنا الْحُسَيْنُ بْنُ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ: «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقْرَأُ فِي صَلَاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ بِ الشَّمْسِ وَضُحَاهَا وَأَشْبَاهِهَا مِنَ السُّوَرِ» فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَهَلْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَرَأَ فِي الْمَغْرِبِ بِقِصَارِ الْمُفَصَّلِ. قِيلَ لَهُ: نَعَمْ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, মাগরিবের নামাযে কিসারে মুফাছ্‌ছাল (ঝিলঝাল থেকে নাছ পর্যনত্ম), ইশার নামাযে আওয়াছতে মুফাছ্‌ছাল (ছূরা ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যনত্ম) এবং ফজরে নামাযে তিওয়ালে মুফাছ্‌ছাল (হুজুরাত থেকে বুরম্নজ পর্যনত্ম) পড়তেন। আর পূর্বে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূল স. যোহরের নামাযে তিওয়ালে মুফাছ্‌ছাল আর আসরের নামাযে আওসাতে মুফাছ্‌ছাল (ছূরা ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যনত্ম) পড়তেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে উপরিউক্ত নিয়মে কুরআন পাঠ করা উত্তম, তবে আবশ্যকীয় নয়। এ নিয়মের বিপরীতে রসূলুলস্নাহ স. এবং সাহাবায়ে কিরাম কুরআনের বিভিন্ন অংশ থেকে পাঠ করতেন মর্মে অনেক সহীহ হাদীসের বর্ণনা রয়েছে। ইমামের তিলাওয়াতের প্রতি মুসলিস্নদের আগ্রহ ও একাগ্রতা দেখা গেলে এবং দুর্বল, অসুস্থ্য বা ব্যসত্ম মানুষ না থাকলে ইমাম সাহেব কিরাত লম্বা করতে পারেন। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় উপরিউক্ত নিয়ম বা তার কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করা উত্তম হবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ১২৭৫ | মুসলিম বাংলা