শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১২৬৩
মাগরিবের সালাতে কিরাআত
১২৬৩। সালিহ ইব্ন আব্দির রহমান (রাহঃ) ও ইবন আবী দাউদ (রাহঃ) মুহাম্মাদ ইবন জুবায়র ইব্ন মুতইম (রাহঃ) তাঁর পিতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যুগে বদর যুদ্ধের (কাফির) বন্দীদের ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করার নিমিত্ত মদীনায় এলাম। যখন আমি তাঁর নিকট পৌছলাম তখন তিনি তাঁর সাহাবীগণকে নিয়ে মাগরিবের সালাত আদায় করছিলেন। আমি তাঁকে إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ (অবশ্যই তোমার প্রতিপালকের শাস্তি নিপতিত হবেই) আয়াত তিলাওয়াত করতে শুনি। যেন (ওই তিলাওয়াত) আমার অন্তর বিদীর্ণ করে ফেলে। তিনি যখন (সালাত থেকে) অবসর হলেন তখন আমি তাঁর সঙ্গে তাদের (বন্দীদের) বিষয়ে আলোচনা করলাম। তিনি বললেন, যদি আমার নিকট এক বৃদ্ধ ব্যক্তি আসত তাহলে আমি তার সুপারিশ গ্রহণ করতাম । অর্থাৎ তাঁর [যুবায়র (রাযিঃ)] পিতা মুতইম ইবন আদী ।
বিশ্লেষণ
ইনি হলেন, হুশাইম (রাযিঃ), তিনি এই হাদীসটি যুহরী (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করতে গিয়ে প্রকৃত কাহিনীটি বর্ণনা করেছেন এবং বলছেন যে, তিনি নবী (ﷺ) থেকে যা শুনেছেন তা হল إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ আয়াত । তিনি এটা স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন যে, প্রথমোক্ত হাদীসে যে সূরা 'তূর' তিলাওয়াত করার বিষয় উল্লেখ রয়েছে, তার দ্বারা সেটাই উদ্দেশ্য, যা তিনি তাঁকে তা থেকে তিলাওয়াত করতে শুনেছেন। জুবায়র (রাযিঃ)-এর শব্দাবলী তাই, যা হুশাইম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে। কারণ, তিনি প্রকৃত কাহিনীট বর্ণনা করেছেন। সুতরাং নবী (ﷺ) থেকে এ ব্যাপারে তিনি যা রিওয়ায়াত করেছেন, তা হল বিশেষ করে তাঁর তিলাওয়াতঃ إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ
পক্ষান্তরে মালিক (রাহঃ)-এর হাদীস আরো সংক্ষিপ্ত। অনুরূপভাবে মারওয়ানের উদ্দেশ্যে যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)-এর উক্তি “আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে তাতে দীর্ঘতম সূরা المص তিলাওয়াত করতে শুনেছি” । সম্ভবত এর দ্বারা সূরার কতেক অংশ তিলাওয়াত করাই উদ্দেশ্য। এ বিশ্লেষণ বিশুদ্ধ হওয়ার (স্বপক্ষে) নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত প্রমাণ বহন করেঃ
বিশ্লেষণ
ইনি হলেন, হুশাইম (রাযিঃ), তিনি এই হাদীসটি যুহরী (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করতে গিয়ে প্রকৃত কাহিনীটি বর্ণনা করেছেন এবং বলছেন যে, তিনি নবী (ﷺ) থেকে যা শুনেছেন তা হল إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ আয়াত । তিনি এটা স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন যে, প্রথমোক্ত হাদীসে যে সূরা 'তূর' তিলাওয়াত করার বিষয় উল্লেখ রয়েছে, তার দ্বারা সেটাই উদ্দেশ্য, যা তিনি তাঁকে তা থেকে তিলাওয়াত করতে শুনেছেন। জুবায়র (রাযিঃ)-এর শব্দাবলী তাই, যা হুশাইম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে। কারণ, তিনি প্রকৃত কাহিনীট বর্ণনা করেছেন। সুতরাং নবী (ﷺ) থেকে এ ব্যাপারে তিনি যা রিওয়ায়াত করেছেন, তা হল বিশেষ করে তাঁর তিলাওয়াতঃ إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ
পক্ষান্তরে মালিক (রাহঃ)-এর হাদীস আরো সংক্ষিপ্ত। অনুরূপভাবে মারওয়ানের উদ্দেশ্যে যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)-এর উক্তি “আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে তাতে দীর্ঘতম সূরা المص তিলাওয়াত করতে শুনেছি” । সম্ভবত এর দ্বারা সূরার কতেক অংশ তিলাওয়াত করাই উদ্দেশ্য। এ বিশ্লেষণ বিশুদ্ধ হওয়ার (স্বপক্ষে) নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত প্রমাণ বহন করেঃ
1263 - قَدْ حَدَّثَنَا , قَالَا: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ , عَنْ أَبِيهِ قَالَ: " قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُكَلِّمَهُ فِي أَسَارَى بَدْرٍ , فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي بِأَصْحَابِهِ صَلَاةَ الْمَغْرِبِ , فَسَمِعْتُهُ يَقْرَأُ {إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ} [الطور: 7] فَكَأَنَّمَا صُدِعَ قَلْبِي فَلَمَّا فَرَغَ كَلَّمْتُهُ فِيهِمْ فَقَالَ شَيْخٌ: لَوْ كَانَ أَتَانِي لِشُفْعَتِهِ يَعْنِي أَبَاهُ مُطْعِمُ بْنُ عَدِيٍّ " فَهَذَا هُشَيْمٌ قَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ , عَنِ الزُّهْرِيِّ , فَبَيَّنَ الْقِصَّةَ عَلَى وَجْهِهَا , وَأَخْبَرَ أَنَّ الَّذِي سَمِعَهُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ {إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ} [الطور: 7] فَبَيَّنَ هَذَا أَنَّ قَوْلَهُ فِي الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ قَرَأَ بِالطُّورِ إِنَّمَا هُوَ مَا سَمِعَهُ يَقْرَأُ مِنْهَا. وَلَيْسَ لَفْظُ جُبَيْرٍ إِلَّا مَا رَوَى هُشَيْمٌ لِأَنَّهُ سَاقَ الْقِصَّةَ عَلَى وَجْهِهَا. فَصَارَ مَا حُكِيَ فِيهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ قِرَاءَتُهُ {إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ} [الطور: 7] خَاصَّةً. وَأَمَّا حَدِيثُ مَالِكٍ مُخْتَصَرٌ مِنْ هَذَا وَكَذَلِكَ قَوْلُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ فِي قَوْلِهِ لِمَرْوَانَ لَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِيهَا بِأَطْوَلِ الطُّوَلِ المص يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ عَلَى قِرَاءَتِهِ بِبَعْضِهَا. وَمِمَّا يَدُلُّ أَيْضًا عَلَى صِحَّةِ هَذَا التَّأْوِيلِ
