শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১২৪০
আন্তর্জাতিক নং: ১২৪১
যুহর ও আসরের কিরাআত
১২৪০-১২৪১। আলী ইবন শায়বা (রাযিঃ) ...... আবু মা'মার (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা একবার খাববাব (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যুহর ও আসরের সালাতে কিরাআত পাঠ করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ! আমি বললাম, আপনারা তা কিভাবে বুঝতেন? বললেন, তাঁর দাড়ি মুবারক নড়ার দ্বারা (বুঝা যেত)।
ফাহাদ ইবন সুলায়মান (রাহঃ) ….. আ'মাশ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ব্যাখ্যা
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, আমাদের নিকট এই হাদীসে এই বিষয়ের উপর কোন দলীল নেই যে, তিনি ওই দুই সালাতে কিরাআত পাঠ করতেন। সম্ভবত তাঁর দাড়ি মুবারক তাসবীহ, দু'আ ইত্যাদি পড়ার কারণে নড়েছে। তবে সেই সমস্ত রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা যা আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি, উক্ত দুই সালাতে তাঁর কিরাআত পাঠ সাব্যস্ত হয়।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর বিশ্লেষণ
সুতরাং যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত ঐ সমস্ত উল্লিখিত রিওয়ায়াত দ্বারা যুহর ও আসরের সালাতে কিরাআত পাঠ সাব্যস্ত হয়ে গেল এবং এর পরিপন্থী ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত খণ্ডিত হয়ে গেল, তাই আমরা এরপরে যুক্তির দিকে প্রত্যাবর্তন করেছি। আমরা দেখছি তাতে এরূপ কিছু পাই কি-না, যাতে উল্লিখিত দুই অভিমত থেকে কোন একটির বিশুদ্ধতা প্রমাণিত হয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সালাতের মধ্যে 'কিয়াম' (দাঁড়ানো) ফরয; অনুরূপভাবে রুকূ ও সিজদাও ফরয। এইসব কিছু সালাতের ফরযসমূহের অন্তর্ভুক্ত; এর থেকে কোন বস্তু ছুটে গেলে সালাত জায়িয হবে না। আর এই বিষয়গুলো সমস্ত সালাতের মধ্যে অভিন্ন। আমরা আরো দেখছি যে, প্রথম বৈঠক সূন্নাত (ওয়াজিব), এতে কোনরূপ মতভেদ নেই; এটাও সমস্ত সালাতের মধ্যে অভিন্ন। পক্ষান্তরে শেষ বৈঠক-কে দেখছি, এতে লোকদের (ইমামদের) মতভেদ রয়েছে। তাঁদের কেউ বলেন, এটা ফরয, আবার কেউ বলেন, সূন্নাত (ওয়াজিব)। কিন্তু সকলের নিকট এর হুকুম সমস্ত সালাতে অভিন্ন। তাই সেগুলো থেকে যা সালাতে ফরয, তা সমস্ত সালাতে ফরয হিসাবে বিবেচিত। রাতের সালাতে জোরে কিরাআত পড়া ফরয নয় বরং তা সূন্নাত (ওয়াজিব)। সালাতের সাথে এর অন্তর্ভুক্তি নাই, যেমনিভাবে রুকু, সিজ্দা ও কিয়াম-এর সাথে এর অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। আর জোরে কিরাআত পড়া কতেক সালাতে বিধেয় কতেক সালাতে বিধেয় নয়। বস্তুত যে বস্তু সালাতে ফরয তা সালাতে এভাবে পাওয়া যায় যা ব্যতীত সালাত হয় না। কেননা, যে বস্তু কতেক সালাতে ফরয হিসাবে বিবেচিত, তা সমস্ত সালাতে অনুরূপভাবে ফরয হিসাবে বিবেচিত হবে।
তাই যখন আমরা দেখছি যে, ঐ বিরোধী পক্ষের মত অনুযায়ী মাগরিব, ইশা ও ফজরের সালাতে কিরাআত পাঠ ওয়াজিব, এটা পাওয়া যাওয়া জরুরী এবং এটা ব্যতীত সালাত হবে না। অনুরূপভাবে তা (কিরাআত) যুহর ও আসরের সালাতে (ওয়াজিব) হিসাবে বিবেচিত হবে।
বস্তুত এটা সেই সমস্ত লোকদের বিরুদ্ধে শক্ত দলীল, যারা যুহর ও আসরের সালাতে কিরাআত পাঠ অস্বীকার করেন এবং অন্য সালাতে তাকে ফরয মনে করেন। পক্ষান্তরে যারা মূল সালাতে কিরাআতকে জরুরী মনে করেন না তাঁদের বিরুদ্ধে দলীল হল যে, আমরা দেখছি মাগরিব ও ইশা উভয় সালাতে কিরায়াত পাঠ করা হয়। এর প্রথম দুই রাক'আতে জোরে এবং তা (প্রথম দুই রাক'আত) ব্যতীত আস্তে। সুতরাং যখন প্রথম দুই রাক'আতের পরেও কিরাআত সুন্নত; জোরে কিরাআত পড়া রহিত হওয়ার দ্বারা তা রহিত হয় না। তাই যুক্তির দাবি হল যে, যুহর ও আসরের সালাতেও এটা অনুরূপভাবে সুন্নত হবে এবং তাতে জোরে কিরাআত পড়া রহিত হওয়ার দ্বারা (সম্পূর্ণরূপে) কিরাআত রহিত হবে না। এটা (আস্তে কিরাআত পড়ার স্বপক্ষে যুক্তি, যা আমরা এ বিষয়ে উল্লেখ করেছি।
আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। উক্ত বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহাবার একদল থেকেও বর্ণিত আছেঃ
ফাহাদ ইবন সুলায়মান (রাহঃ) ….. আ'মাশ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ব্যাখ্যা
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, আমাদের নিকট এই হাদীসে এই বিষয়ের উপর কোন দলীল নেই যে, তিনি ওই দুই সালাতে কিরাআত পাঠ করতেন। সম্ভবত তাঁর দাড়ি মুবারক তাসবীহ, দু'আ ইত্যাদি পড়ার কারণে নড়েছে। তবে সেই সমস্ত রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা যা আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি, উক্ত দুই সালাতে তাঁর কিরাআত পাঠ সাব্যস্ত হয়।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর বিশ্লেষণ
সুতরাং যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত ঐ সমস্ত উল্লিখিত রিওয়ায়াত দ্বারা যুহর ও আসরের সালাতে কিরাআত পাঠ সাব্যস্ত হয়ে গেল এবং এর পরিপন্থী ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত খণ্ডিত হয়ে গেল, তাই আমরা এরপরে যুক্তির দিকে প্রত্যাবর্তন করেছি। আমরা দেখছি তাতে এরূপ কিছু পাই কি-না, যাতে উল্লিখিত দুই অভিমত থেকে কোন একটির বিশুদ্ধতা প্রমাণিত হয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সালাতের মধ্যে 'কিয়াম' (দাঁড়ানো) ফরয; অনুরূপভাবে রুকূ ও সিজদাও ফরয। এইসব কিছু সালাতের ফরযসমূহের অন্তর্ভুক্ত; এর থেকে কোন বস্তু ছুটে গেলে সালাত জায়িয হবে না। আর এই বিষয়গুলো সমস্ত সালাতের মধ্যে অভিন্ন। আমরা আরো দেখছি যে, প্রথম বৈঠক সূন্নাত (ওয়াজিব), এতে কোনরূপ মতভেদ নেই; এটাও সমস্ত সালাতের মধ্যে অভিন্ন। পক্ষান্তরে শেষ বৈঠক-কে দেখছি, এতে লোকদের (ইমামদের) মতভেদ রয়েছে। তাঁদের কেউ বলেন, এটা ফরয, আবার কেউ বলেন, সূন্নাত (ওয়াজিব)। কিন্তু সকলের নিকট এর হুকুম সমস্ত সালাতে অভিন্ন। তাই সেগুলো থেকে যা সালাতে ফরয, তা সমস্ত সালাতে ফরয হিসাবে বিবেচিত। রাতের সালাতে জোরে কিরাআত পড়া ফরয নয় বরং তা সূন্নাত (ওয়াজিব)। সালাতের সাথে এর অন্তর্ভুক্তি নাই, যেমনিভাবে রুকু, সিজ্দা ও কিয়াম-এর সাথে এর অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। আর জোরে কিরাআত পড়া কতেক সালাতে বিধেয় কতেক সালাতে বিধেয় নয়। বস্তুত যে বস্তু সালাতে ফরয তা সালাতে এভাবে পাওয়া যায় যা ব্যতীত সালাত হয় না। কেননা, যে বস্তু কতেক সালাতে ফরয হিসাবে বিবেচিত, তা সমস্ত সালাতে অনুরূপভাবে ফরয হিসাবে বিবেচিত হবে।
তাই যখন আমরা দেখছি যে, ঐ বিরোধী পক্ষের মত অনুযায়ী মাগরিব, ইশা ও ফজরের সালাতে কিরাআত পাঠ ওয়াজিব, এটা পাওয়া যাওয়া জরুরী এবং এটা ব্যতীত সালাত হবে না। অনুরূপভাবে তা (কিরাআত) যুহর ও আসরের সালাতে (ওয়াজিব) হিসাবে বিবেচিত হবে।
বস্তুত এটা সেই সমস্ত লোকদের বিরুদ্ধে শক্ত দলীল, যারা যুহর ও আসরের সালাতে কিরাআত পাঠ অস্বীকার করেন এবং অন্য সালাতে তাকে ফরয মনে করেন। পক্ষান্তরে যারা মূল সালাতে কিরাআতকে জরুরী মনে করেন না তাঁদের বিরুদ্ধে দলীল হল যে, আমরা দেখছি মাগরিব ও ইশা উভয় সালাতে কিরায়াত পাঠ করা হয়। এর প্রথম দুই রাক'আতে জোরে এবং তা (প্রথম দুই রাক'আত) ব্যতীত আস্তে। সুতরাং যখন প্রথম দুই রাক'আতের পরেও কিরাআত সুন্নত; জোরে কিরাআত পড়া রহিত হওয়ার দ্বারা তা রহিত হয় না। তাই যুক্তির দাবি হল যে, যুহর ও আসরের সালাতেও এটা অনুরূপভাবে সুন্নত হবে এবং তাতে জোরে কিরাআত পড়া রহিত হওয়ার দ্বারা (সম্পূর্ণরূপে) কিরাআত রহিত হবে না। এটা (আস্তে কিরাআত পড়ার স্বপক্ষে যুক্তি, যা আমরা এ বিষয়ে উল্লেখ করেছি।
আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। উক্ত বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর সাহাবার একদল থেকেও বর্ণিত আছেঃ
1240 - كَمَا قَدْ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ , قَالَ: ثنا قَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ عُمَارَةِ بْنِ عُمَيْرٍ , عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ , قَالَ: قُلْنَا لِخَبَّابٍ: " أَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ؟ قَالَ: نَعَمْ. قُلْتُ: بِأَيِّ شَيْءٍ كُنْتُمْ تَعْرِفُونَ ذَلِكَ؟ قَالَ: بِاضْطِرَابِ لِحْيَتِهِ "
1241 - وَكَمَا قَدْ حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ , قَالَ: أنا شَرِيكٌ , وَأَبُو مُعَاوِيَةَ , وَوَكِيعٌ , عَنِ الْأَعْمَشِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَمْ يَكُنْ فِي هَذَا عِنْدَنَا , دَلِيلٌ , عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ يَقْرَأُ فِيهِمَا لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَضْطَرِبَ لِحْيَتُهُ بِتَسْبِيحٍ سَبَّحَهُ , أَوْ دُعَاءٍ , أَوْ غَيْرِهِ. وَلَكِنَّ الَّذِي حَقَّقَ الْقِرَاءَةَ مِنْهُ فِي هَاتَيْنِ الصَّلَاتَيْنِ , مَنْ قَدْ رَوَيْنَا عَنْهُ الْآثَارَ , الَّتِي فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا. فَلَمَّا ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْقِيقُ الْقِرَاءَةِ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ، وَانْتَفَى مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِمَّا يُخَالِفُ ذَلِكَ , رَجَعْنَا إِلَى النَّظَرِ بَعْدَ ذَلِكَ , هَلْ نَجِدُ فِيهِ مَا يَدُلُّ عَلَى صِحَّةِ أَحَدِالْقَوْلَيْنِ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَا. فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ , فَرَأَيْنَا الْقِيَامَ فِي الصَّلَاةِ فَرْضًا , وَكَذَلِكَ الرُّكُوعُ، وَكَذَلِكَ السُّجُودُ , وَهَذَا كُلُّهُ مِنْ فَرْضِ الصَّلَاةِ , وَهِيَ بِهِ مُضَمَّنَةٌ لَا تُجْزِئُ الصَّلَاةُ إِذَا تُرِكَ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ , وَكَانَ ذَلِكَ فِي سَائِرِ الصَّلَوَاتِ سَوَاءً وَرَأَيْنَا الْقُعُودَ الْأَوَّلَ سُنَّةً , لَا اخْتِلَافَ فِيهِ , فَهُوَ فِي كُلِّ الصَّلَوَاتِ سَوَاءٌ وَرَأَيْنَا الْقُعُودَ الْأَخِيرَ , فِيهِ اخْتِلَافٌ بَيْنَ النَّاسِ. فَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ هُوَ فَرْضٌ , وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ إِنَّهُ سُنَّةٌ , كُلُّ فَرِيقٍ مِنْهُمْ قَدْ جَعَلَ ذَلِكَ فِي كُلِّ الصَّلَوَاتِ سَوَاءً. فَكَانَتْ هَذِهِ الْأَشْيَاءُ مَا كَانَ مِنْهَا فَرْضًا فِي صَلَاةٍ , فَهُوَ فَرْضٌ فِي كُلِّ الصَّلَوَاتِ , وَكَانَ الْجَهْرُ بِالْقِرَاءَةِ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ لَيْسَ بِفَرْضٍ وَلَكِنَّهُ سُنَّةٌ. وَلَيْسَتِ الصَّلَاةُ بِهِ مُضَمَّنَةً كَمَا كَانَتْ مُضَمَّنَةً بِالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَالْقِيَامِ فَذَلِكَ قَدْ يَنْتَفِي مِنْ بَعْضِ الصَّلَوَاتِ وَيَثْبُتُ فِي بَعْضِهَا وَالَّذِي هُوَ فَرْضٌ وَالصَّلَاةُ بِهِ مُضَمَّنَةٌ لَا تُجْزِئُ إِلَّا بِإِصَابَتِهِ إِذَا كَانَ فِي بَعْضِ الصَّلَوَاتِ فَرْضًا , كَانَ فِي سَائِرِهَا كَذَلِكَ. فَلَمَّا رَأَيْنَا الْقِرَاءَةَ فِي الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ , وَالصُّبْحِ , وَاجِبَةٌ فِي قَوْلِ هَذَا الْمُخَالِفِ , لَا بُدَّ مِنْهَا , وَلَا تُجْزِئُ الصَّلَاةُ إِلَّا بِإِصَابَتِهَا , كَانَ كَذَلِكَ هِيَ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ. فَهَذِهِ حُجَّةٌ قَاطِعَةٌ , عَلَى مَنْ يَنْفِي الْقِرَاءَةَ مِنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ , مِمَّنْ يَرَاهَا فَرْضًا فِي غَيْرِهَا. وَأَمَّا مَنْ لَا يَرَى الْقِرَاءَةَ مِنْ صُلْبِ الصَّلَاةِ , فَإِنَّ الْحُجَّةَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ , يَقْرَأُ فِي كُلِّهِمَا فِي قَوْلِهِ وَيَجْهَرُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ مِنْهُمَا , وَيُخَافِتُ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ. فَلَمَّا كَانَتْ سُنَّةً مَا بَعْدَ الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ هِيَ الْقِرَاءَةُ , وَلَمْ تَسْقُطْ بِسُقُوطِ الْجَهْرِ , كَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ السُّنَّةُ , فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ , لَمَّا سَقَطَ الْجَهْرُ فِيهِمَا بِالْقِرَاءَةِ أَنْ لَا يُسْقِطَ الْقِرَاءَةَ قِيَاسًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ. وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ، وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
1241 - وَكَمَا قَدْ حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ , قَالَ: أنا شَرِيكٌ , وَأَبُو مُعَاوِيَةَ , وَوَكِيعٌ , عَنِ الْأَعْمَشِ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَمْ يَكُنْ فِي هَذَا عِنْدَنَا , دَلِيلٌ , عَلَى أَنَّهُ قَدْ كَانَ يَقْرَأُ فِيهِمَا لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَضْطَرِبَ لِحْيَتُهُ بِتَسْبِيحٍ سَبَّحَهُ , أَوْ دُعَاءٍ , أَوْ غَيْرِهِ. وَلَكِنَّ الَّذِي حَقَّقَ الْقِرَاءَةَ مِنْهُ فِي هَاتَيْنِ الصَّلَاتَيْنِ , مَنْ قَدْ رَوَيْنَا عَنْهُ الْآثَارَ , الَّتِي فِي الْفَصْلِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا. فَلَمَّا ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْقِيقُ الْقِرَاءَةِ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ، وَانْتَفَى مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِمَّا يُخَالِفُ ذَلِكَ , رَجَعْنَا إِلَى النَّظَرِ بَعْدَ ذَلِكَ , هَلْ نَجِدُ فِيهِ مَا يَدُلُّ عَلَى صِحَّةِ أَحَدِالْقَوْلَيْنِ اللَّذَيْنِ ذَكَرْنَا. فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ , فَرَأَيْنَا الْقِيَامَ فِي الصَّلَاةِ فَرْضًا , وَكَذَلِكَ الرُّكُوعُ، وَكَذَلِكَ السُّجُودُ , وَهَذَا كُلُّهُ مِنْ فَرْضِ الصَّلَاةِ , وَهِيَ بِهِ مُضَمَّنَةٌ لَا تُجْزِئُ الصَّلَاةُ إِذَا تُرِكَ شَيْءٌ مِنْ ذَلِكَ , وَكَانَ ذَلِكَ فِي سَائِرِ الصَّلَوَاتِ سَوَاءً وَرَأَيْنَا الْقُعُودَ الْأَوَّلَ سُنَّةً , لَا اخْتِلَافَ فِيهِ , فَهُوَ فِي كُلِّ الصَّلَوَاتِ سَوَاءٌ وَرَأَيْنَا الْقُعُودَ الْأَخِيرَ , فِيهِ اخْتِلَافٌ بَيْنَ النَّاسِ. فَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ هُوَ فَرْضٌ , وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ إِنَّهُ سُنَّةٌ , كُلُّ فَرِيقٍ مِنْهُمْ قَدْ جَعَلَ ذَلِكَ فِي كُلِّ الصَّلَوَاتِ سَوَاءً. فَكَانَتْ هَذِهِ الْأَشْيَاءُ مَا كَانَ مِنْهَا فَرْضًا فِي صَلَاةٍ , فَهُوَ فَرْضٌ فِي كُلِّ الصَّلَوَاتِ , وَكَانَ الْجَهْرُ بِالْقِرَاءَةِ فِي صَلَاةِ اللَّيْلِ لَيْسَ بِفَرْضٍ وَلَكِنَّهُ سُنَّةٌ. وَلَيْسَتِ الصَّلَاةُ بِهِ مُضَمَّنَةً كَمَا كَانَتْ مُضَمَّنَةً بِالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَالْقِيَامِ فَذَلِكَ قَدْ يَنْتَفِي مِنْ بَعْضِ الصَّلَوَاتِ وَيَثْبُتُ فِي بَعْضِهَا وَالَّذِي هُوَ فَرْضٌ وَالصَّلَاةُ بِهِ مُضَمَّنَةٌ لَا تُجْزِئُ إِلَّا بِإِصَابَتِهِ إِذَا كَانَ فِي بَعْضِ الصَّلَوَاتِ فَرْضًا , كَانَ فِي سَائِرِهَا كَذَلِكَ. فَلَمَّا رَأَيْنَا الْقِرَاءَةَ فِي الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ , وَالصُّبْحِ , وَاجِبَةٌ فِي قَوْلِ هَذَا الْمُخَالِفِ , لَا بُدَّ مِنْهَا , وَلَا تُجْزِئُ الصَّلَاةُ إِلَّا بِإِصَابَتِهَا , كَانَ كَذَلِكَ هِيَ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ. فَهَذِهِ حُجَّةٌ قَاطِعَةٌ , عَلَى مَنْ يَنْفِي الْقِرَاءَةَ مِنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ , مِمَّنْ يَرَاهَا فَرْضًا فِي غَيْرِهَا. وَأَمَّا مَنْ لَا يَرَى الْقِرَاءَةَ مِنْ صُلْبِ الصَّلَاةِ , فَإِنَّ الْحُجَّةَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ أَنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ , يَقْرَأُ فِي كُلِّهِمَا فِي قَوْلِهِ وَيَجْهَرُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ مِنْهُمَا , وَيُخَافِتُ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ. فَلَمَّا كَانَتْ سُنَّةً مَا بَعْدَ الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ هِيَ الْقِرَاءَةُ , وَلَمْ تَسْقُطْ بِسُقُوطِ الْجَهْرِ , كَانَ النَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ السُّنَّةُ , فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ , لَمَّا سَقَطَ الْجَهْرُ فِيهِمَا بِالْقِرَاءَةِ أَنْ لَا يُسْقِطَ الْقِرَاءَةَ قِيَاسًا عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ ذَلِكَ. وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمُ اللهُ، وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ عَنْ جَمَاعَةٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
