শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১২২৫
যুহর ও আসরের কিরাআত
১২২৫। আবু বাকরা (রাহঃ) …… আবু সাঈদ খুদরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার নবী (ﷺ)-এর ত্রিশজন সাহাবা একত্রিত হয়ে বললেন, আস, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর ওই সমস্ত সালাতের কিরা'আত সম্পর্কে অনুমান করি, যাতে তিনি জোরে কিরাআত পড়তেন না। এ বিষয়ে তাঁদের দু'জনও (কেউই) মতভেদ করেননি। অনন্তর তাঁরা যুহরের প্রথম দুই রাক'আতে তাঁর কিরাআত ত্রিশ আয়াত পরিমাণ এবং শেষ দুই রাক'আতে তার অর্ধেক হবে বলে অনুমান করলেন। আর আসরের প্রথম দুই রাক'আতে যুহরের প্রথম দুই রাক'আতের অর্ধেক এবং শেষ দুই রাক'আতে যুহরের শেষ দুই রাক'আতের অর্ধেক হবে বলে অনুমান করলেন।
1225 - وَأَنَّ أَبَا بَكْرَةَ قَدْ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: ثنا الْمَسْعُودِيُّ , عَنْ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ , قَالَ: " اجْتَمَعَ ثَلَاثُونَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: تَعَالَوْا حَتَّى نَقِيسَ قِرَاءَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا لَمْ يَجْهَرْ فِيهِ مِنَ الصَّلَوَاتِ فَمَا اخْتَلَفَ مِنْهُمْ رَجُلَانِ. فَقَاسُوا قِرَاءَتَهُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ , بِقَدْرِ قِرَاءَةِ ثَلَاثِينَ آيَةً , وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُخْرَيَيْنِ عَلَى النِّصْفِ مِنْ ذَلِكَ وَفِي صَلَاةِ الْعَصْرِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ عَلَى قَدْرِ النِّصْفِ مِنَ الْأُولَيَيْنِ فِي الظُّهْرِ , وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الْأُخْرَيَيْنِ عَلَى قَدْرِ النِّصْفِ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ الْأُخْرَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ "
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রসূল স. যোহরের নামাযে আলিফ লাম মীম সিজদা বা ভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী ৩০ আয়াত বিশিষ্ট ছূরা তিলাওয়াত করেছেন। আর এটা তিওয়ালে মুফাছ্ছাল (হুজুরাত থেকে বুরুজ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ বা তার কাছাকাছি হয়। আর আসরের নামাযে তিনি যোহরের অর্ধেক পরিমাণ তিলাওয়াত করেছেন যা আওসাতে মুফাছ্ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, যোহরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো তিওয়ালে মুফাছ্ছাল। আর আসরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো আওসাতে মুফাছ্ছাল। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯২) এর বিপরীতে মুসলিম শরীফের ৯১৩ নং হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূলুলস্নাহ স. যোহরের নামাযে ছূরা আল-লাইল পড়তেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিনি যোহরের নামাযে আওসাতে মুফাছ্ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত) পড়তেন। এটাও আমল করা যেতে পারে।
