শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১২১৭
যুহর ও আসরের কিরাআত
১২১৭। সালিহ ইবন আব্দির রহমান আনসারী (রাহঃ) ….. ইবন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, আমি সুন্নতকে স্মরণ রেখেছি; কিন্তু আমার জানা নেই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যুহর ও আসরে কিরাআত পাঠ করতেন, না করতেন না।
ইনি হলেন ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ), যিনি এ হাদীসে বলছেন, রাসূলুল্লাহ্ ওই দুই সালাতে কিরাআত পাঠ না করা তাঁর নিকট প্রমাণিত নয়। আমরা যে তাঁর প্রথম রিওয়ায়াত বর্ণনা করেছি তাতে তিনি কিরাআত পাঠ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাতে কিরাআত পাঠ করেননি। যখন তাঁর নিকট নবী (ﷺ)-এর কিরাআত পাঠ প্রমাণিত হয়নি তাহলে এ বিষয়ে তিনি যা বলেছেন তা নাকচ হয়ে গেল। যেহেতু অন্যদের নিকটও ঐ সালাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কিরাআত পাঠ প্রমাণিত, যা আমরা শীঘ্রই এই অনুচ্ছেদের যথাস্থানে বর্ণনা করব ইন্শাআল্লাহ্। তা ছাড়া ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে তাঁর নিজস্ব অভিমত বর্ণিত আছে, যা তার বিরুদ্ধে প্রমাণ বহন করে।
ইনি হলেন ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ), যিনি এ হাদীসে বলছেন, রাসূলুল্লাহ্ ওই দুই সালাতে কিরাআত পাঠ না করা তাঁর নিকট প্রমাণিত নয়। আমরা যে তাঁর প্রথম রিওয়ায়াত বর্ণনা করেছি তাতে তিনি কিরাআত পাঠ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাতে কিরাআত পাঠ করেননি। যখন তাঁর নিকট নবী (ﷺ)-এর কিরাআত পাঠ প্রমাণিত হয়নি তাহলে এ বিষয়ে তিনি যা বলেছেন তা নাকচ হয়ে গেল। যেহেতু অন্যদের নিকটও ঐ সালাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কিরাআত পাঠ প্রমাণিত, যা আমরা শীঘ্রই এই অনুচ্ছেদের যথাস্থানে বর্ণনা করব ইন্শাআল্লাহ্। তা ছাড়া ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে তাঁর নিজস্ব অভিমত বর্ণিত আছে, যা তার বিরুদ্ধে প্রমাণ বহন করে।
1217 - كَمَا حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَنْصَارِيُّ , قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ , قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ قَالَ: أنا حُصَيْنٌ , عَنْ عِكْرِمَةَ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ: «قَدْ حَفِظْتُ السُّنَّةَ غَيْرَ أَنِّي لَا أَدْرِي أَكَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ أَمْ لَا» فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا يُخْبِرُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ لَمْ يَتَحَقَّقْ عِنْدَهُ , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ يَقْرَأُ فِيهِمَا , وَإِنَّمَا أَمَرَ بِتَرْكِ الْقِرَاءَةِ فِيمَا تَقَدَّمَتْ رِوَايَتُنَا لَهُ عَنْهُ , لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمْ يَكُنْ يَقْرَأُ فِي ذَلِكَ.فَإِذَا انْتَفَى أَنْ يَكُونَ قَدْ تَحَقَّقَ ذَلِكَ عِنْدَهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , انْتَفَى مَا قَالَ مِنْ ذَلِكَ ; لِأَنَّ غَيْرَهُ قَدْ تَحَقَّقَ قِرَاءَةُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِمَا , مِمَّا سَنَذْكُرُهُ فِي مَوْضِعِهِ مِنْ هَذَا الْبَابِ إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. مَعَ أَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا مِنْ رَأْيِهِ مَا يَدُلُّ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ
