শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১২১৩
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১২১৩। রাওহ ইবনুল ফারাজ (রাহঃ) আব্দুর রহমান ইবন কাসিম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি কাসিম (রাহঃ)-কে বিসমিল্লাহ পড়তে শুনিনি।

আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং তাঁর পরবর্তী (সাহাবা)-দের থেকে বিসমিল্লাহ …. জোরে না পড়া সাব্যস্ত হল, অতএব প্রমাণিত হল যে এটা কুরআনের অংশ নয়। যদি কুরআনের অংশ হত তাহলে অবশিষ্ট কুরআনের ন্যায় এটাকেও জোরে পড়া ওয়াজিব হত । আপনারা কি দেখতে পাচ্ছেন না সূরা নামল-এ বিসমিল্লাহ .....কে অনুরূপভাবে জোরে পড়া হয়ে থাকে যেমনিভাবে অবশিষ্ট কুরআনকে জোরে পড়া হয়ে থাকে। (কারণ, এটা কুরআনের অংশ)। যখন সাব্যস্ত হল যে, সূরা ফাতিহার পূর্বোক্ত বিসমিল্লাহ ..... আস্তে পড়া হয়ে থাকে আর কুরআন শরীফের তিলাওয়াত জোরে হয়ে থাকে, তাহলে বুঝা গেল এটা কুরআনের অংশ নয় এবং এটাও সাব্যস্ত হল যে, 'আউযুবিল্লাহ', 'সানা' এবং অনুরূপ অন্যান্য যিকিরের ন্যায় এটাকেও নীরবে পড়া হবে। আমরা এটাকে কুরআন শরীফের সূরাসমূহ সূরা ফাতিহা হউক বা অন্য সূরা, সমস্ত সূরার শুরুতে লিখিতভাবে দেখতে পাচ্ছি। সূরা ফাতিহা ব্যতীত এটা কোন সূরার (প্রারম্ভিক) আয়াত নয়। তাহলে সাব্যস্ত হল যে, এটা সূরা ফাতিহারও আয়াত নয়।
বস্তুত এই যে, আমরা বিসমিল্লাহ ...... সূরা ফাতিহার অংশ না হওয়া এবং তা জোরে না পড়ার ব্যাপারটি সাব্যস্ত করেছি এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইনুল হাসান (রাহঃ)-এর অভিমত।
1213 - وَكَمَا حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَ: ثنا سَعِيدٌ , قَالَ: ثنا يَحْيَى , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ , قَالَ: " مَا سَمِعْتُ الْقَاسِمَ يَقْرَأُ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَمَّا ثَبَتَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَعَمَّنْ ذَكَرْنَا بَعْدَهُ , تَرْكُ الْجَهْرِ بِ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] ثَبَتَ أَنَّهَا لَيْسَتْ مِنَ الْقُرْآنِ. وَلَوْ كَانَتْ مِنَ الْقُرْآنِ لَوَجَبَ أَنْ يَجْهَرَ بِهَا كَمَا يَجْهَرُ بِالْقُرْآنِ سِوَاهَا. أَلَا تَرَى أَنَّ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] الَّتِي فِي النَّمْلِ يُجْهَرُ بِهَا , كَمَا يُجْهَرُ بِغَيْرِهَا مِنَ الْقُرْآنِ , لِأَنَّهَا مِنَ الْقُرْآنِ. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ الَّتِي قَبْلَ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ , يُخَافِتُ بِهَا , وَيَجْهَرُ بِالْقُرْآنِ ثَبَتَ أَنَّهَا لَيْسَتْ مِنَ الْقُرْآنِ , وَثَبَتَ أَنْ يُخَافِتَ بِهَا وَيُسِرَّ كَمَا يُسِرُّ التَّعَوُّذَ وَالِافْتِتَاحَ , وَمَا أَشْبَهُمَا. وَقَدْ رَأَيْنَاهَا أَيْضًا مَكْتُوبَةً فِي فَوَاتِحِ السُّوَرِ فِي الْمُصْحَفِ , فِي فَاتِحَةِ الْكِتَابِ , وَفِي غَيْرِهَا , وَكَانَتْ فِي غَيْرِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ لَيْسَتْ بِآيَةٍ , ثَبَتَ أَيْضًا أَنَّهَا فِي فَاتِحَةِ الْكِتَابِ , لَيْسَتْ بِآيَةٍ وَهَذَا الَّذِي ثَبَتَ مِنْ نَفْيِ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] أَنْ تَكُونَ مِنْ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ , وَمِنْ نَفْيِ الْجَهْرِ بِهَا فِي الصَّلَاةِ , قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ১২১৩ | মুসলিম বাংলা