শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১২০৬
সালাতে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া
১২০৬। মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন ইউনুস (রাহঃ) ...... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাতকে তাকবীর এবং কিরাআতকে “আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন”-এর মাধ্যমে শুরু করতেন; আর সালাতকে শেষ করতেন সালামের মাধ্যমে।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর মন্তব্য
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, যখন এই সমস্ত হাদীস মুতাওয়াতিরভাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) , আবু বাকর, উমার, উসমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি। এগুলো থেকে কতেক রিওয়ায়াতে আছে যে, তাঁরা 'আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন'-এর মাধ্যমে কিরাআত শুরু করতেন। এতে এ কথার প্রমাণ বহন করে না যে, তাঁরা এর পূর্বে বা পরে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়তেন না। যেহেতু এখানে কিরাআত (পড়া) দ্বারা কুরআন শরীফের কিরাআত উদ্দেশ্য। তাই সম্ভাবনা থাকছে যে, তাঁরা বিসমিল্লাহ .....কে কুরআনের কিরাআত গণ্য করেননি। এটা سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ (সানা) 'র ন্যায় যিকির হিসাবে গণ্য করেছেন। আর সালাতের শুরুতে যা বলা হয় তার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে কুরআনের কিরাআত যা বিসমিল্লাহ .... এর পরে করা হয় এবং তা 'আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন' দ্বারা শুরু করা হয়। আর কতেক রিওয়ায়াতে বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁরা বিসমিল্লাহ..... জোরে পড়তেন না। এতে প্রমাণিত হয় যে, তাঁরা জোরে না পড়ে অন্যভাবে (নীরবে) পড়তেন। কারণ যদি এমনটি না হত, তাহলে 'জোরে পড়তেন না' বলার কোন অর্থ হত না।
অতএব এই সমস্ত রিওয়ায়েতের সঠিক মর্ম নির্ধারণ দ্বারা বিসমিল্লাহ জোরে পড়া ত্যাগ করা এবং আস্তে পড়া (উচিত বলে) সাব্যস্ত হল। এই বিষয়টি আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ) ও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর অপরাপর সাহাবীগণ থেকেও বর্ণিত আছেঃ
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর মন্তব্য
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, যখন এই সমস্ত হাদীস মুতাওয়াতিরভাবে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) , আবু বাকর, উমার, উসমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি। এগুলো থেকে কতেক রিওয়ায়াতে আছে যে, তাঁরা 'আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন'-এর মাধ্যমে কিরাআত শুরু করতেন। এতে এ কথার প্রমাণ বহন করে না যে, তাঁরা এর পূর্বে বা পরে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়তেন না। যেহেতু এখানে কিরাআত (পড়া) দ্বারা কুরআন শরীফের কিরাআত উদ্দেশ্য। তাই সম্ভাবনা থাকছে যে, তাঁরা বিসমিল্লাহ .....কে কুরআনের কিরাআত গণ্য করেননি। এটা سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ (সানা) 'র ন্যায় যিকির হিসাবে গণ্য করেছেন। আর সালাতের শুরুতে যা বলা হয় তার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে কুরআনের কিরাআত যা বিসমিল্লাহ .... এর পরে করা হয় এবং তা 'আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন' দ্বারা শুরু করা হয়। আর কতেক রিওয়ায়াতে বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁরা বিসমিল্লাহ..... জোরে পড়তেন না। এতে প্রমাণিত হয় যে, তাঁরা জোরে না পড়ে অন্যভাবে (নীরবে) পড়তেন। কারণ যদি এমনটি না হত, তাহলে 'জোরে পড়তেন না' বলার কোন অর্থ হত না।
অতএব এই সমস্ত রিওয়ায়েতের সঠিক মর্ম নির্ধারণ দ্বারা বিসমিল্লাহ জোরে পড়া ত্যাগ করা এবং আস্তে পড়া (উচিত বলে) সাব্যস্ত হল। এই বিষয়টি আলী ইবন আবী তালিব (রাযিঃ) ও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর অপরাপর সাহাবীগণ থেকেও বর্ণিত আছেঃ
1206 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ يُونُسَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ بُدَيْلٍ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْتَتِحُ الصَّلَاةَ بِالتَّكْبِيرِ , وَيَفْتَتِحُ الْقِرَاءَةَ بِ {الْحَمْدُ لِلَّهِ} [الفاتحة: 2] وَيَخْتِمُهَا بِالتَّسْلِيمِ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَمَّا تَوَاتَرَتْ هَذِهِ الْآثَارُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ بِمَا ذَكَرْنَا , وَكَانَ فِي بَعْضِهَا أَنَّهُمْ كَانُوا يَسْتَفْتِحُونَ الْقِرَاءَةَ بِ {الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [البقرة: 1] وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُمْ كَانُوا لَا يَذْكُرُونَ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] قَبْلَهَا , وَلَا بَعْدَهَا لِأَنَّهُ إِنَّمَا عَنَى بِالْقِرَاءَةِ هَاهُنَا قِرَاءَةَ الْقُرْآنِ. فَاحْتَمَلَ أَنَّهُمْ لَمْ يَعُدُّوا {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] قُرْآنًا وَعَدُّوهَا ذِكْرًا مِثْلَ سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَمَا يُقَالُ عِنْدَ افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ. فَكَانَ مَا يُقْرَأُ مِنَ الْقُرْآنِ بَعْدَ ذَلِكَ وَيُسْتَفْتَحُ بِ {الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ} [البقرة: 1] وَفِي بَعْضِهَا أَنَّهُمْ كَانُوا لَا يَجْهَرُونَ بِ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] فَفِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّهُمْ كَانُوا يَقُولُونَهَا مِنْ غَيْرِ طَرِيقِ الْجَهْرِ وَلَوْلَا ذَلِكَ , لَمَا كَانَ لِذِكْرِهِمْ نَفْيَ الْجَهْرِ مَعْنًى. فَثَبَتَ بِتَصْحِيحِ هَذِهِ الْآثَارِ تَرْكُ الْجَهْرِ بِ {بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ} [الفاتحة: 1] وَذِكْرِهَا سِرًّا. وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَغَيْرِهِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
