আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯০৯
২৫৭২. আল্লাহর বাণীঃ "এবং গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। আল্লাহকে যে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেবেন" (৬৫ঃ ৪) وأولات الأحمال এর একবচন ذات حمل
৪৫৪৯। সা’দ ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... আবু সালামা (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু হুরাইরা (রাযিঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে ছিলেন, এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে এলেন এবং বললেন, এক মহিলা তার স্বামীর মৃত্যুর চল্লিশ দিন পর সন্তান প্রসব করেছে। সে এখন কীভাবে ইদ্দত পালন করবে, এ বিষয়ে আমাকে ফাতওয়া দিন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, ইদ্দত সম্পর্কিত হুকুম দুটির যেটি দীর্ঘ, তাকে সেটি পালন করতে হবে। আবু সালামা (রাযিঃ) বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর হুকুম তো হল- গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। আবু হুরাইরা (রাযিঃ) বলেন, আমি আমার ভ্রাতুষ্পুত্র অর্থাৎআবু সালামার সাথে আছি। তখন ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তাঁর ক্রীতদাস কুরাইবকে বিষয়টি জিজ্ঞাসার জন্য উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর কাছে পাঠালেন। তিনি বললেন, সুবাই’আ আসলামিয়া (রাযিঃ) এর স্বামীকে হত্যা করা হলো, তিনি যখন গর্ভবতী ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর চল্লিশ দিন পর তিনি একটি সন্তান প্রসব করলেন। এরপরই তার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠানো হল, এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বিয়ে করিয়ে দিলেন। যারা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন আবুস সানাবিল তাদের মধ্যে একজন।
(অন্য এক সনদে) সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ও আবুন নু’মান, হাম্মাদ ইবনে যায়দ ও আইয়ুবের মাধ্যমে মুহাম্মাদ (র) থেকে বর্ণনা করছেন, তিনি বলেছেন, আমি ঐ মাজলিসে ছিলাম, যেখানে আব্দুর রহমান ইবনে আবু লায়লা (রাহঃ)-ও উপস্থিত ছিলেন। তার সাথীরা তাকে খুব সম্মান করতেন। তিনি ইদ্দত সম্পর্কিত হুকুম দু’টি থেকে দীর্ঘ সময় সাপেক্ষে হুকুমটির কথা উল্লেখ করলে আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উতবার বরাত দিয়ে সুবাই’আ বিনতে হারিস আসলামিয়া (রাহঃ) সম্পর্কিত হাদীসটি বর্ণনা করলাম।
মুহাম্মাদ ইবনে সিরিন (রাহঃ) বলেন, এতে তার কতিপয় সঙ্গী-সাথী আমাকে থামিয়ে দিল। তিনি বলেন, আমি বুঝলাম, তারা আমার হাদীসটি অস্বীকার করছে। তাই আমি বললাম, আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা (রাহঃ) কুফাতে এখনও জীবিত আছেন, এমতাবস্থায় যদি আমি তার নাম নিয়ে মিথ্যা কথা বলি, তাহলে এতে আমার চরম দুঃসাহসিকতা দেখান হবে। এ কথা শুনে আব্দুর রহমান ইবনে আবু লায়লা লজ্জিত হলেন এবং বললেন, কিন্তু তার চাচা তো এ হাদীস বর্ণনা করেন নি। তখন আমি আবু আতিয়া মালিক ইবনে আমিরের সাথে সাক্ষাত করে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি সুবাই’আ (রাযিঃ) এর হাদীসটি বর্ণনা করে আমাকে শোনাতে লাগলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, (এ বিষয়ে) আপনি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে কোন কথা শুনেছেন কি? তিনি বললেন আমরা আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। তখন তিনি বললেন, তোমরা কি এ ধরনের মহিলাদের প্রতি সহজ পন্থা অবলম্বন না করে কঠোরতা অবলম্বন করতে চাচ্ছ? সূরা নিসা আল-কুসরা ( ছোট সূরা নিসা তথা সূরা তালাক) বড় সূরা বাকারার পরে নাযিল হয়েছে। আল্লাহ বলেন, গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত।
(অন্য এক সনদে) সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ও আবুন নু’মান, হাম্মাদ ইবনে যায়দ ও আইয়ুবের মাধ্যমে মুহাম্মাদ (র) থেকে বর্ণনা করছেন, তিনি বলেছেন, আমি ঐ মাজলিসে ছিলাম, যেখানে আব্দুর রহমান ইবনে আবু লায়লা (রাহঃ)-ও উপস্থিত ছিলেন। তার সাথীরা তাকে খুব সম্মান করতেন। তিনি ইদ্দত সম্পর্কিত হুকুম দু’টি থেকে দীর্ঘ সময় সাপেক্ষে হুকুমটির কথা উল্লেখ করলে আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উতবার বরাত দিয়ে সুবাই’আ বিনতে হারিস আসলামিয়া (রাহঃ) সম্পর্কিত হাদীসটি বর্ণনা করলাম।
মুহাম্মাদ ইবনে সিরিন (রাহঃ) বলেন, এতে তার কতিপয় সঙ্গী-সাথী আমাকে থামিয়ে দিল। তিনি বলেন, আমি বুঝলাম, তারা আমার হাদীসটি অস্বীকার করছে। তাই আমি বললাম, আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা (রাহঃ) কুফাতে এখনও জীবিত আছেন, এমতাবস্থায় যদি আমি তার নাম নিয়ে মিথ্যা কথা বলি, তাহলে এতে আমার চরম দুঃসাহসিকতা দেখান হবে। এ কথা শুনে আব্দুর রহমান ইবনে আবু লায়লা লজ্জিত হলেন এবং বললেন, কিন্তু তার চাচা তো এ হাদীস বর্ণনা করেন নি। তখন আমি আবু আতিয়া মালিক ইবনে আমিরের সাথে সাক্ষাত করে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি সুবাই’আ (রাযিঃ) এর হাদীসটি বর্ণনা করে আমাকে শোনাতে লাগলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, (এ বিষয়ে) আপনি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে কোন কথা শুনেছেন কি? তিনি বললেন আমরা আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। তখন তিনি বললেন, তোমরা কি এ ধরনের মহিলাদের প্রতি সহজ পন্থা অবলম্বন না করে কঠোরতা অবলম্বন করতে চাচ্ছ? সূরা নিসা আল-কুসরা ( ছোট সূরা নিসা তথা সূরা তালাক) বড় সূরা বাকারার পরে নাযিল হয়েছে। আল্লাহ বলেন, গর্ভবতী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত।
