শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৫০
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫১
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৫০-১১৫১। আব্দুল গনী ইবন আবী আকীল (রাহঃ) ও ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ...... ইয়াসার ইব্ন সালামা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি আমার পিতার সঙ্গে আবু বারযা (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যে, কোন ব্যক্তি (সালাতের পর) মদীনার অপর প্রান্তে ফিরে যেত, তখনও সূর্য উজ্জ্বল থাকত।
তাকে বলা হবে যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের উত্তর প্রসঙ্গে এই অনুচ্ছেদের পূর্ববর্তী অংশে আলোচনা করা হয়েছে। তাই এই সমস্ত রিওয়ায়াতের মাঝে সমন্বয় সাধন ও সঠিক মর্ম নির্ধারণের পর আমরা এতে এরূপ কোন বিষয় পাইনা, যা আসরের সালাত বিলম্বে আদায় করার স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করে । তা ছাড়া আমরা আসরের সালাত জলদি আদায় করার ব্যাপারে যেসব রিওয়ায়াত পাই তার সাথে সাথে সেগুলোর পরিপন্থী রিওয়ায়াতও দেখতে পাই। সুতরাং আমরা আসরের সালাত বিলম্বে আদায় করা মুস্তাহাব সাব্যস্ত করেছি। (কিন্তু অধিক বিলম্বে নয়, বরং) এমন সময় তা আদায় করা হবে, যখন সূর্য উজ্জ্বল থাকবে এবং তা আদায়ের পর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে বেশ কিছু সময় অবশিষ্ট থাকবে। যদি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা বাদ দেই তাহলে সকল সালাতকে তার আওয়াল ওয়াক্তে জলদি আদায় উত্তম মনে হবে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ হ(ﷺ) থেকে যা বর্ণিত আছে এবং যা মুতাওয়াতির রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা সাব্যস্ত রয়েছে তার উপর আমল করা সর্বোত্তম হবে। তাঁর (ﷺ) পরবর্তী সাহাবীগণ থেকেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সমর্থনে (হাদীস) বর্ণিত আছে:
তাকে বলা হবে যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের উত্তর প্রসঙ্গে এই অনুচ্ছেদের পূর্ববর্তী অংশে আলোচনা করা হয়েছে। তাই এই সমস্ত রিওয়ায়াতের মাঝে সমন্বয় সাধন ও সঠিক মর্ম নির্ধারণের পর আমরা এতে এরূপ কোন বিষয় পাইনা, যা আসরের সালাত বিলম্বে আদায় করার স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করে । তা ছাড়া আমরা আসরের সালাত জলদি আদায় করার ব্যাপারে যেসব রিওয়ায়াত পাই তার সাথে সাথে সেগুলোর পরিপন্থী রিওয়ায়াতও দেখতে পাই। সুতরাং আমরা আসরের সালাত বিলম্বে আদায় করা মুস্তাহাব সাব্যস্ত করেছি। (কিন্তু অধিক বিলম্বে নয়, বরং) এমন সময় তা আদায় করা হবে, যখন সূর্য উজ্জ্বল থাকবে এবং তা আদায়ের পর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে বেশ কিছু সময় অবশিষ্ট থাকবে। যদি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা বাদ দেই তাহলে সকল সালাতকে তার আওয়াল ওয়াক্তে জলদি আদায় উত্তম মনে হবে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ্ হ(ﷺ) থেকে যা বর্ণিত আছে এবং যা মুতাওয়াতির রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা সাব্যস্ত রয়েছে তার উপর আমল করা সর্বোত্তম হবে। তাঁর (ﷺ) পরবর্তী সাহাবীগণ থেকেও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সমর্থনে (হাদীস) বর্ণিত আছে:
1150 - مَا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْغَنِيِّ بْنُ أَبِي عَقِيلٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، ح
1151 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلَامَةَ , قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ أَبِي عَلَى أَبِي بَرْزَةَ فَقَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الْعَصْرَ فَيَرْجِعُ الرَّجُلُ إِلَى أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ» قِيلَ لَهُ: قَدْ مَضَى جَوَابُنَا فِي هَذَا , فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ , فَلَمْ نَجِدْ فِي هَذِهِ الْآثَارِ لَمَّا صُحِّحَتْ وَجُمِعَتْ , مَا يَدُلُّ إِلَّا عَلَى تَأْخِيرِ الْعَصْرِ , وَلَمْ نَجِدْ شَيْئًا مِنْهَا يَدُلُّ عَلَى تَعْجِيلِهَا إِلَّا قَدْ عَارَضَهُ غَيْرُهُ , فَاسْتَحْبَبْنَا بِذَلِكَ تَأْخِيرَ الْعَصْرِ إِلَّا أَنَّهَا تُصَلَّى وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ , فِي وَقْتٍ يَبْقَى بَعْدَهُ مِنْ وَقْتِهَا مُدَّةٌ قَبْلُ تَغَيُّبِ الشَّمْسِ. وَلَوْ خُلِّينَا وَالنَّظَرَ , لَكَانَ تَعْجِيلُ الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا فِي أَوَائِلِ أَوْقَاتِهَا أَفْضَلَ وَلَكِنَّ اتِّبَاعَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِمَّا تَوَاتَرَتْ بِهِ الْآثَارُ أَوْلَى. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَصْحَابِهِ مِنْ بَعْدِهِ , مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا
1151 - وَحَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلَامَةَ , قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ أَبِي عَلَى أَبِي بَرْزَةَ فَقَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي الْعَصْرَ فَيَرْجِعُ الرَّجُلُ إِلَى أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ» قِيلَ لَهُ: قَدْ مَضَى جَوَابُنَا فِي هَذَا , فِيمَا تَقَدَّمَ مِنْ هَذَا الْبَابِ , فَلَمْ نَجِدْ فِي هَذِهِ الْآثَارِ لَمَّا صُحِّحَتْ وَجُمِعَتْ , مَا يَدُلُّ إِلَّا عَلَى تَأْخِيرِ الْعَصْرِ , وَلَمْ نَجِدْ شَيْئًا مِنْهَا يَدُلُّ عَلَى تَعْجِيلِهَا إِلَّا قَدْ عَارَضَهُ غَيْرُهُ , فَاسْتَحْبَبْنَا بِذَلِكَ تَأْخِيرَ الْعَصْرِ إِلَّا أَنَّهَا تُصَلَّى وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ , فِي وَقْتٍ يَبْقَى بَعْدَهُ مِنْ وَقْتِهَا مُدَّةٌ قَبْلُ تَغَيُّبِ الشَّمْسِ. وَلَوْ خُلِّينَا وَالنَّظَرَ , لَكَانَ تَعْجِيلُ الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا فِي أَوَائِلِ أَوْقَاتِهَا أَفْضَلَ وَلَكِنَّ اتِّبَاعَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِمَّا تَوَاتَرَتْ بِهِ الْآثَارُ أَوْلَى. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَصْحَابِهِ مِنْ بَعْدِهِ , مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا
