শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৪০
আসরের সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করা হবে, না বিলম্বে ?
১১৪০। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ)..... আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে নিয়ে এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যে, সূর্য তখনও উজ্জ্বল থাকত । তারপর আমি আমার গোত্রের নিকট ফিরতাম, দেখতাম, তারা মদীনার এক প্রান্তে বসে রয়েছে। আমি তাদেরকে বলতামঃ উঠ, সালাত আদায় কর, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সালাত আদায় করে ফেলেছেন।
বিশ্লেষণ
আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত এই হাদীসে বৈপরিত্য রয়েছে। আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদা (রাহঃ), ইসহাক ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ও আবুল আবইয়ায (রাহঃ) আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে যা রিওয়ায়াত করেছেন, তা জলদি সালাত আদায়ের স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করে। যেহেতু তাঁদের হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা (আসরের সালাত) এমন সময় আদায় করতেন যে, কোন গমনকারী তাঁদের উল্লিখিত স্থানে গমন করত এবং তাঁদেরকে এ অবস্থায় পেত যে, তারা তখনও সালাত আদায় করেনি। আর আমরা জ্ঞাত আছি যে, তাঁরা সূর্যের রং হলদে হওয়ার পূর্বেই সালাত আদায় করে নিতেন। সুতরাং এটা জলদি পড়ার দলীল।
ইমাম যুহরী (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে যা রিওয়ায়াত করেছেন যে, “আমরা নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতাম যে, আমরা 'আওয়ালী'তে পৌঁছলেও সূর্য তখনও উর্ধ্বাকাশে থাকত। সম্ভবত তা উপরেও থাকত অথচ হলদেও হয়ে যেত।
অতএব আনাস (রাযিঃ)-এর এই হাদীসে 'ইযতিরাব' দিব্যমান। কারণ, যা কিছু যুহরী (রাহঃ) তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছেন এর মর্ম ওই হাদীসের পরিপন্থী, যা ইসহাক ইব্ন আব্দিল্লাহ (রাহঃ), আসিম ইবন উমার (রাহঃ) ও আবু আবইয়ায (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আনাস (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যদের থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। তা থেকে কিছু নিম্নরূপ:
বিশ্লেষণ
আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত এই হাদীসে বৈপরিত্য রয়েছে। আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদা (রাহঃ), ইসহাক ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ও আবুল আবইয়ায (রাহঃ) আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে যা রিওয়ায়াত করেছেন, তা জলদি সালাত আদায়ের স্বপক্ষে প্রমাণ বহন করে। যেহেতু তাঁদের হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা (আসরের সালাত) এমন সময় আদায় করতেন যে, কোন গমনকারী তাঁদের উল্লিখিত স্থানে গমন করত এবং তাঁদেরকে এ অবস্থায় পেত যে, তারা তখনও সালাত আদায় করেনি। আর আমরা জ্ঞাত আছি যে, তাঁরা সূর্যের রং হলদে হওয়ার পূর্বেই সালাত আদায় করে নিতেন। সুতরাং এটা জলদি পড়ার দলীল।
ইমাম যুহরী (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে যা রিওয়ায়াত করেছেন যে, “আমরা নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতাম যে, আমরা 'আওয়ালী'তে পৌঁছলেও সূর্য তখনও উর্ধ্বাকাশে থাকত। সম্ভবত তা উপরেও থাকত অথচ হলদেও হয়ে যেত।
অতএব আনাস (রাযিঃ)-এর এই হাদীসে 'ইযতিরাব' দিব্যমান। কারণ, যা কিছু যুহরী (রাহঃ) তাঁর থেকে রিওয়ায়াত করেছেন এর মর্ম ওই হাদীসের পরিপন্থী, যা ইসহাক ইব্ন আব্দিল্লাহ (রাহঃ), আসিম ইবন উমার (রাহঃ) ও আবু আবইয়ায (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আনাস (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যদের থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। তা থেকে কিছু নিম্নরূপ:
1140 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ، قَالَ: أنا زَائِدَةٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَبْيَضِ، قَالَ: ثنا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: " كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي بِنَا الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ , ثُمَّ أَرْجِعُ إِلَى قَوْمِي , وَهُمْ جُلُوسٌ فِي نَاحِيَةِ الْمَدِينَةِ , فَأَقُولُ لَهُمْ: قُومُوا فَصَلُّوا , فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ صَلَّى " فَقَدِ اخْتَلَفَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ , فَكَانَ مَا رَوَى عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ وَإِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ , وَأَبُو الْأَبْيَضِ , عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , يَدُلُّ عَلَى التَّعْجِيلِ بِهَا , لِأَنَّ فِي حَدِيثِهِمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّيهَا , ثُمَّ يَذْهَبُ الذَّاهِبُ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي ذَكَرُوا , فَيَجِدُهُمْ لَمْ يُصَلُّوا الْعَصْرَ. وَنَحْنُ نَعْلَمُ أَنَّ أُولَئِكَ لَمْ يَكُونُوا يُصَلُّونَهَا إِلَّا قَبْلَ اصْفِرَارِ الشَّمْسِ , فَهَذَا دَلِيلُ التَّعْجِيلِ. وَأَمَّا مَا رَوَى الزُّهْرِيُّ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَإِنَّهُ قَالَ: كُنَّا نُصَلِّيهَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ نَأْتِي الْعَوَالِيَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةُ , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ مُرْتَفِعَةً قَدِ اصْفَرَّتْ. فَقَدِ اضْطَرَبَ حَدِيثُ أَنَسٍ هَذَا , لِأَنَّ مَعْنَى مَا رَوَى الزُّهْرِيُّ مِنْهُ , بِخِلَافِ مَا رَوَى إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ , وَعَاصِمُ بْنُ عُمَرَ , وَأَبُو الْأَبْيَضِ عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ. وَقَدْ رُوِيَ فِي ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ غَيْرِ أَنَسٍ
