শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১১৩
যুহরের সালাতের মুস্তাহাব ওয়াক্ত
১১১৩। ইবন মারযুক (রাযিঃ)......আবু যার থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে এক মনযিলে (সফরে) ছিলাম। তখন বিলাল (রাযিঃ) আযান দিতে চাইলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, হে বিলাল! থাম। তারপর তিনি আযান দিতে চাইলেন। তিনি (ﷺ) বললেন, হে বিলাল, থাম। আবার তিনি আযান দিতে চাইলেন। তিনি বললেন, হে বিলাল থাম। অবশেষে এত বিলম্ব করা হল যে, এমনকি আমরা বালির ঢিবিগুলোর ছায়া পড়তে দেখতে পেলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে হয় গরমের তীব্রতা। প্রচন্ড গরম পড়লে (কিছুটা) শীতল সময় সালাত আদায় করবে।
1113 - بِمَا حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ مُهَاجِرِ أَبِي الْحَسَنِ , عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ , عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: " كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَنْزِلٍ , فَأَذَّنَ بِلَالٌ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَهْ يَا بِلَالُ» ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يُؤَذِّنَ فَقَالَ: «مَهْ يَا بِلَالُ» , ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يُؤَذِّنَ فَقَالَ: «مَهْ يَا بِلَالُ» حَتَّى رَأَيْنَا فَيِ التُّلُولِ , ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ , فَأَبْرِدُوا بِالصَّلَاةِ إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, গরমকালে রসূল স. যোহরের নামায ঠান্ডা করে পড়তে বলেছেন অর্থাৎ দেরি করে পড়তে বলেছেন যাতে সূর্যের তাপ কমে ঠান্ডা হয়ে যায়। এ বিষয়টি হযরত আবু মাসউদ বদরী রা. থেকে আবু দাউদ শরীফের একটি হাদীসে আরো স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ، وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حِينَ يَشْتَدُّ الْحَرُّ، আমি রসূল স.কে দেখেছি সূর্য ঢলে পড়ার সাথে সাথে যোহরের নামায আদায় করতেন। তবে গরমের প্রচন্ডতা বৃদ্ধি পেলে তিনি নামায দেরি করে আদায় করতেন। (আবু দাউদ-৩৯৪)
