শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১০৬৫
নামাযের অধ্যায়
ফজরের সালাত কখন আদায় করা (মুস্তাহাব)
১০৬৫। আবু বাকরা (রাহঃ) ও ইব্ন মারযূক (রাহঃ)..... সাইয়ার ইব্ন সালাম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমি আমার পিতার সঙ্গে আবু বারযা (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হই।আমার পিতা তাঁকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন।তিনি বললেন, তিনি (ﷺ) ফজরের সালাত শেষ করে এমন সময় ফিরতেন যে, মানুষ তার সঙ্গীর চেহারা চিনতে পারত।তিনি তাতে ষাট থেকে একশত আয়াত পর্যন্ত পাঠ করতেন।

বিশ্লেষণ
তাঁরা বলেন, এই সমস্ত হাদীস রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কর্তৃক ফজরের সালাত বিলম্বে এবং ফর্সা করে আদায় করার সপহ্মে প্রমাণ বহন করে।আর আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ)-এর হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, তিনি (ﷺ) ফজরের সালাত সকল দিনে সেই ওয়াক্তের পরিপন্থী ওয়াক্তে আদায় করতেন যেই ওয়াক্তে তিনি মুযদালিফাতে আদায় করতেন।আর এই সালাত (মুযদালিফাতে) নির্ধারিত ওয়াক্ত থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, এই সমস্ত রিওয়ায়াত এবং পূর্ববর্তী রিওয়ায়াতসমূহে এরূপ কোন কিছু নেই যা’ওইগুলোর কোন একটির ফযীলত (শ্রেষ্ঠত্ব) বুঝায়।এরূপও হতে পারে যে, তিনি কখনও একটি কাজ করেছেন, অথচ এটা ব্যতীত অন্যটি তদপেহ্মা উত্তম, যেন এতে তাঁর উম্মতের জন্য অবকাশ সৃষ্টি হয়।যেমনিভাবে তিনি (মাঝে মধ্যে) একবার একবার অঙ্গ ধৌত করে উযূ করেছেন।অথচ তিনতিনবার অঙ্গ ধৌত করে তাঁর উযূ করা ছিল তদপেহ্মা উত্তম।তাই আমরা চাচ্ছি এই সমস্ত রিওয়ায়াত ব্যতীত তাঁর থেকে বর্ণিত অন্য রিওয়ায়াতসমূহের প্রতি লহ্ম্য করব।তাতে এরূপ কোন কিছু আছে কিনা যা এর কোন একটি শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ বহন করে।নিম্নোক্ত রিওয়ায়াত লহ্ম্য করছিঃ
كتاب الصلاة
1065 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، وَابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَا: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: ثنا عَوْفٌ، عَنْ سَيَّارِ بْنِ سَلَامَةَ، قَالَ: دَخَلْتُ مَعَ أَبِي عَلَى أَبِي بَرْزَةَ فَسَأَلَهُ أَبِي عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ: «كَانَ يَنْصَرِفُ مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ وَالرَّجُلُ يَعْرِفُ وَجْهَ جَلِيسِهِ , وَكَانَ يَقْرَأُ فِيهَا بِالسِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ» قَالُوا: فَفِي هَذِهِ الْآثَارِ مَا يَدُلُّ عَلَى تَأْخِيرِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهَا , وَعَلَى تَنْوِيرِهِ بِهَا , وَفِي حَدِيثِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ كَانَ يُصَلِّي فِي سَائِرِ الْأَيَّامِ صَلَاةَ الصُّبْحِ فِي خِلَافِ الْوَقْتِ الَّذِي يُصَلِّي فِيهِ بِمُزْدَلِفَةَ , وَأَنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ تُحَوَّلُ عَنْ وَقْتِهَا قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَلَيْسَ فِي شَيْءٍ مِنْ هَذِهِ الْآثَارِ , وَلَا فِيمَا تَقَدَّمَهَا , دَلِيلٌ عَلَى الْأَفْضَلِ مِنْ ذَلِكَ مَا هُوَ؟ لِأَنَّهُ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ قَدْ فَعَلَ شَيْئًا , وَغَيْرُهُ أَفْضَلُ مِنْهُ , عَلَى التَّوْسِعَةِ مِنْهُ عَلَى أُمَّتِهِ , كَمَا تَوَضَّأَ مَرَّةً مَرَّةً , وَكَانَ وُضُوءُهُ ثَلَاثًا ثَلَاثًا , أَفْضَلُ مِنْ ذَلِكَ. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِيمَا رُوِيَ عَنْهُ سِوَى هَذِهِ الْآثَارِ , هَلْ فِيهَا مَا يَدُلُّ عَلَى الْفَضْلِ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ؟
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)