শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১০০১
আন্তর্জাতিক নং: ১০০২
' সালাতুল উস্তা ' (মধ্যবর্তী সালাত) কোনটি?
১০০১-১০০২। ইউনুস ইব্‌ন আব্দিল আ'লা (রাহঃ).. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্((ﷺ)) বলেছেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ করে বলছি, আমি ইচ্ছা করেছি যে, আমি কোন ব্যক্তিকে কিছু জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের আদেশ করব, তা সংগ্রহ হলে সালাতের আদেশ করব। তারপর এর জন্য আযান দেয়া হবে। পরে এক ব্যক্তিকে আদেশ করব, সে লোকের ইমামতি করবে। আর আমি লোকদের পেছনে থেকে গিয়ে তাদের ঘর জ্বালিয়ে দিব (যারা জামাআতে আসে না)। যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! যদি তাদের কেউ জানত যে, একখানা মাংসল হাড় অথবা দুই টুকরা বকরীর সুন্দর খুর পাবে তাহলে তারা ইশার সালাতে অবশ্যই উপস্থিত হত।

রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ)......আবুয্ যিনাদ (রাহঃ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
1001 - حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: أنا ابْنُ وَهْبٍ، أَنَّ مَالِكًا، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلًا بِحَطَبٍ فَيَحْطِبَ , ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَيُؤَذَّنَ لَهَا , ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيَؤُمَّ النَّاسَ , ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ , فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ , وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ يَعْلَمُ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَظْمًا سَمِينًا , أَوْ مِرْمَاتَيْنِ حَسَنَتَيْنِ لَشَهِدَ الْعِشَاءَ»

1002 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، وَمَالِكٌ , عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীসের ভাষ্য মোতাবেক আযান শুনেও যারা মাসজিদে না যায় রসূল স. তাদের ঘর-বাড়ী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার ধমকি দিয়েছেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ফরয নামায জামাতে আদায় করা একান্ত জরুরী।
মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে, এক অন্ধ ব্যক্তি রসূল স.-এর নিকট এসে মাসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে নামায পড়ার অনুমতি চাইলে রসূল স. তাকে অনুমতি দেননি। (মুসলিম-১৩৬১)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ১০০১ | মুসলিম বাংলা