শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৪০
সালাতের ওয়াক্ত
৯৪০। সুলায়মান ইবন শু'আইব (রাহঃ).... হুমাইদ ইবন আব্দির রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, আমি উমার (রাযিঃ) ও উসমান (রাযিঃ)-কে দেখেছি, তাঁরা রামাদান মাসে মাগরিবের সালাত সেই সময় আদায় করতেন যখন তাঁরা রাতের অন্ধকার দেখতেন। তারপর তাঁরা (সিয়ামের) ইফতার করতেন।
বিশ্লেষণ
বস্তুত ইনারা হলেন, রাসূলুল্লাহ্ -এর সাহাবীগণ, যারা বিষয়ে কোন মতভেদ করেনি যে, মাগরিবের প্রথম ওয়াক্ত হল সূর্যাস্তের পরপরই। যুক্তির দাবিও এটাই। কেননা আমরা দেখছি, দিনের আগমন ফজরের সালাতের ওয়াক্ত। অনুরূপভাবে রাতের আগমন মাগরিবের সালাতের ওয়াক্ত। আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) সহ অধিকাংশ ফকীহ আলিমদের অভিমত
মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার ব্যাপারেও (আলিমগণ) মতভেদ করেছেন। একদল আলিম বলেছেন,
যখন 'শাফাক' অদৃশ্য হয়ে যাবে আর সেটা হল (সূর্যাস্তের পর দিগন্তে) লাল আভা, তখন এর ওয়াক্ত (শেষ হয়ে যাবে। এই মত পোষণকারীদের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) অন্যতম। কতেক আলিম বলেছেন: যখন 'শাফার' অদৃশ্য হয়ে যাবে তখন এর ওয়াজ শেষ হয়ে যাবে। আর 'শাফাক' হল দিগন্তে শুভ্র আড়া যা লাল আভার পরবর্তী শুভ্র আভা। এই অভিমত পোষণকারীদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) অন্যতম।
আমাদের মতে এতে যুক্তি হল এই যে, এ বিষয়ে সকলে একমত যে, শুভ্র আভার পূর্বে যে লালিমা দিগন্তে বিস্তৃত হয় তা মাগরিবের ওয়াক্ত। তাদের মতভেদ হল, নীলমা পরবর্তী শুভ্রতার ব্যাপারে। কতেক আলিম বলেছেন, এর বিধান লালিমার অনুরূপ। কতেক আলিম বলেছেন, এর বিধান লালিমার বিধানের পরিপন্থী।
বস্তুত যখন আমরা এ বিষয়ে গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি তখন দেখতে পেয়েছি যে, ফজরের পূর্বে লালিমা প্রকাশিত হয়, পরবর্তীতে এর পরে ফজরের শুভ্রতার উন্মেষ ঘটে, সে সময়ে এ লালিমা ও শুভ্রতা উভয় ফজরের সালাতের ওয়াক্ত হিসাবে বিবেচিত। যখন এ দু'টি চলে যাবে তখন ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং যুক্তির দাবি হল যে, মাগরিবের সালাতেও শুভ্রতা ও পালিমা উভয়টি একই সালাতের ওয়াক্ত হিসাবে বিবেচিত হবে এবং উভয়ের বিধান হবে অভিন্ন। যখন এ দু'টি (অদৃশ্য) হয়ে যাবে যার জন্য এ দু'টিই ওয়াজ ছিল।
আর ইশার সালাত : ইশার ওয়াক্ত সম্পর্কে ওই সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ তা প্রথমদিনে 'শাফাক' অদৃশ্য হওয়ার পরে আদায় করেছেন। তবে জাবির ইবন আব্দিল্লাহ্ (রাযিঃ) উল্লেখ করেছেন যে, তিনি তা “শাফাক' অদৃশ্য হওয়ার পূর্বে আদায় করেছেন। আমাদের মতে সম্ভবত (আল্লাহই অধিক জাত) এতে জাবির (রাযিঃ) শাফাক' দ্বারা শুভ্রতা বুঝিয়েছেন। আর অন্যরা লালিমা বুঝিয়েছেন। সুতরাং অর্থ হবে। তিনি তা লালিমা অদৃশ্য হওয়ার পরে এবং শুদ্রতা অদৃশ্য হওয়ার পূর্বে আদায় করেছেন। এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী এই সমস্ত হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপিত (বিশুদ্ধ) হয়ে যাবে এবং পারস্পরিক বৈপরিত্য থাকবে না। এটাও সাব্যস্ত হবে যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং যার সমর্থনে তাঁদের কেউ কেউ বলেছেন যে, লালিমা অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের ওয়াক্ত।
পক্ষান্তরে ইশা'র শেষ ওয়াক্ত সম্পর্কে ইবন আব্বাস (রাযিঃ), আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) ও আবু মুসা (রাযিঃ) উল্লেখ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা রাতের (প্রথম) এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্ব করে আদায় করেছেন। জাবির ইবন আব্দিল্লাহ (রাযিঃ) বলেছেন তা তিনি এমন ওয়াক্তে আদায় করেছে যে, কতেক বলেছেন, তা রাতের এক তৃতীয়াংশ, কতেক বলেছেন, অর্ধ রাত। সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি রাতের এক তৃতীয়াংশ অভিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তা আদায় করেছেন। সুতরাং এক তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত হওয়া এর শেষ ওয়াক্ত। আবার এটারও সম্ভাবনা আছে যে, এক তৃতীয়াংশের পরে তা আদায় করেছেন, তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত হাওয়ার পরেও এর (শেষ) ওয়াক্ত অবশিষ্ট রয়েছে।
বস্তুত যখন এর সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে, তাই আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্ণিত রিওয়ায়াতকে লক্ষ্য করেছিঃ
বিশ্লেষণ
বস্তুত ইনারা হলেন, রাসূলুল্লাহ্ -এর সাহাবীগণ, যারা বিষয়ে কোন মতভেদ করেনি যে, মাগরিবের প্রথম ওয়াক্ত হল সূর্যাস্তের পরপরই। যুক্তির দাবিও এটাই। কেননা আমরা দেখছি, দিনের আগমন ফজরের সালাতের ওয়াক্ত। অনুরূপভাবে রাতের আগমন মাগরিবের সালাতের ওয়াক্ত। আর এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) সহ অধিকাংশ ফকীহ আলিমদের অভিমত
মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার ব্যাপারেও (আলিমগণ) মতভেদ করেছেন। একদল আলিম বলেছেন,
যখন 'শাফাক' অদৃশ্য হয়ে যাবে আর সেটা হল (সূর্যাস্তের পর দিগন্তে) লাল আভা, তখন এর ওয়াক্ত (শেষ হয়ে যাবে। এই মত পোষণকারীদের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) অন্যতম। কতেক আলিম বলেছেন: যখন 'শাফার' অদৃশ্য হয়ে যাবে তখন এর ওয়াজ শেষ হয়ে যাবে। আর 'শাফাক' হল দিগন্তে শুভ্র আড়া যা লাল আভার পরবর্তী শুভ্র আভা। এই অভিমত পোষণকারীদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) অন্যতম।
আমাদের মতে এতে যুক্তি হল এই যে, এ বিষয়ে সকলে একমত যে, শুভ্র আভার পূর্বে যে লালিমা দিগন্তে বিস্তৃত হয় তা মাগরিবের ওয়াক্ত। তাদের মতভেদ হল, নীলমা পরবর্তী শুভ্রতার ব্যাপারে। কতেক আলিম বলেছেন, এর বিধান লালিমার অনুরূপ। কতেক আলিম বলেছেন, এর বিধান লালিমার বিধানের পরিপন্থী।
বস্তুত যখন আমরা এ বিষয়ে গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি তখন দেখতে পেয়েছি যে, ফজরের পূর্বে লালিমা প্রকাশিত হয়, পরবর্তীতে এর পরে ফজরের শুভ্রতার উন্মেষ ঘটে, সে সময়ে এ লালিমা ও শুভ্রতা উভয় ফজরের সালাতের ওয়াক্ত হিসাবে বিবেচিত। যখন এ দু'টি চলে যাবে তখন ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং যুক্তির দাবি হল যে, মাগরিবের সালাতেও শুভ্রতা ও পালিমা উভয়টি একই সালাতের ওয়াক্ত হিসাবে বিবেচিত হবে এবং উভয়ের বিধান হবে অভিন্ন। যখন এ দু'টি (অদৃশ্য) হয়ে যাবে যার জন্য এ দু'টিই ওয়াজ ছিল।
আর ইশার সালাত : ইশার ওয়াক্ত সম্পর্কে ওই সমস্ত হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ তা প্রথমদিনে 'শাফাক' অদৃশ্য হওয়ার পরে আদায় করেছেন। তবে জাবির ইবন আব্দিল্লাহ্ (রাযিঃ) উল্লেখ করেছেন যে, তিনি তা “শাফাক' অদৃশ্য হওয়ার পূর্বে আদায় করেছেন। আমাদের মতে সম্ভবত (আল্লাহই অধিক জাত) এতে জাবির (রাযিঃ) শাফাক' দ্বারা শুভ্রতা বুঝিয়েছেন। আর অন্যরা লালিমা বুঝিয়েছেন। সুতরাং অর্থ হবে। তিনি তা লালিমা অদৃশ্য হওয়ার পরে এবং শুদ্রতা অদৃশ্য হওয়ার পূর্বে আদায় করেছেন। এই ব্যাখ্যা অনুযায়ী এই সমস্ত হাদীসের সঠিক মর্ম নিরূপিত (বিশুদ্ধ) হয়ে যাবে এবং পারস্পরিক বৈপরিত্য থাকবে না। এটাও সাব্যস্ত হবে যা আমরা উল্লেখ করেছি এবং যার সমর্থনে তাঁদের কেউ কেউ বলেছেন যে, লালিমা অদৃশ্য হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের ওয়াক্ত।
পক্ষান্তরে ইশা'র শেষ ওয়াক্ত সম্পর্কে ইবন আব্বাস (রাযিঃ), আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) ও আবু মুসা (রাযিঃ) উল্লেখ করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা রাতের (প্রথম) এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্ব করে আদায় করেছেন। জাবির ইবন আব্দিল্লাহ (রাযিঃ) বলেছেন তা তিনি এমন ওয়াক্তে আদায় করেছে যে, কতেক বলেছেন, তা রাতের এক তৃতীয়াংশ, কতেক বলেছেন, অর্ধ রাত। সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি রাতের এক তৃতীয়াংশ অভিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে তা আদায় করেছেন। সুতরাং এক তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত হওয়া এর শেষ ওয়াক্ত। আবার এটারও সম্ভাবনা আছে যে, এক তৃতীয়াংশের পরে তা আদায় করেছেন, তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত হাওয়ার পরেও এর (শেষ) ওয়াক্ত অবশিষ্ট রয়েছে।
বস্তুত যখন এর সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে, তাই আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্ণিত রিওয়ায়াতকে লক্ষ্য করেছিঃ
940 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ، قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: رَأَيْتُ عُمَرَ وَعُثْمَانَ يُصَلِّيَانِ الْمَغْرِبَ فِي رَمَضَانَ إِذَا أَبْصَرَ إِلَى اللَّيْلِ الْأَسْوَدِ , ثُمَّ يُفْطِرَانِ بَعْدُ " فَهَؤُلَاءِ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَخْتَلِفُوا فِي أَنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْمَغْرِبِ , حِينَ تَغْرُبُ الشَّمْسُ. وَهَذَا هُوَ النَّظَرُ أَيْضًا لِأَنَّا قَدْ رَأَيْنَا دُخُولَ النَّهَارِ وَقْتًا لِصَلَاةِ الصُّبْحِ , فَكَذَلِكَ دُخُولُ اللَّيْلِ وَقْتٌ لِصَلَاةِ الْمَغْرِبِ وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحِمَهُمَا اللهُ , وَعَامَّةِ الْفُقَهَاءِ وَاخْتَلَفَ النَّاسُ فِي خُرُوجِ وَقْتِ الْمَغْرِبِ فَقَالَ قَوْمٌ: " إِذَا غَابَتِ الشَّفَقُ، وَهُوَ الْحُمْرَةُ، خَرَجَ وَقْتُهَا , وَمِمَّنْ قَالَ: ذَلِكَ: أَبُو يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٌ رَحِمَهُ اللهُ. وَقَالَ آخَرُونَ: إِذَا غَابَ الشَّفَقُ وَهُوَ الْبَيَاضُ الَّذِي بَعْدَ الْحُمْرَةِ , خَرَجَ وَقْتُهَا وَمِمَّنْ قَالَ ذَلِكَ أَبُو حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللهُ. وَكَانَ النَّظَرُ فِي ذَلِكَ عِنْدَنَا أَنَّهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْحُمْرَةَ الَّتِي قَبْلَ الْبَيَاضِ مِنْ وَقْتِهَا وَإِنَّمَا اخْتِلَافُهُمْ فِي الْبَيَاضِ الَّذِي بَعْدَهُ. فَقَالَ بَعْضُهُمْ: حُكْمُهُ حُكْمُ الْحُمْرَةِ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: حُكْمُهُ خِلَافُ حُكْمِ الْحُمْرَةِ. فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ فَرَأَيْنَا الْفَجْرَ يَكُونُ قَبْلَهُ حُمْرَةٌ ثُمَّ يَتْلُوهَا بَيَاضُ الْفَجْرِ فَكَانَتِ الْحُمْرَةُ وَالْبَيَاضُ فِي ذَلِكَ وَقْتًا لِصَلَاةٍ وَاحِدَةٍ , وَهُوَ الْفَجْرُ فَإِذَا خَرَجَا , خَرَجَ وَقْتُهَا. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ الْبَيَاضُ وَالْحُمْرَةُ فِي الْمَغْرِبِ أَيْضًا وَقْتًا لِصَلَاةٍ وَاحِدَةٍ وَحُكْمُهُمَا حُكْمٌ وَاحِدٌ إِذَا خَرَجَا , خَرَجَ وَقْتَا الصَّلَاةِ اللَّذَانِ هُمَا وَقْتٌ لَهَا. وَأَمَّا الْعِشَاءُ الْآخِرَةُ فَإِنَّ تِلْكَ الْآثَارَ كُلُّهَا فِيهَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّاهَا فِي أَوَّلِ يَوْمٍ , بَعْدَمَا غَابَ الشَّفَقُ , إِلَّا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ , فَإِنَّهُ ذَكَرَ أَنَّهُ صَلَّاهَا قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ. فَيُحْتَمَلُ ذَلِكَ عِنْدَنَا وَاللهُ أَعْلَمُ أَنْ يَكُونَ جَابِرٌ عَنَى الشَّفَقَ الَّذِي هُوَ الْبَيَاضُ , وَعَنَى الْآخَرُونَ الشَّفَقَ الَّذِي هُوَ الْحُمْرَةُ , فَيَكُونَ قَدْ صَلَّاهَا بَعْدَ غَيْبُوبَةِ الْحُمْرَةِ , وَقَبْلَ غَيْبُوبَةِ الْبَيَاضِ , حَتَّى تَصِحَّ هَذِهِ الْآثَارُ وَلَا تَتَضَادَّ. وَفِي ثُبُوتِ مَا ذَكَرْنَا مَا يَدُلُّ عَلَى مَا قَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ بَعْدَ غَيْبُوبَةِ الْحُمْرَةِ وَقْتُ الْمَغْرِبِ إِلَى أَنْ يَغِيبَ الْبَيَاضُ. وَأَمَّا آخِرُ وَقْتِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ فَإِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا وَأَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ وَأَبَا مُوسَى , ذَكَرُوا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَّرَهَا إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ , ثُمَّ صَلَّاهَا. وَقَالَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ: صَلَّاهَا فِي وَقْتٍ قَالَ بَعْضُهُمْ: هُوَ ثُلُثُ اللَّيْلِ , وَقَالَ بَعْضُهُمْ: هُوَ نِصْفُ اللَّيْلِ فَاحْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ صَلَّاهَا قَبْلَ مُضِيِّ الثُّلُثِ , فَيَكُونُ مُضِيُّ الثُّلُثِ , هُوَ آخِرُ وَقْتِهَا. وَاحْتُمِلَ أَنْ يَكُونَ صَلَّاهَا بَعْدَ الثُّلُثِ , فَيَكُونُ قَدْ بَقِيَتْ بَقِيَّةٌ مِنْ وَقْتِهَا بَعْدَ خُرُوجِ الثُّلُثِ. فَلَمَّا احْتُمِلَ ذَلِكَ , نَظَرْنَا فِيمَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ
