আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৯০
সূরা মুমতাহিনা
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, لَا تَجْعَلْنَا অর্থ আমাদেরকে কাফিরদের হাতে শাস্তি দিও না। তাহলে তারা বলবে, যদি মুসলমানরা হাকের উপর থাকত, তাহলে তাদের উপর এ মুসীবত আসত না। بِعِصَمِ الْكَوَافِرِ নবী (ﷺ)-এর সহাবীদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাঁরা যেন তাদের ঐ স্ত্রীদের বর্জন করে, যারা মক্কাতে কাফির অবস্থায় বিদ্যমান আছে।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, لَا تَجْعَلْنَا অর্থ আমাদেরকে কাফিরদের হাতে শাস্তি দিও না। তাহলে তারা বলবে, যদি মুসলমানরা হাকের উপর থাকত, তাহলে তাদের উপর এ মুসীবত আসত না। بِعِصَمِ الْكَوَافِرِ নবী (ﷺ)-এর সহাবীদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাঁরা যেন তাদের ঐ স্ত্রীদের বর্জন করে, যারা মক্কাতে কাফির অবস্থায় বিদ্যমান আছে।
৪৫২৯। হুমায়দী (রাহঃ) ...... আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) যুবাইর (রাযিঃ), মিকদাদ (রাযিঃ) ও আমাকে পাঠালেন এবং বললেন, তোমরা ‘রওযা খাখ’ নামক স্থানে যাও। সেখানে এক উষ্ট্রারোহিণী মহিলা পাবে। তার সাথে একখানা পত্র রয়েছে, তোমরা তার থেকে সে পত্রখারা নিয়ে নেবে। এরপর আমরা রওয়ানা হলাম। আমাদের ঘোড়া আমাদেরকে নিয়ে ছুটে চলল। যেতে যেতে আমরা রওযা খাখ নামক স্থানে গিয়ে পৌঁছলাম। সেখানে পৌঁছেই আমরা উষ্ট্রারোহিণীকে পেয়ে গেলাম। আমরা বললাম, পত্রখানা বের কর। সে বলল, আমার সাথে কোন পত্র নেই। আমরা বললাম, অবশ্যই তুমি পত্রখানা বের করবে, তা না হলে তোমাকে বিবস্ত্র করে ফেলা হবে। এরপর সে তার চুলের বেণী থেকে পত্রখানা বের করল। আমরা পত্রখানা নিয়ে নবী (ﷺ) এর কাছে এলাম। দেখা গেল, পত্রখানা হাতিব ইবনে আবু বালতাআহ (রাযিঃ) এর পক্ষ হতে মক্কার কতিপয় মুশরিকের কাছে লিখা। এ চিঠিতে তিনি নবী (ﷺ) এর বিষয় তাদের কাছে ব্যক্ত করে দিয়েছেন। নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, হাতিব কী ব্যাপার? তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার ব্যাপারে ত্বরিৎ কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। আমি কুরাইশ বংশীয় লোকদের সাথে বসবাসকারী এক ব্যক্তি, কিন্ত বংশগতভাবে তাদের সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই। আপনার সাথে যত মুহাজির আছেন, তাদের সবারই সেখানে আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। এসব আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে মক্কায় তাদের পরিবার-পরিজন এবং ধন-সম্পদ রক্ষা পাচ্ছে। আমি চেয়েছিলাম, যেহেতু তাদের সাথে আমার বংশগত কোন সম্পর্ক নেই, তাই এবার যদি আমি তাদের প্রতি অনুগ্রহ করি, তাহলে হয়তো তারাও আমার আত্মীয়-স্বজনের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবে। কুফর ও স্বীয় ধর্মত্যাগ করার মনোভাব নিয়ে আমি এ কাজ করিনি।
তখন নবী (ﷺ) বললেন, সে তোমাদের কাছে সত্য কথাই বলেছে। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে অনুমতি দিন এখনই আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। নবী (ﷺ) বললেন, সে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। তুমি কি জানো না, আল্লাহ অবশ্যই বদরে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি লক্ষ্য করে বলেছেনঃ “তোমরা যা চাও কর, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি”। আমর বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছেঃ “হে ঈমানদারগণ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না” (সূরা ৬০, আয়াত ০১)।
সুফিয়ান বলেন, আয়াতটি হাদীসের অংশ না আমর (রা)-এর কথা তা আমি জানি না।
তখন নবী (ﷺ) বললেন, সে তোমাদের কাছে সত্য কথাই বলেছে। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে অনুমতি দিন এখনই আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। নবী (ﷺ) বললেন, সে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। তুমি কি জানো না, আল্লাহ অবশ্যই বদরে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি লক্ষ্য করে বলেছেনঃ “তোমরা যা চাও কর, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছি”। আমর বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নাযিল হয়েছেঃ “হে ঈমানদারগণ! আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না” (সূরা ৬০, আয়াত ০১)।
সুফিয়ান বলেন, আয়াতটি হাদীসের অংশ না আমর (রা)-এর কথা তা আমি জানি না।
