শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৮১০
আযানের পদ্ধতি
৮১০। ইব্ন মারযূক (রাহঃ)..... আব্দুর রহমান ইব্ন লায়লা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইব্ন যায়দ (রাযিঃ) আসমান থেকে এক ব্যক্তিকে অবতীর্ণ হতে দেখেছেন, যার শরীরে দুটি সবুজ কাপড় বা দু’টি সবুজ চাদর ছিল।তিনি দেয়ালের উপর দাঁড়িয়ে গেলেন এবং আওয়াজ দিলেনঃ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ তিনি আযান সেইরূপ উল্লেখ করলেন যেরূপ আবু মাহযূরা (রাযিঃ) উল্লেখ করেছেন।কিন্তু ‘তারজী’ব উল্লেখ করেননি।তারপর তিনি নবী (ﷺ)-এর দরবারে এসে তাঁকে বললেন, তিনি তাকে বললেন, তুমি অত্যন্ত উত্তম স্বপ্ন দেখেছ, তা বিলাল (রাযিঃ)-কে শিখিয়ে দাও।
810 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ دَاوُدَ , عَنِ الْأَعْمَشِ , عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ زَيْدٍ رَأَى رَجُلًا نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ عَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَخْضَرَانِ , أَوْ بُرْدَانِ أَخْضَرَانِ , فَقَامَ عَلَى جِذْمِ حَائِطٍ فَنَادَى اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ. فَذَكَرَ الْأَذَانَ عَلَى مَا فِي حَدِيثِ أَبِي مَحْذُورَةَ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ التَّرْجِيعَ , فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: «نِعْمَ مَا رَأَيْتُ عَلِّمْهُ بِلَالًا»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
উপরিউক্ত হাদীসের ভিত্তিতে আমরা উক্ত পদ্ধতির আযান ও ইকামাত আমাদের আমল হিসেবে গ্রহণ করেছি। (আলমগিরী: ১/৫৫) আমাদের গৃহীত পদ্ধতিতে আযানের শুরুতে الله أَكْبَرُ চারবার বলতে হয়। কোন কোন ইমাম অন্য হাদীসের ভিত্তিতে আযানের শুরুতে দু’বার الله أَكْبَرُ বলে থাকেন। আবার আমাদের গৃহীত পদ্ধতিতে আযানের মধ্যে কোন ‘তারজী’ নেই। উল্লেখ্য, ‘তারজী’ হলো: উভয় শাহাদাত দু’বার করে নীচু আওয়াজে বলে পুনরায় দু’বার উঁচু আওয়াজে বলা।
এর বিপরীতে কোন কোন ইমাম হযরত আবু মাহজুরা রা. থেকে বর্ণিত হাদীসের ভিত্তিতে আযানের মধ্যে ‘তারজী’ করে থাকেন। কিন্তু আমাদের গৃহীত পদ্ধতিই উত্তম। কারণ উপরোল্লিখিত হাদীস দ্বারা আযানের সূচনা হয়েছে। আর এতে যেমন ‘তারজী’ নেই, তেমন আযানের শুরুতে الله أَكْبَرُ দু’বারও বর্ণিত নেই। এ ব্যাপারে ইবনুল জাওঝী ‘আত তাহকীক ফী আহাদীসিল খিলাফ’ কিতাবে বর্ণনা করেন যে,وَهَذَا الحَدِيث أصل التأذين و لَيْسَ فِيهِ تَرْجِيع فَدلَّ عَلَى أَنه الْمُسْتَحبّ و عَلَيْهِ عمل أهل الْمَدِينَة وَالْأَخْذ بالمتأخر من حَال رَسُول الله صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّم এ হাদীসটি আযানের মূল। আর এখানে তারজী’ নেই। সুতরাং এ হাদীস এটা প্রমাণ করে যে, ‘তারজী’ না করা মুস্তাহাব। আর এটা মদীনাবাসীদের আমল এবং এটাকেই রসূলুল্লাহ স.-এর শেষ আমল হিসেবে গ্রহণ করা হয়। (আত তাহকীক: ৩৫৮ নাম্বার হাদীসের আলোচনায়)
এর বিপরীতে কোন কোন ইমাম হযরত আবু মাহজুরা রা. থেকে বর্ণিত হাদীসের ভিত্তিতে আযানের মধ্যে ‘তারজী’ করে থাকেন। কিন্তু আমাদের গৃহীত পদ্ধতিই উত্তম। কারণ উপরোল্লিখিত হাদীস দ্বারা আযানের সূচনা হয়েছে। আর এতে যেমন ‘তারজী’ নেই, তেমন আযানের শুরুতে الله أَكْبَرُ দু’বারও বর্ণিত নেই। এ ব্যাপারে ইবনুল জাওঝী ‘আত তাহকীক ফী আহাদীসিল খিলাফ’ কিতাবে বর্ণনা করেন যে,وَهَذَا الحَدِيث أصل التأذين و لَيْسَ فِيهِ تَرْجِيع فَدلَّ عَلَى أَنه الْمُسْتَحبّ و عَلَيْهِ عمل أهل الْمَدِينَة وَالْأَخْذ بالمتأخر من حَال رَسُول الله صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّم এ হাদীসটি আযানের মূল। আর এখানে তারজী’ নেই। সুতরাং এ হাদীস এটা প্রমাণ করে যে, ‘তারজী’ না করা মুস্তাহাব। আর এটা মদীনাবাসীদের আমল এবং এটাকেই রসূলুল্লাহ স.-এর শেষ আমল হিসেবে গ্রহণ করা হয়। (আত তাহকীক: ৩৫৮ নাম্বার হাদীসের আলোচনায়)
