শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৭৬৩
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
জানাবাতগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য ঘুম, পানাহার বা স্ত্রী মিলনের বিধান প্রসঙ্গে
৭৬৩। ফাহাদ (রাহঃ)..... আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি একবার আসওয়াদ ইব্ন ইয়াযীদ (রাহঃ)-এর নিকট এলাম আর তিনি আমার ভাই এবং বন্ধু ছিলেন।আমি বললাম, হে আবু আমর ! আমাকে সেই হাদীস বর্ণনা করুন, যা উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সালাত সম্পর্কে আপনাকে বর্ণনা করেছেন।তিনি বললেন, উম্মুল মু’মিনীন (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রাতের প্রথম অংশে ঘুমাতেন আর এর শেষ অংশে (ইবাদাতের সাথে) জাগ্রত থাকতেন।তারপর যদি তাঁর (সহবাসের) কোন প্রয়োজন হত তাহলে তা পূর্ণ করতেন। এবং পানি স্পর্শ করা ব্যতীত ঘুমাতেন।যখন প্রথম আযান হত, দ্রুত ‘লাফিয়ে উঠতেন’।আয়িশা (রাযিঃ) উঠে দাঁড়াতেন’ শব্দটি বলেননি।তারপর নিজের উপর পানি ঢালতেন।আয়িশা (রাযিঃ) ‘গোসল করতেন’ শব্দটি বলেননি।আর আমি অবহিত আছি যে, তিনি (আয়িশা রা) কি বুঝাতে চেয়েছেন ! যদি তিনি জানাবাতগ্রস্ত হতেন তাহলে সেইভাবে উযূ করতেন, যেমনিভাবে মানুষ সালাতের জন্য উযূ করে থাকে।

বিশ্লেষণ
বস্তুত এই আসওয়াদ ইব্ন ইয়াযীদ (রাহঃ) তাঁর এ হাদীসে (যা আমরা পূর্ণরূপে উল্লেক করেছি) স্পষ্টত বর্ণনা করেছেন যে, তিনি যদি জানাবাতগ্রস্ত হতেন এবং ঘুমানোর ইচ্ছা পোষণ করতেন তাহলে সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করতেন।উম্মুল মু’মিনীন (রাযিঃ)-এর উক্তি “যদি তাঁর (সহবাসের) প্রয়োজন হত তাহলে তা পুরা করতেন, তারপর পানি স্পর্শ করার পূর্বে ঘুমাতেন” এতে সম্ভবত সেই পানির কথা বুঝিয়েছেন, যার দ্বারা তিনি গোসল করতেন।উযূর উপর প্রয়োগ হবে না। উক্ত বিষয়টি আবু ইসহাক (রাহঃ) ব্যতীত অন্য রাবীগণও আসওয়াদ (রাহঃ) সূত্রে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (ﷺ) সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করতেন। তা নিম্নরূপঃ
كتاب الطهارة
763 - وَذَلِكَ أَنَّ فَهْدًا حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ , قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ قَالَ: أَتَيْتُ الْأَسْوَدَ بْنَ يَزِيدَ , وَكَانَ لِي أَخًا وَصَدِيقًا. فَقُلْتُ يَا أَبَا عَمْرٍو , حَدِّثْنِي مَا حَدَّثَتْكَ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ , عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنَامُ أَوَّلَ اللَّيْلِ وَيُحْيِي آخِرَهُ , ثُمَّ إِنْ كَانَتْ لَهُ حَاجَةٌ قَضَى حَاجَتَهُ , ثُمَّ يَنَامُ قَبْلَ أَنْ يَمَسَّ مَاءً فَإِذَا كَانَ عِنْدَ النِّدَاءِ الْأَوَّلِ , وَثَبَ وَمَا قَالَتْ قَامَ فَأَفَاضَ عَلَيْهِ الْمَاءَ» , وَمَا قَالَتْ «اغْتَسَلَ وَأَنَا أَعْلَمُ مَا تُرِيدُ وَإِنْ كَانَ جُنُبًا تَوَضَّأَ وُضُوءَ الرَّجُلِ لِلصَّلَاةِ» فَهَذَا الْأَسْوَدُ بْنُ يَزِيدَ قَدْ أَبَانَ فِي حَدِيثِهِ لَمَا ذَكَرْنَاهُ بِطُولِهِ أَنَّهُ «كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ وَهُوَ جُنُبٌ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ» . وَأَمَّا قَوْلُهَا «فَإِنْ كَانَتْ لَهُ حَاجَةٌ قَضَاهَا , ثُمَّ يَنَامُ قَبْلَ أَنْ يَمَسَّ مَاءً» فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ قُدِّرَ ذَلِكَ عَلَى الْمَاءِ الَّذِي يَغْتَسِلُ بِهِ لَا عَلَى الْوُضُوءِ. وَقَدْ بَيَّنَ ذَلِكَ غَيْرُ أَبِي إِسْحَاقَ , عَنِ الْأَسْوَدِ , عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «كَانَ يَتَوَضَّأُ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ»