আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৮১
সূরা ওয়াকি’আ
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, رُجَّتْ অর্থ প্রকম্পিত হবে। بُسَّتْ অর্থ চূর্ণ-বিচূর্ণ হওয়া, ছাতু যেমন চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হয় তেমনিভাবে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হবে। الْمَخْضُوْدُ অর্থ বোঝার কারণে চরম ভারাক্রান্ত। কণ্টকহীন বৃক্ষকেও مَخْضُوْدُ বলা হয়। مَنْضُوْدٍ অর্থ কলা। الْعُرُبُ অর্থ স্বামীর কাছে প্রিয়তমা স্ত্রীগণ। ثُلَّةٌ অর্থ উম্মত। يَحْمُوْمٍ অর্থ কালো ধোঁয়া। يُصِرُّوْنَ অর্থ তারা অবিরাম করতে থাকবে। الْهِيْمُ অর্থ পিপাসিত উট। لَمُغْرَمُوْنَ অর্থ যাদের উপর ঋণ পরিশোধ করা অপরিহার্য করে দেয়া হয়েছে। رَوْحُ অর্থ উদ্যান ও কোমলতা। اَلرَيْحَانُ অর্থ জীবনোপকরণ। نَنْشَأَكُمْ অর্থ যে কোন আকৃতিতে আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করব।
মুজাহিদ ব্যতীত অন্যান্য মুফাসসির বলেন, تَفَكَّهُوْنَ অর্থ তোমরা বিস্মিত হয়ে যাবে। عُرُبًا বহুবচন। একবচনে عَرُوْبٌ যেমন, صُبُرٌ বহুবচন। একবচনে صَبُوْرٍ মক্কাবাসী লোকেরা তাকে الْعَرِبَةَ মদীনা্বাসী লোকেরা الْغَنِجَةَ এবং ইরাকী লোকেরা তাকে الشَّكِلَةَ বলে। তিনি আরো বলেন, خَافِضَةٌ অর্থ তা একদল লোককে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। رَافِعَةٌ অর্থ তা একদল লোককে জান্নাতে নিয়ে যাবে। مَوْضُوْنَةٍ অর্থ গ্রথিত। এর থেকেই وَضَيْنُ النَّاقِةٍ শব্দটির উৎপত্তি (অর্থ উটের পালানের রশি) الكُوْبُ অর্থ নল ও হাতলবিহীন পানপাত্র। الْأَبَارِيْقُ অর্থ নল ও হাতল সম্পন্ন লোটা। مَسْكُوْبٍ অর্থ প্রবহমান। وَفُرُشٍ مَّرْفُوْعَةٍ একটির উপর আরেকটি বিছানো শয্যাসমূহ। مُتْرَفِيْنَ অর্থ ভোগ বিলাসী লোকজন। مَا تُمْنُوْنَ মহিলাদের গর্ভাশয়ে নিক্ষিপ্ত বীর্য। لِلْمُقْوِيْنَ অর্থ মুসাফিরদের জন্য। الْقِيُّ অর্থ ঘাস, পানি এবং জন-মানবহীন ভূমি। بِمَوَاقِعِ النُّجُوْمِ মানে কুরআনের মুহ্কাম আয়াতসমূহ। بِمَسْقِطِ النُّجُوْمِ অর্থ নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের স্থান। مَوَاقِعٌ এবং مَوْقِعٌ শব্দ দু’টো একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। مُدْهِنُوْنَ মানে তুচ্ছকারী লোকজন। যেমন অন্যত্র আছে, لَوْ تُدْهِنُ فَيُدْهِنُوْنَ যদি তুমি তুচ্ছ কর, তবে তারাও তুচ্ছ করবে। فَسَلَامٌ لَكَ তোমার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। কেননা, তুমি দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত। এখানে إِنَّ শব্দটি উহ্য আছে। যেমন, اِنِّىْ مُسَافِرٌ عَنْ قَلِيْلٍ এর উত্তরে কথিত أَنْتَ مُصَدَّقٌ مُّسَافِرٌ عَنْ قَلِيْلٍ বাক্যের মাঝে إِنَّ শব্দটি উহ্য আছে। মূলে ছিল إِنَّكَ مُسَافِرٌ শ্রোতার প্রতি দুআ হিসেবেও سَلَامَ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন فَسَقْيًا مِّنْ الرِّجَالِ (পরিতৃপ্ত লোকজন) বাক্যটিও দুআ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। سَلَامٌ শব্দটিকে مَرْفُوْعٌ পড়া হলে তা দুআ হিসেবেই গণ্য হবে। تُوْرُوْنَ তোমরা বের কর, প্রজ্জ্বলিত কর। পক্ষান্তরে أَوْرَيْتُ بِمَعْزٍ اَوْ فَدْتُ থেকে تُوْرُوْنَ শব্দটির উৎপত্তি। لَغْوًا অর্থ অসার। تَأْثِيْمًا অর্থ মিথ্যা বাক্য।
৪৫২০। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু হুরাইরা (রাযিঃ)নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, “জান্নাতের মধ্যে এমন একটি বৃক্ষ আছে, যার ছায়ায় একজন সাওয়ারী একশত বছর চলতে থাকবে, তবুও সে এ ছায়া অতিক্রম করতে পারবে না। তোমার ইচ্ছা হলে তুমি (সম্প্রসারিত ছায়া) পাঠ করতে পার”।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন