শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৭২৭
জুমআর দিন গোসল করা।
৭২৭। সালিহ ইবন আব্দির রহমান (রাহঃ)....... সাঈদ ইব্ন আবৃদির রহমান ইব্ন আবয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, জুমু'আর দিন গোসল করার পর যদি তাঁর পিতার উযূ নষ্ট হয়ে যেত তাহলে তিনি উযূ করতেন এবং পুনরায় গোসল করতেন না।
উক্ত প্রশ্নকারীকে বলা হবে ঃ আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতে ফরয হওয়ার কোনরূপ প্রমাণ নেই। যেহেতু যাযান (রাহঃ) যখন তাঁকে বললেন, আমি সেই গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছি যেটা (প্রকৃত) 'গোসল' অর্থাৎ যাতে ফযীলত লাভ হয়। তখন তিনি বললেন, জুমু'আর দিন, ঈদুল ফিতরের দিন, কুরবানীর দিন ও আরাফার দিন। তিনি সেই দিনগুলোর একটিকে অপরটির সাথে মিলিত করে বলেছেন। জুমু'আর দিনের গোসলের সাথে যা উল্লেখ করেছেন (ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ইত্যাদি) যখন তা ফরয নয়, তাহলে জুমু'আর দিনের গোসলের বিধানও অনুরূপ হবে (ফরয নয়)।
আর সা'দ (রাযিঃ) থেকে তাঁর যে উক্তি বর্ণিত হয়েছে যে, "আমি জুমু'আর দিন কোন মুসলমানকে গোসল পরিত্যাগকারী দেখলাম না।" এর মর্ম হচ্ছেঃ এতে অল্প কষ্টে অধিক ফযীলত লাভ হয়। আর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে তাঁর যে উক্তি বর্ণিত আছে ঃ “আল্লাহ্ তা'আলার হক এবং প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওয়াজিব (আবশ্যিক) যে, সে প্রতি সপ্তাহে (একদিন) গোসল করবে। বস্তুত এতে তিনি ওটাকে “সে সুগন্ধি ব্যবহার করবে যদি তার গৃহে তা বিদ্যমান থাকে” তাঁর এ উক্তির সাথে মিলিত করে বলেছেন। সুতরাং যেভাবে সুগন্ধি ব্যবহার করা ফরয নয়, অনুরূপভাবে গোসলও (ফরয নয়)। উপরন্তু তিনি উমার (রাযিঃ) থেকে সেই কথাও শুনেছেন, যা তিনি উসমান (রাযিঃ)-কে বলেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাঁর উপস্থিতিতে উমার (রাযিঃ) তাঁকে (উসমান রা) ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেননি। তিনি (আবু হুরায়রা রা) এ বিষয়ে তাঁর বিরোধিতা করেননি। অতএব এটাও প্রমাণ বহন করে যে, তাঁর নিকটও এর (গোসলের) বিধান অনুরূপ (ওয়াজিব নয়)। আর আবু কাতাদা (রাযিঃ)-এর যে উক্তি আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি, এর উদ্দেশ্য হল, জুমু'আর দিন ইচ্ছাকৃতভাবে জুমু'আর জন্য গোসল করবে, যেন এর ফযীলত লাভ হয়। পক্ষান্তরে আব্দুর রহমান ইব্ন আবয়া (রাযিঃ) থেকে আমরা এর পরিপন্থী রিওয়ায়াতও বর্ণনা করেছি। বস্তুত সমস্ত কিছু যা আমরা এ অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি, এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
উক্ত প্রশ্নকারীকে বলা হবে ঃ আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতে ফরয হওয়ার কোনরূপ প্রমাণ নেই। যেহেতু যাযান (রাহঃ) যখন তাঁকে বললেন, আমি সেই গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছি যেটা (প্রকৃত) 'গোসল' অর্থাৎ যাতে ফযীলত লাভ হয়। তখন তিনি বললেন, জুমু'আর দিন, ঈদুল ফিতরের দিন, কুরবানীর দিন ও আরাফার দিন। তিনি সেই দিনগুলোর একটিকে অপরটির সাথে মিলিত করে বলেছেন। জুমু'আর দিনের গোসলের সাথে যা উল্লেখ করেছেন (ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ইত্যাদি) যখন তা ফরয নয়, তাহলে জুমু'আর দিনের গোসলের বিধানও অনুরূপ হবে (ফরয নয়)।
আর সা'দ (রাযিঃ) থেকে তাঁর যে উক্তি বর্ণিত হয়েছে যে, "আমি জুমু'আর দিন কোন মুসলমানকে গোসল পরিত্যাগকারী দেখলাম না।" এর মর্ম হচ্ছেঃ এতে অল্প কষ্টে অধিক ফযীলত লাভ হয়। আর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে তাঁর যে উক্তি বর্ণিত আছে ঃ “আল্লাহ্ তা'আলার হক এবং প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওয়াজিব (আবশ্যিক) যে, সে প্রতি সপ্তাহে (একদিন) গোসল করবে। বস্তুত এতে তিনি ওটাকে “সে সুগন্ধি ব্যবহার করবে যদি তার গৃহে তা বিদ্যমান থাকে” তাঁর এ উক্তির সাথে মিলিত করে বলেছেন। সুতরাং যেভাবে সুগন্ধি ব্যবহার করা ফরয নয়, অনুরূপভাবে গোসলও (ফরয নয়)। উপরন্তু তিনি উমার (রাযিঃ) থেকে সেই কথাও শুনেছেন, যা তিনি উসমান (রাযিঃ)-কে বলেছেন, যা আমরা উল্লেখ করেছি। তাঁর উপস্থিতিতে উমার (রাযিঃ) তাঁকে (উসমান রা) ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেননি। তিনি (আবু হুরায়রা রা) এ বিষয়ে তাঁর বিরোধিতা করেননি। অতএব এটাও প্রমাণ বহন করে যে, তাঁর নিকটও এর (গোসলের) বিধান অনুরূপ (ওয়াজিব নয়)। আর আবু কাতাদা (রাযিঃ)-এর যে উক্তি আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি, এর উদ্দেশ্য হল, জুমু'আর দিন ইচ্ছাকৃতভাবে জুমু'আর জন্য গোসল করবে, যেন এর ফযীলত লাভ হয়। পক্ষান্তরে আব্দুর রহমান ইব্ন আবয়া (রাযিঃ) থেকে আমরা এর পরিপন্থী রিওয়ায়াতও বর্ণনা করেছি। বস্তুত সমস্ত কিছু যা আমরা এ অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি, এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
727 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى «أَنَّ أَبَاهُ كَانَ يُحْدِثُ بَعْدَمَا يَغْتَسِلُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ , فَيَتَوَضَّأُ , وَلَا يُعِيدُ الْغُسْلَ» قِيلَ لَهُ: أَمَّا مَا رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , فَلَا دَلَالَةَ فِيهِ عَلَى الْفَرْضِ , لِأَنَّهُ لَمَّا قَالَ لَهُ زَاذَانُ: إِنَّمَا أَسْأَلُكَ عَنِ الْغُسْلِ الَّذِي هُوَ الْغُسْلُ , أَيِ الَّذِي فِي إِصَابَتِهِ الْفَضْلُ قَالَ: «يَوْمُ الْجُمُعَةِ , وَيَوْمُ الْفِطْرِ , وَيَوْمُ النَّحْرِ , وَيَوْمُ عَرَفَةَ» فَقَرَنَ بَعْضَ ذَلِكَ بِبَعْضٍ. فَلَمَّا كَانَ مَا ذَكَرَ مَعَ غُسْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ , لَيْسَ عَلَى الْفَرْضِ , فَكَذَلِكَ غُسْلُ يَوْمِ الْجُمُعَةِ. وَأَمَّا مَا رُوِيَ عَنْ سَعْدٍ مِنْ قَوْلِهِ: «مَا كُنْتُ أَرَى أَنَّ مُسْلِمًا يَدَعُ الْغُسْلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ» أَيْ لِمَا فِيهِ مِنَ الْفَضْلِ الْكَبِيرِ مَعَ خِفَّةِ مُؤْنَتِهِ. وَأَمَّا مَا رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِنْ قَوْلِهِ «حَقُّ اللهِ وَاجِبٌ , عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ يَغْتَسِلُ فِي كُلِّ سَبْعَةِ أَيَّامٍ» . فَقَدْ قَرَنَ ذَلِكَ بِقَوْلِهِ «وَلْيَمَسَّ طِيبًا إِنْ كَانَ لِأَهْلِهِ» فَلَمْ يَكُنْ مَسِيسُ الطِّيبِ عَلَى الْفَرْضِ , فَكَذَلِكَ الْغُسْلُ. فَقَدْ سَمِعَ عُمَرَ يَقُولُ لِعُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: مَا ذَكَرْنَاهُ , وَلَمْ يَأْمُرْهُ بِالرُّجُوعِ بِحَضْرَتِهِ , فَلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ عَلَيْهِ , فَذَلِكَ أَيْضًا دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ عِنْدَهُ كَذَلِكَ. وَأَمَّا مَا رُوِيَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ , مِمَّا ذَكَرْنَا عَنْهُ فِي ذَلِكَ فَهُوَ إِرَادَةٌ مِنْهُ لِلْقَصْدِ بِالْغُسْلِ إِلَى الْجُمُعَةِ , لِإِصَابَةِ الْفَضْلِ فِي ذَلِكَ ; وَقَدْ رَوَيْنَا عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى خِلَافَ ذَلِكَ. وَجَمِيعُ مَا بَيَّنَّاهُ فِي هَذَا الْبَابِ , هُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ. رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى


বর্ণনাকারী: