শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৬৭
তায়াম্মুমের পদ্ধতি কিরূপ
৬৬৭। মুহাম্মাদ ইব্ন নো'মান (রাহঃ) ও ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)..... আম্মার ইন ইয়াসির (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।
বিশ্লেষণ ইমাম আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এমত গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা বলেছেন, তায়াম্মুমের পদ্ধতি এরূপই যে, একবার চেহারার জন্য, একবার কাঁধ ও বগল পর্যন্ত দুই বাহুর জন্য মারবে। পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তারা আবার দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। তাঁদের একদল বলেন, তায়াম্মুম হল, চেহারা ও কনুই পর্যন্ত হাতের জন্য। তাঁদের অপর দল বলেন, তায়াম্মুম (শুধু) চেহারা ও দুই হাতের কবজির জন্য। প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে এই দুই দল আলিমের প্রমাণ হল যে, আম্মার ইবন ইয়াসির (রাযিঃ) এই কথা উল্লেখ করেননি যে, নবী (ﷺ) তাঁদেরকে এভাবে তায়াম্মুম করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তাদেরকে সাহাবীগণের আমল সম্পর্কে খবর দিয়েছেন। সুতরাং হতে পারে যখন আয়াত নাযিল হয় তখন তা পূর্ণরূপে নাযিল হয়নি। বরং শুধু এর এ অংশটি নাযিল হয়েছেঃ
"তোমরা পাক মাটির দ্বারা তায়াম্মুম কর" এবং তাদের জন্য তায়াম্মুমের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়নি। তাঁদের মতে
তায়াম্মুমের সেই পদ্ধতিই হবে যেভাবে তারা করেছেন। না এর জন্য ওয়াক্ত নির্ধারিত করা হয়েছিল, না কোন বিশেষ অঙ্গ নির্ধারিত হয়েছিল। অবশেষে পরবর্তীতে নাযিল হয়েছে :
“সুতরাং নিজ চেহারা ও হাত (পাক মাটি দ্বারা) মাসেহ কর।” এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে প্রমাণ বহনকারী নিম্নোক্ত এ রিওয়ায়াতটিও উল্লেখযোগ্য :
বিশ্লেষণ ইমাম আবু জাফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিম এমত গ্রহণ করেছেন এবং তাঁরা বলেছেন, তায়াম্মুমের পদ্ধতি এরূপই যে, একবার চেহারার জন্য, একবার কাঁধ ও বগল পর্যন্ত দুই বাহুর জন্য মারবে। পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন। তারা আবার দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছেন। তাঁদের একদল বলেন, তায়াম্মুম হল, চেহারা ও কনুই পর্যন্ত হাতের জন্য। তাঁদের অপর দল বলেন, তায়াম্মুম (শুধু) চেহারা ও দুই হাতের কবজির জন্য। প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে এই দুই দল আলিমের প্রমাণ হল যে, আম্মার ইবন ইয়াসির (রাযিঃ) এই কথা উল্লেখ করেননি যে, নবী (ﷺ) তাঁদেরকে এভাবে তায়াম্মুম করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তাদেরকে সাহাবীগণের আমল সম্পর্কে খবর দিয়েছেন। সুতরাং হতে পারে যখন আয়াত নাযিল হয় তখন তা পূর্ণরূপে নাযিল হয়নি। বরং শুধু এর এ অংশটি নাযিল হয়েছেঃ
"তোমরা পাক মাটির দ্বারা তায়াম্মুম কর" এবং তাদের জন্য তায়াম্মুমের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়নি। তাঁদের মতে
তায়াম্মুমের সেই পদ্ধতিই হবে যেভাবে তারা করেছেন। না এর জন্য ওয়াক্ত নির্ধারিত করা হয়েছিল, না কোন বিশেষ অঙ্গ নির্ধারিত হয়েছিল। অবশেষে পরবর্তীতে নাযিল হয়েছে :
“সুতরাং নিজ চেহারা ও হাত (পাক মাটি দ্বারা) মাসেহ কর।” এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে প্রমাণ বহনকারী নিম্নোক্ত এ রিওয়ায়াতটিও উল্লেখযোগ্য :
667 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النُّعْمَانِ، وَابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَا: ثنا الْأُوَيْسِيُّ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا , فَقَالُوا: هَكَذَا التَّيَمُّمُ , ضَرْبَةٌ لِلْوَجْهِ , وَضَرْبَةٌ لِلذِّرَاعَيْنِ إِلَى الْمَنَاكِبِ وَالْآبَاطِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَافْتَرَقُوا فِرْقَتَيْنِ. فَقَالَتْ فِرْقَةٌ مِنْهُمْ: التَّيَمُّمُ لِلْوَجْهِ وَالْيَدَيْنِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ وَقَالَتْ فِرْقَةٌ مِنْهُمْ: التَّيَمُّمُ لِلْوَجْهِ وَالْكَفَّيْنِ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِهَذَيْنِ الْفَرِيقَيْنِ عَلَى الْفِرْقَةِ الْأُولَى , أَنَّ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ لَمْ يَذْكُرْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُمْ أَنْ يَتَيَمَّمُوا كَذَلِكَ , وَإِنَّمَا أَخْبَرَهُمْ عَنْ فِعْلِهِمْ. فَقَدْ يَحْتَمِلُ أَنْ تَكُونَ الْآيَةُ لَمَّا أُنْزِلَتْ لَمْ تَنْزِلْ بِتَمَامِهَا , وَإِنَّمَا أُنْزِلَ مِنْهَا {فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا} [النساء: 43] وَلَمْ يُبَيِّنْ لَهُمْ كَيْفَ يَتَيَمَّمُونَ. فَكَانَ ذَلِكَ عِنْدَهُمْ عَلَى كُلِّ مَا فَعَلُوا مِنَ التَّيَمُّمِ , لَا وَقَّتَ فِي ذَلِكَ وَقْتًا , وَلَا عُضْوًا مَقْصُودًا بِهِ إِلَيْهِ بِعَيْنِهِ , حَتَّى نَزَلَتْ بَعْدَ ذَلِكَ { «فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ مِنْهُ» } [المائدة: 6] وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى مَا قُلْنَا مِنْ ذَلِكَ مَا
