শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৭৬
‘মনী’র (বীর্যের) বিধান, তা পাক না নাপাক?
২৭৬.ইবন আবী দাউদ (রাহঃ)....... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আমি রালুল্লাহ (স)-এর কাপড় থেকে মনী রগড়ে-ঘষে পরিষ্কার করে দিতাম।
ইমাম আবু জা’ফর আহমদ ইবন মুহাম্মাদ তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ কিছু সংখ্যক আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, মনী পাক (পবিত্র), যদি তা পানিতে পতিত হয় এতে পানি নাপাক করবে না এবং এর বিধান হচ্ছে নাকের ময়লার বিধানের অনুরুপ। তাঁরা এই বিষয়ে উল্লিখিত রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ বরং তা হচ্ছে নাপাক (অপিবত্র)। তাঁরা বলেছেন, এই সমস্ত হাদীসে তোমাদের স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নাই। কারণ এই সমস্ত হাদীস ঘুমানোর কাপড় সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, সালাত আদায়ের কাপড় সম্পর্কে নয়। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, পেশাব, পায়খানা ও রক্তযুক্ত নাপাক কাপড়ে ঘুমাতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু তাতে সালাত আদায় করা জায়েয নয়। সুতরাং সম্ভবত মনীর ভিধানও অনুরুপ। বস্তুত এই হাদীস আমাদের বিপক্ষে তখন প্রমাণিত হত, যদি আমরা বলতাম যে, নাপাক কাপড়ে ঘুমানোও সঠিক নয়; আমরাতো তা জায়েয বলি এবং এই বিষয়ে তোমরা নবী (স) থেকে যা কিছু রিওয়ায়াত করেছ তা আমরাও সমর্থন করি। পরবর্তীতে আমরা বলেছি যে, এরুপ কাপড়ে সালাত আদায় করা সঠিক বা জায়েয নেই। সুতরাং আমরা এই বিষয়ে নবী (স) থেকে বর্ণিত হাদীসসমূহের বিরোধিতা করছি না। রাসূলুল্লাহ (স) যে কাপড়ে সালাত আদায় করতেন তাতে মনী লাগলে আয়িশা (রাযিঃ) যা করতেন সেই সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছেঃ
ইমাম আবু জা’ফর আহমদ ইবন মুহাম্মাদ তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ কিছু সংখ্যক আলিম এই মত গ্রহণ করেছেন যে, মনী পাক (পবিত্র), যদি তা পানিতে পতিত হয় এতে পানি নাপাক করবে না এবং এর বিধান হচ্ছে নাকের ময়লার বিধানের অনুরুপ। তাঁরা এই বিষয়ে উল্লিখিত রিওয়ায়াতসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেনঃ বরং তা হচ্ছে নাপাক (অপিবত্র)। তাঁরা বলেছেন, এই সমস্ত হাদীসে তোমাদের স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নাই। কারণ এই সমস্ত হাদীস ঘুমানোর কাপড় সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, সালাত আদায়ের কাপড় সম্পর্কে নয়। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, পেশাব, পায়খানা ও রক্তযুক্ত নাপাক কাপড়ে ঘুমাতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু তাতে সালাত আদায় করা জায়েয নয়। সুতরাং সম্ভবত মনীর ভিধানও অনুরুপ। বস্তুত এই হাদীস আমাদের বিপক্ষে তখন প্রমাণিত হত, যদি আমরা বলতাম যে, নাপাক কাপড়ে ঘুমানোও সঠিক নয়; আমরাতো তা জায়েয বলি এবং এই বিষয়ে তোমরা নবী (স) থেকে যা কিছু রিওয়ায়াত করেছ তা আমরাও সমর্থন করি। পরবর্তীতে আমরা বলেছি যে, এরুপ কাপড়ে সালাত আদায় করা সঠিক বা জায়েয নেই। সুতরাং আমরা এই বিষয়ে নবী (স) থেকে বর্ণিত হাদীসসমূহের বিরোধিতা করছি না। রাসূলুল্লাহ (স) যে কাপড়ে সালাত আদায় করতেন তাতে মনী লাগলে আয়িশা (রাযিঃ) যা করতেন সেই সম্পর্কে আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছেঃ
باب حكم المني هل هو طاهر أم نجس؟
276 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ، قَالَ: ثنا عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ بُرْدٍ، أَخِي يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ أَبِي شَقَّالَةَ النَّخَعِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: «كُنْتُ أَفْرُكُ الْمَنِيَّ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الطَّحَاوِيُّ رَحِمَهُ اللهُ: فَذَهَبَ ذَاهِبُونَ إِلَى أَنَّ الْمَنِيَّ طَاهِرٌ , وَأَنَّهُ لَا يُفْسِدُ الْمَاءَ وَإِنْ وَقَعَ فِيهِ , وَأَنَّ حُكْمَهُ فِي ذَلِكَ حُكْمُ النُّخَامَةِ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: بَلْ هُوَ نَجَسٌ , وَقَالُوا: لَا حُجَّةَ لَكُمْ فِي هَذِهِ الْآثَارِ , لِأَنَّهَا إِنَّمَا جَاءَتْ فِي ذِكْرِ ثِيَابٍ يَنَامُ فِيهَا وَلَمْ تَأْتِ فِي ثِيَابٍ يُصَلِّي فِيهَا وَقَدْ رَأَيْنَا الثِّيَابَ النَّجِسَةَ بِالْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالدَّمِ لَا بَأْسَ بِالنَّوْمِ فِيهَا وَلَا تَجُوزُ الصَّلَاةُ فِيهَا , فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ الْمَنِيُّ كَذَلِكَ. وَإِنَّمَا يَكُونُ هَذَا الْحَدِيثُ حُجَّةً عَلَيْنَا لَوْ كُنَّا نَقُولُ: لَا يَصْلُحُ النَّوْمُ فِي الثَّوْبِ النَّجِسِ فَإِذَا كُنَّا نُبِيحُ ذَلِكَ وَنُوَافِقُ مَا رَوَيْتُمْ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ , وَنَقُولُ مِنْ بَعْدُ , لَا يَصْلُحُ الصَّلَاةُ فِي ذَلِكَ , فَلَمْ نُخَالِفْ شَيْئًا مِمَّا رُوِيَ فِي ذَلِكَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ جَاءَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا فِيمَا كَانَتْ تَفْعَلُ بِثَوْبِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي كَانَ يُصَلِّي فِيهِ إِذَا أَصَابَهُ الْمَنِيُّ
