শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩৮
অনুচ্ছেদঃ প্রত্যেক সালাতের জন্য অজু করা ফরয কিনা
২৩৮. হুসাইন ইবন নসর (রাহঃ) ……. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে মারফূ’ হিসেবে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
বিশ্লেষণ
অতএব “আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবে, এই আশংকা যদি না হত তাহলে আমি প্রত্যেক সালাতের সময় মিসওয়াক করতে নির্দেশ দিতাম” - রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহূ আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর এই উক্তি দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, তিনি তাদেরকে এর নির্দেশ দেননি এবং এটা (মিসওয়াক করা) তাদের উপর ওয়াজিব নয়। আর তা তেদের থেকে রহিত, বিশেষ করে এটাই প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূর বিকল্প। এতে প্রমাণিত হল যে, তাদের উপর প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ ওয়াজিব ছিল না এবং তাদেরকে এর নির্দেশ দেয়া হয়নি। এই বিধান শুধুমাত্র নবী (সল্লাল্লাহূ আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর জন্য ছিল, সাহাবাগনের জন্য ছিল না। এই বিষয়ে তাঁর এবং সাহাবাগনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বিধান ছিল। এটাই এই অনুচ্ছেদের হাদীসসমূহের সঠিক মর্ম নির্ধারণের পন্থা। এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ ওয়াজিব হওয়ার বিধান রহিত হয়ে গিয়েছে।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত যুক্তির আলোকে উক্ত বিধানের বিশ্লেষণ হল নিম্নরূপঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, উজূ হল অপবিত্র (হাদাস) থেকে তাহারাত বা পবিত্র অর্জন করা। আমরা দেখতে ইচ্ছা করেছি যে, হাদাসসমূহ থেকে তাহারাতের বিধান কিরুপ এবং কোন জিনিস তা ভঙ্গ করে দেয়? তো আমরা দেখি হাদাসের কারণে যে তাহারাত আবশ্যকীয় হয় তা দুইভাগে বিভক্ত। এর একটি হল গোসল, অপরটি উজূ। যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করে বা জুনুবী হয়ে যায়, তার উপর গোসোল করা ওয়াজিব এবং যে ব্যক্তি পেশাপ বা পায়খানা করে তার উপর উজূ করা ওয়াজিব। যে ওয়াজিব গোসলের কথা আমরা উল্লেখ করেছি তা সময় অতিবাহিত হয়ায় ভঙ্গ হয় না, তা শুধু হাদাস দ্বারা ভঙ্গ হয়ে থাকে। যখন সাব্যস্ত হলে যে, স্ত্রী সহবাস এবং স্বপ্নদোষ থেকে তাহারাত অর্জন করার বিধান এরুপ তখন যুক্তির দাবি হচ্ছে, সমস্ত হাদীস থেকে তাহারাত অর্জন করা অনুরুপই হবে এবং গোসলের মতই সময় অতিবাহিত হয়ার কারণে তা ভঙ্গ হবে না।
দ্বিতীয় দলিলঃ
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সমস্ত ফকীহদের এই বিষয়ে ঐক্যমত রইয়েছে যে, মুসাফির হাদাস (উজূ নষ্ট) না করলে সব কয়টি সালাত একই উজূ দ্বারা করতে পারে। পক্ষান্তরে তারা মুকীম (বাড়িতে অবস্থানকারী)-এর ব্যাপারে মতবিরোধ করেছেন। আমরা দেখি যে, স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ, পায়খানা, পেশাব- মুকীমের জন্য এসবই হাদাস আর এতে তার উপর তাহারাত ওয়াজিব হয়। মুসাফির থেকে তা সংঘটিত হলে তার বিধান অনুরুপ হবে এবং তার উপর সেই তাহারাত অর্জন করা ওয়াজিব হবে, যা মুকীম হওয়ার সময় তার উপর ওয়াজিব হয়। আমরা অন্য আরেকটি তাহারাত লক্ষ্য করেছি, যা সময় অতিবাহিত হওয়ার দ্বারা ভেঙ্গে যায়। তা হচ্ছে মোজার উপর মাসেহ করা। এতেও মুকীম এবং মুসাফিরের জন্য অভিন্ন বিধান। তাদের তাহারাত নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হলে ভেঙ্গে যায়। যদিও সফর ও মুকীম অবস্থার মেয়াদে পার্থক্য রয়েছে।
বস্তুত যখন পূর্বোল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, যে বস্তু মুকীমের তাহারাতকে ভেঙ্গে দেয় এর দ্বারা মুসাফিরের তাহারাতও ভেঙ্গে যায়। আর সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর মুসাফিরের তাহারাতও ভঙ্গ হয় না; সুতরাং যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার দ্বারা মুকীমের তাহারাতও ভঙ্গ হবে না, আর এটা ইমাম আবু হানিফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহূ আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পরবর্তী এক দল (আলিম) উক্ত অভিমত পোষণ করেছেনঃ
বিশ্লেষণ
অতএব “আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবে, এই আশংকা যদি না হত তাহলে আমি প্রত্যেক সালাতের সময় মিসওয়াক করতে নির্দেশ দিতাম” - রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহূ আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর এই উক্তি দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, তিনি তাদেরকে এর নির্দেশ দেননি এবং এটা (মিসওয়াক করা) তাদের উপর ওয়াজিব নয়। আর তা তেদের থেকে রহিত, বিশেষ করে এটাই প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূর বিকল্প। এতে প্রমাণিত হল যে, তাদের উপর প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ ওয়াজিব ছিল না এবং তাদেরকে এর নির্দেশ দেয়া হয়নি। এই বিধান শুধুমাত্র নবী (সল্লাল্লাহূ আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর জন্য ছিল, সাহাবাগনের জন্য ছিল না। এই বিষয়ে তাঁর এবং সাহাবাগনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বিধান ছিল। এটাই এই অনুচ্ছেদের হাদীসসমূহের সঠিক মর্ম নির্ধারণের পন্থা। এতে প্রমাণিত হয় যে, প্রত্যেক সালাতের জন্য উজূ ওয়াজিব হওয়ার বিধান রহিত হয়ে গিয়েছে।
ইমাম তাহাবী (রাহঃ)-এর যুক্তিভিত্তিক দলীল
বস্তুত যুক্তির আলোকে উক্ত বিধানের বিশ্লেষণ হল নিম্নরূপঃ আমরা লক্ষ্য করেছি যে, উজূ হল অপবিত্র (হাদাস) থেকে তাহারাত বা পবিত্র অর্জন করা। আমরা দেখতে ইচ্ছা করেছি যে, হাদাসসমূহ থেকে তাহারাতের বিধান কিরুপ এবং কোন জিনিস তা ভঙ্গ করে দেয়? তো আমরা দেখি হাদাসের কারণে যে তাহারাত আবশ্যকীয় হয় তা দুইভাগে বিভক্ত। এর একটি হল গোসল, অপরটি উজূ। যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করে বা জুনুবী হয়ে যায়, তার উপর গোসোল করা ওয়াজিব এবং যে ব্যক্তি পেশাপ বা পায়খানা করে তার উপর উজূ করা ওয়াজিব। যে ওয়াজিব গোসলের কথা আমরা উল্লেখ করেছি তা সময় অতিবাহিত হয়ায় ভঙ্গ হয় না, তা শুধু হাদাস দ্বারা ভঙ্গ হয়ে থাকে। যখন সাব্যস্ত হলে যে, স্ত্রী সহবাস এবং স্বপ্নদোষ থেকে তাহারাত অর্জন করার বিধান এরুপ তখন যুক্তির দাবি হচ্ছে, সমস্ত হাদীস থেকে তাহারাত অর্জন করা অনুরুপই হবে এবং গোসলের মতই সময় অতিবাহিত হয়ার কারণে তা ভঙ্গ হবে না।
দ্বিতীয় দলিলঃ
আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সমস্ত ফকীহদের এই বিষয়ে ঐক্যমত রইয়েছে যে, মুসাফির হাদাস (উজূ নষ্ট) না করলে সব কয়টি সালাত একই উজূ দ্বারা করতে পারে। পক্ষান্তরে তারা মুকীম (বাড়িতে অবস্থানকারী)-এর ব্যাপারে মতবিরোধ করেছেন। আমরা দেখি যে, স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ, পায়খানা, পেশাব- মুকীমের জন্য এসবই হাদাস আর এতে তার উপর তাহারাত ওয়াজিব হয়। মুসাফির থেকে তা সংঘটিত হলে তার বিধান অনুরুপ হবে এবং তার উপর সেই তাহারাত অর্জন করা ওয়াজিব হবে, যা মুকীম হওয়ার সময় তার উপর ওয়াজিব হয়। আমরা অন্য আরেকটি তাহারাত লক্ষ্য করেছি, যা সময় অতিবাহিত হওয়ার দ্বারা ভেঙ্গে যায়। তা হচ্ছে মোজার উপর মাসেহ করা। এতেও মুকীম এবং মুসাফিরের জন্য অভিন্ন বিধান। তাদের তাহারাত নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হলে ভেঙ্গে যায়। যদিও সফর ও মুকীম অবস্থার মেয়াদে পার্থক্য রয়েছে।
বস্তুত যখন পূর্বোল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা সাব্যস্ত হল যে, যে বস্তু মুকীমের তাহারাতকে ভেঙ্গে দেয় এর দ্বারা মুসাফিরের তাহারাতও ভেঙ্গে যায়। আর সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর মুসাফিরের তাহারাতও ভঙ্গ হয় না; সুতরাং যুক্তির দাবি হচ্ছে যে, সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার দ্বারা মুকীমের তাহারাতও ভঙ্গ হবে না, আর এটা ইমাম আবু হানিফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহূ আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পরবর্তী এক দল (আলিম) উক্ত অভিমত পোষণ করেছেনঃ
باب الوضوء هل يجب لكل صلاة أم لا؟
238 - حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ، قَالَ: ثنا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَرْفَعُهُ. مِثْلَهُ فَثَبَتَ بِقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ» أَنَّهُ لَمْ يَأْمُرْهُمْ بِذَلِكَ وَأَنَّ ذَلِكَ لَيْسَ عَلَيْهِمْ ; وَأَنَّ فِي ارْتِفَاعِ ذَلِكَ عَنْهُمْ، وَهُوَ الْمَجْعُولُ بَدَلًا مِنَ الْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ، دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْوُضُوءَ لِكُلِّ صَلَاةٍ لَمْ يَكُنْ عَلَيْهِمْ وَلَا أُمِرُوا بِهِ وَأَنَّ الْمَأْمُورَ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُونَهُمْ وَأَنَّ حُكْمَهُ كَانَ فِي ذَلِكَ غَيْرَ حُكْمِهِمْ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. وَقَدْ ثَبَتَ بِذَلِكَ ارْتِفَاعُ وُجُوبِ الْوُضُوءِ لِكُلِّ صَلَاةٍ. وَأَمَّا وَجْهُ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ ; فَإِنَّا رَأَيْنَا الْوُضُوءَ طَهَارَةً مِنْ حَدَثٍ , فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي الطَّهَارَاتِ مِنَ الْأَحْدَاثِ كَيْفَ حُكْمُهَا؟ وَمَا الَّذِي يُنْقِضُهَا؟ فَوَجَدْنَا الطَّهَارَاتِ الَّتِي تُوجِبُهَا الْأَحْدَاثُ عَلَى ضَرْبَيْنِ: فَمِنْهَا الْغُسْلُ , وَمِنْهَا الْوُضُوءُ , فَكَانَ مَنْ جَامَعَ أَوْ أَجْنَبَ , وَجَبَ عَلَيْهِ الْغُسْلُ , وَكَانَ مِنْ بَالَ أَوْ تَغَوَّطَ , وَجَبَ عَلَيْهِ الْوُضُوءُ. فَكَانَ الْغُسْلُ الْوَاجِبُ بِمَا ذَكَرْنَا لَا يُنْقِضُهُ مُرُورُ الْأَوْقَاتِ وَلَا يُنْقِضُهُ إِلَّا الْأَحْدَاثُ. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ حُكْمَ الطَّهَارَةِ مِنَ الْجِمَاعِ وَالِاحْتِلَامِ كَمَا ذَكَرْنَا , كَانَ فِي النَّظَرِ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ حُكْمُ الطَّهَارَاتِ مِنْ سَائِرِ الْأَحْدَاثِ كَذَلِكَ وَأَنَّهُ لَا يَنْقُضُ ذَلِكَ مُرُورُ وَقْتٍ كَمَا لَا يَنْقُضُ الْغُسْلَ مُرُورُ وَقْتٍ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى أَنَّا رَأَيْنَاهُمْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْمُسَافِرَ يُصَلِّي الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ مَا لَمْ يُحْدِثْ. وَإِنَّمَا اخْتَلَفُوا فِي الْحَاضِرِ فَوَجَدْنَا الْإِحْدَاثَ مِنَ الْجِمَاعِ وَالِاحْتِلَامِ وَالْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَكُلِّ مَا إِذَا كَانَ مِنَ الْحَاضِرِ كَانَ حَدَثًا يُوجِبُ بِهِ عَلَيْهِ طَهَارَةً , فَإِنَّهُ إِذَا كَانَ مِنَ الْمُسَافِرِ , كَانَ كَذَلِكَ أَيْضًا وَجَبَ عَلَيْهِ مِنَ الطَّهَارَةِ مَا يَجِبُ عَلَيْهِ لَوْ كَانَ حَاضِرًا. وَرَأَيْنَا طَهَارَةً أُخْرَى يُنْقِضُهَا خُرُوجُ وَقْتٍ وَهِيَ الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ ; فَكَانَ الْحَاضِرُ وَالْمُسَافِرُ فِي ذَلِكَ سَوَاءً ; يَنْقُضُ طَهَارَتُهُمَا خُرُوجُ وَقْتٍ مَا ; وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ الْوَقْتُ فِي نَفْسِهِ مُخْتَلِفًا فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ. فَلَمَّا ثَبَتَ أَنَّ مَا ذَكَرْنَا كَذَلِكَ ; وَإِنَّمَا يَنْقُضُ طَهَارَةُ الْحَاضِرِ مِنْ ذَلِكَ يَنْقُضُ طَهَارَةُ الْمُسَافِرِ , وَكَانَ خُرُوجُ الْوَقْتِ عَنِ الْمُسَافِرِ لَا يَنْقُضُ طَهَارَةً , كَانَ خُرُوجُهُ عَنِ الْمُقِيمِ أَيْضًا كَذَلِكَ , قِيَاسًا وَنَظَرًا عَلَى مَا بَيَّنَّا مِنْ ذَلِكَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحِمَهُمُ اللهُ تَعَالَى. وَقَدْ قَالَ: بِذَلِكَ جَمَاعَةٌ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
