আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৪৫
সূরা হুজুরাত
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, لَاتُقَدِّمُوْا অর্থ, রসূল (ﷺ) এর কাছে কোন বিষয় তোমরা জিজ্ঞাসা করবে না, যতক্ষণ না আল্লাহ্ তাঁর যবানে এর ফয়সালা জানিয়ে দেন। امْتَحَنَ মানে পরিশুদ্ধ করেছেন। لَا تَنَابَزُوْا অর্থ ইসলাম গ্রহণের পর অপরকে যেন কুফরীর প্রতি সম্বোধন করে না ডাকা হয়। يَلِتْكُمْ মানে লাঘব করা হবে তোমাদের أَلَتْنَا মানে হ্রাস করেছি আমি।
মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, لَاتُقَدِّمُوْا অর্থ, রসূল (ﷺ) এর কাছে কোন বিষয় তোমরা জিজ্ঞাসা করবে না, যতক্ষণ না আল্লাহ্ তাঁর যবানে এর ফয়সালা জানিয়ে দেন। امْتَحَنَ মানে পরিশুদ্ধ করেছেন। لَا تَنَابَزُوْا অর্থ ইসলাম গ্রহণের পর অপরকে যেন কুফরীর প্রতি সম্বোধন করে না ডাকা হয়। يَلِتْكُمْ মানে লাঘব করা হবে তোমাদের أَلَتْنَا মানে হ্রাস করেছি আমি।
৪৪৮৫। ইয়াসারা ইবনে সাফওয়ান ইবনে জামীল লাখমী (রাহঃ) ......... ইবনে আবু মুলায়কা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উত্তম দুই জন- আবু বকর ও উমর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) এর কাছে কন্ঠস্বর উঁচু করে ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছিলেন। যখন বনী তামীম গোত্রের একদল লোক নবী (ﷺ) এর কাছে এসেছিল। তাদের একজন বনী মুজাশি' গোত্রের আকরা ইবনে হাবিসকে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব করল এবং অপরজন অন্য ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করল। নাফি বলেন, এ লোকটির নাম আমার মনে নেই। তখন আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) উমর (রাযিঃ) কে বললেন, আপনার ইচ্ছাই হল কেবল আমার বিরোধিতা করা। তিনি বললেন, না, আপনার বিরোধিতা করার ইচ্ছা আমার নেই। এ ব্যাপারটি নিয়ে তাঁদের কন্ঠস্বর উঁচু হয়ে গেল। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ " الآيَةَ “হে মু’মিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর নিজেদের কন্ঠস্বর উঁচু করবে না” ......... শেষ পর্যন্ত।
ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) বলেন, এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর উমর (রাযিঃ) এতো আস্তে কথা বলতেন যে, দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত রাসূল (ﷺ) তা শুনতে পেতেন না। তিনি আবু বকর (রাযিঃ) সম্পর্কে এ ধরনের কথা বর্ণনা করেন নি।
ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) বলেন, এ আয়াত নাযিল হওয়ার পর উমর (রাযিঃ) এতো আস্তে কথা বলতেন যে, দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত রাসূল (ﷺ) তা শুনতে পেতেন না। তিনি আবু বকর (রাযিঃ) সম্পর্কে এ ধরনের কথা বর্ণনা করেন নি।


বর্ণনাকারী: