আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৪৪
আল্লাহর বাণীঃ إذ يبايعونك تحت الشجرة যখন বৃক্ষতলে তারা তোমার কাছে বায়আত গ্রহণ করল। (৪৮ঃ ১৮)
৪৪৮৪। আহমাদ ইবনে ইসহাক সুলামী (রাহঃ) ......... হাবীব ইবনে আবু সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু ওয়ায়িল (রাযিঃ) এর কাছে কিছু জিজ্ঞাসা করার জন্য এলে, তিনি বললেন, আমরা সিফফীনের ময়দানে ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি বললেন, তোমরা কি সে লোকদেরকে দেখতে পাচ্ছ না, যাদের আল্লাহর কিতাবের দিকে আহবান করা হচ্ছে? আলী (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ। তখন সাহল ইবনে হুনায়ফ (রাযিঃ) বললেন, প্রথমে তোমরা নিজেদের খবর নাও। হুদায়বিয়ার দিন অর্থাৎ নবী (ﷺ) এবং মক্কার মুশরিকদের মধ্যে যে সন্ধি হয়েছিল, আমরা তা দেখেছি। যদি আমরা একে যুদ্ধ মনে করতাম, তাহলে অবশ্যই আমরা যুদ্ধ করতাম। এ সময় উমর (রাযিঃ) রাসূল (ﷺ) এর কাছে আসলেন এবং বললেন, আমরা কি হকের উপর নই, আর তারা কি বাতিলের উপর নয়? আমাদের নিহত ব্যক্তিরা জান্নাতে, আর তাদের নিহত ব্যক্তিরা কি জাহান্নামে যাবে না? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, তাহলে কেন আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে অবমাননাকর শর্ত আরোপ করা হবে এবং আমরা ফিরে যাব? অথচ আল্লাহ্ আমাদেরকে এ সন্ধির ব্যাপারে কোন নির্দেশ দেননি। তখন নবী (ﷺ) বললেন, হে খাত্তাবের পুত্র! আমি আল্লাহর রাসূল। আল্লাহ্ কখনো আমাকে ধ্বংস করবেন না। উমর (রাযিঃ) গোস্বায় ক্ষুণ্ন মনে ফিরে গেলেন। তিনি ধৈর্য ধারণ করতে পারলেন না। তারপর তিনি আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-এর কাছে গেলেন এবং বললেন, হে আবু বকর! আমরা কি হকের উপর নই এবং তারা কি বাতিলের উপর নয়? তিনি বললেন, হে খাত্তাবের পুত্র! নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহর রাসূল। আল্লাহ্ কখনো তাকে ধ্বংস করবেন না। এ সময় সূরা ফাতহ্ নাযিল হয়।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন