শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮৫
অনুচ্ছেদঃ নামাযের উযূতে পা ধােয়া ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
১৮৫. বাহর (রাহঃ)........ আমর ইব্ন আবাসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল ﷺ ! উযূর পদ্ধতি কি ? তিনি বললেনঃ যখন তুমি উযূ করবে দু’হাত তিনবার ধুবে, নখ এবং আঙ্গুলের মধ্য দিয়ে তােমার গুনাসমূহ বের হয়ে যাবে; যখন তুমি কুলি করবে এবং নাকে পানি দিবে, চেহারা এবং দু’হাত কনুইসহ ধুবে, টাখনাে পর্যন্ত দু’পা ধুবে তখন তুমি তােমার ব্যাপক গুনাহসমূহ ধুয়ে ফেলেছ।
বস্তুত এই সমস্ত হাদীসও প্রমাণ বহন করছে যে, দু’পা ধৌত করা ফরয। যেহেতু তা যদি মাসেহ করা ফরয হত তাহলে ধৌত করার দ্বারা সওয়াব পাওয়া যেত না।
তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না যে, মাথার যে অংশ মাসেহ করা ফরয তা ধৌত করার দ্বারা ছওয়াব লাভ হয় না। যখন উভয় পা ধােয়ার দ্বারা ছওয়াব লাভ হয়, এতে প্রমাণিত হয় যে, তা ধৌত করাই ফরয।
রাসূলুল্লাহ্ ﷺথেকে এই বিষয়েও হাদীস বর্ণিত আছেঃ
বস্তুত এই সমস্ত হাদীসও প্রমাণ বহন করছে যে, দু’পা ধৌত করা ফরয। যেহেতু তা যদি মাসেহ করা ফরয হত তাহলে ধৌত করার দ্বারা সওয়াব পাওয়া যেত না।
তুমি কি দেখতে পাচ্ছ না যে, মাথার যে অংশ মাসেহ করা ফরয তা ধৌত করার দ্বারা ছওয়াব লাভ হয় না। যখন উভয় পা ধােয়ার দ্বারা ছওয়াব লাভ হয়, এতে প্রমাণিত হয় যে, তা ধৌত করাই ফরয।
রাসূলুল্লাহ্ ﷺথেকে এই বিষয়েও হাদীস বর্ণিত আছেঃ
185 - حَدَّثَنَا بَحْرٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ حَبِيبٍ، وَأَبِي يَحْيَى وَأَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ الْوُضُوءُ؟ قَالَ: «إِذَا تَوَضَّأْتَ فَغَسَلْتَ يَدَيْكَ ثَلَاثًا خَرَجَتْ خَطَايَاكَ مِنْ بَيْنَ أَظْفَارِكَ وَأَنَامِلِكَ , فَإِذَا مَضْمَضْتَ وَاسْتَنْشَقْتَ فِي مَنْخَرَيْكَ وَغَسَلْتَ وَجْهَكَ وَذِرَاعَيْكَ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ وَغَسَلْتَ رِجْلَيْكَ إِلَى الْكَعْبَيْنِ اغْتَسَلْتَ مِنْ عَامَّةِ خَطَايَاكَ» .
فَهَذِهِ الْآثَارُ تَدُلُّ أَيْضًا عَلَى أَنَّ الرِّجْلَيْنِ فَرْضُهُمَا الْغَسْلُ , لِأَنَّ فَرْضَهُمَا لَوْ كَانَ هُوَ الْمَسْحَ , لَمْ يَكُنْ فِي غَسْلِهِمَا ثَوَابٌ. أَلَا تَرَى أَنَّ الرَّأْسَ الَّذِي فَرْضُهُ الْمَسْحُ لَا ثَوَابَ فِي غَسْلِهِ , فَلَمَّا كَانَ فِي غَسْلِ الْقَدَمَيْنِ ثَوَابٌ , دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ فَرْضَهُمَا هُوَ الْغُسْلُ , وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ
فَهَذِهِ الْآثَارُ تَدُلُّ أَيْضًا عَلَى أَنَّ الرِّجْلَيْنِ فَرْضُهُمَا الْغَسْلُ , لِأَنَّ فَرْضَهُمَا لَوْ كَانَ هُوَ الْمَسْحَ , لَمْ يَكُنْ فِي غَسْلِهِمَا ثَوَابٌ. أَلَا تَرَى أَنَّ الرَّأْسَ الَّذِي فَرْضُهُ الْمَسْحُ لَا ثَوَابَ فِي غَسْلِهِ , فَلَمَّا كَانَ فِي غَسْلِ الْقَدَمَيْنِ ثَوَابٌ , دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ فَرْضَهُمَا هُوَ الْغُسْلُ , وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا مَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওযুর প্রতিটি অঙ্গ সম্পর্কে জানান যে, ওযু করার দ্বারা সে সকল অঙ্গের সঙ্গে সম্পৃক্ত গুনাহসমূহ পানির সঙ্গে ঝরে যায় অর্থাৎ তা মাফ হয়ে যায়। তারপর সে ব্যক্তি যখন নামায আদায় করে ফেলে, সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে যায়।
প্রকাশ থাকে যে, এর দ্বারা সগীরা গুনাহসমূহের কথা বলা হয়েছে। কেননা কবীরা গুনাহ মাফ হয় তাওবার মাধ্যমে। এ অবস্থায় প্রশ্ন আসে, ওযু ও নামায দ্বারা যদি কেবল সগীরা গুনাহই মাফ হয় তবে এর দ্বারা সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে যায় কি করে? তার তো কবীরা গুনাহ থাকতে পারে, যা মাফের জন্য তাওবার প্রয়োজন হবে? এর উত্তর হল, একজন প্রকৃত মুমিনের কবীরা গুনাহ থাকতেই পারে না। কেননা তার দ্বারা কবীরা গুনাহ হয়ে গেলে সে তো সঙ্গে সঙ্গেই তাওবার দ্বারা তা মাফ করিয়ে নেবে। তার বাকি থাকতে পারে কেবল সগীরা গুনাহ। ওযু ও নামায দ্বারা তাও মাফ হয়ে যায়। ফলে সে সম্পূর্ণ নিষ্পাপ ও পবিত্র হয়ে যায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. ওযূ দ্বারা যেমন বাহ্যিক পবিত্রতা হাসিল হয়, তেমনি আত্মিক পবিত্রতা অর্থাৎ পাপের পঙ্কিলতা থেকেও পবিত্রতা অর্জিত হয়। সুতরাং আমরা সুচারুরূপে অতি যত্নের সঙ্গে ওযূ করতে সচেষ্ট থাকব।
প্রকাশ থাকে যে, এর দ্বারা সগীরা গুনাহসমূহের কথা বলা হয়েছে। কেননা কবীরা গুনাহ মাফ হয় তাওবার মাধ্যমে। এ অবস্থায় প্রশ্ন আসে, ওযু ও নামায দ্বারা যদি কেবল সগীরা গুনাহই মাফ হয় তবে এর দ্বারা সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর মত নিষ্পাপ হয়ে যায় কি করে? তার তো কবীরা গুনাহ থাকতে পারে, যা মাফের জন্য তাওবার প্রয়োজন হবে? এর উত্তর হল, একজন প্রকৃত মুমিনের কবীরা গুনাহ থাকতেই পারে না। কেননা তার দ্বারা কবীরা গুনাহ হয়ে গেলে সে তো সঙ্গে সঙ্গেই তাওবার দ্বারা তা মাফ করিয়ে নেবে। তার বাকি থাকতে পারে কেবল সগীরা গুনাহ। ওযু ও নামায দ্বারা তাও মাফ হয়ে যায়। ফলে সে সম্পূর্ণ নিষ্পাপ ও পবিত্র হয়ে যায়।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. ওযূ দ্বারা যেমন বাহ্যিক পবিত্রতা হাসিল হয়, তেমনি আত্মিক পবিত্রতা অর্থাৎ পাপের পঙ্কিলতা থেকেও পবিত্রতা অর্জিত হয়। সুতরাং আমরা সুচারুরূপে অতি যত্নের সঙ্গে ওযূ করতে সচেষ্ট থাকব।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
