শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৩৫
৮- উযূতে কানের বিধান
১৩৫.ফাহাদ (রাহঃ) …….আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, একবার আমার কাছে আলী ইব্ন আবী তালিব (রাযিঃ) এলেন। তিনি পানি প্রবাহিত (গােসল) করেছিলেন। তিনি একটি পানির পাত্র নিয়ে আসতে বললেন। এরপর তিনি বললেন, হে ইব্ন আব্বাস! আমি কি তােমাকে সেইরূপ উযূ করে দেখাব না, যেরূপ আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-কে উযূ করতে দেখেছি? বললাম,হ্যাঁ, আমার মাতাপিতা আপনার প্রতি উৎসর্গ হউক। তারপর তিনি এক সুদীর্ঘ হাদীস উল্লেখ করলেন, যাতে উল্লেখ রয়েছে যে, তিনি দুই হাত পানির কোষভরে নিজের চেহারায় ঢাললেন, পরে দ্বিতীয় বার এবং তৃতীয় বার অনুরূপ করলেন। তারপর উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলি কানের সম্মুখভাগের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর ডান হাতে এক কোষ পানি নিয়ে মাথার সম্মুখভাগে এবং পরে চেহরার উপর প্রবাহিত করে ছেড়ে দিলেন । এরপর ডান হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার এবং বাম হাত অনুরূপভাবে ধৌত করলেন। তারপর মাথা এবং কানের পিছনের দিক মাসেহ্ করলেন।
পর্যালােচনা
একদল আলিম এই হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তারা বলেছেনঃ কানের সম্মুখ ভাগস্থ অংশের বিধান চেহরার বিধানের অন্তর্ভুক্ত। তা চেহারার সঙ্গে ধৌত হবে। আর এর পিছনের অংশ মাথার বিধানের অন্তর্ভুক্ত। তা মাথার সঙ্গে মাসেহ্ করা হবে।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরােধিতা করে বলেছেন : কানের বিধান মাথার সাথে সম্পৃক্ত। মাথার সাথে এর সম্মুখভাগ এবং পিছনের অংশ মাসেহ্ করা হবে। তাঁরা এই বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
পর্যালােচনা
একদল আলিম এই হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তারা বলেছেনঃ কানের সম্মুখ ভাগস্থ অংশের বিধান চেহরার বিধানের অন্তর্ভুক্ত। তা চেহারার সঙ্গে ধৌত হবে। আর এর পিছনের অংশ মাথার বিধানের অন্তর্ভুক্ত। তা মাথার সঙ্গে মাসেহ্ করা হবে।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরােধিতা করে বলেছেন : কানের বিধান মাথার সাথে সম্পৃক্ত। মাথার সাথে এর সম্মুখভাগ এবং পিছনের অংশ মাসেহ্ করা হবে। তাঁরা এই বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেনঃ
بَابُ حُكْمِ الْأُذُنَيْنِ فِي وُضُوءِ الصَّلَاةِ
135 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ قَالَ: ثنا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ الْخَوْلَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: " دَخَلَ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ وَقَدْ أَرَاقَ الْمَاءَ فَدَعَا بِإِنَاءٍ فِيهِ مَاءٌ فَقَالَ: يَا ابْنَ عَبَّاسٍ أَلَا أَتَوَضَّأُ لَكَ كَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ؟ قُلْتُ: بَلَى، فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي. فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا ذَكَرَ فِيهِ أَنَّهُ أَخَذَ حَفْنَةً هِيَ مِلْءُ الْكَفَّيْنِ مِنْ مَاءٍ بِيَدَيْهِ جَمِيعًا، فَصَكَّ أَيْ ضَرَبَ بِهِمَا وَجْهَهُ، ثُمَّ الثَّانِيَةَ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ الثَّالِثَةَ , ثُمَّ أَلْقَمَ إِبْهَامَيْهِ أَيْ جَعَلَ إِبْهَامَيْهِ فِي الْأُذُنَيْنِ كَاللُّقْمَةِ فِي الْفَمِ مَا أَقْبَلَ مِنْ أُذُنَيْهِ، ثُمَّ أَخَذَ كَفًّا مِنْ مَاءٍ بِيَدِهِ الْيُمْنَى فَصَبَّهَا عَلَى نَاصِيَتِهِ ثُمَّ أَرْسَلَهَا تَسْتَنُّ أَيْ تَسِيلُ عَلَى وَجْهِهِ، ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْمِرْفَقِ ثَلَاثًا وَالْيُسْرَى مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ وَظُهُورَ أُذُنَيْهِ ". فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذَا الْأَثَرِ , فَقَالُوا: مَا أَقْبَلَ مِنَ الْأُذُنَيْنِ فَحُكْمُهُ حُكْمُ الْوَجْهِ، يُغْسَلُ مَعَ الْوَجْهِ , وَمَا أَدْبَرَ مِنْهُمَا فَحُكْمُهُ حُكْمُ الرَّأْسِ، يُمْسَحُ مَعَ الرَّأْسِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ، فَقَالُوا: الْأُذُنَانِ مِنَ الرَّأْسِ، يُمْسَحُ مُقَدَّمُهُمَا وَمُؤَخَّرُهُمَا مَعَ الرَّأْسِ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
