আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৪৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮৩৩
সূরা ফাতহ মুজাহিদ বলেন, بورا অর্থ ধ্বংসপ্রাপ্ত। سِيْمَاهُمْ فِيْ وُجُوْهِهِمْ অর্থ তাদের মুখমণ্ডলের নিদর্শন। মানসুর মুজাহিদের সূত্রে বর্ণনা করেন যে, এর অর্থ হচ্ছে বিনয় ও নম্রতা। شَطْأَهُ অর্থ, কিশলয়। فَاسْتَغْلَظَ অর্থ মোটা হয়, পুষ্ট হয়। سُوْقِهِ ঐ কান্ড যা গাছকে দাঁড় করিয়ে রাখে। دَآئِرَةُ السَّوْءِ শব্দটি এখানে رَجُلُ السَّوْءِ এর মত ব্যবহৃত হয়েছে। دَآئِرَةُ السُّوْءِ এর অর্থ শাস্তি। تُعَزِّرُوْهُ তাঁরা তাঁকে সাহায্য করে। شَطْأَهُ অর্থ কিশলয়, একটি বীজ থেকে দশ, আট এবং সাতটি করে বীজ অঙ্কুরিত হয় এবং একটি অপরটিকে শক্তিশালী করে।
আল্লাহর বাণীঃ فَاٰزَرَهُ (এরপর এটা শক্তিশালী হয়) এর মধ্যে এ কথাই বর্ণনা করা হয়েছে। অঙ্কুর যদি একটি হয় তাহলে তা কাণ্ডের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। আল্লাহ্ তাআলা এ উপমাটি নবী করীম (ﷺ) সম্বন্ধে ব্যবহার করেছেন, কেননা, প্রথমত তিনি একাই দাওয়াত নিয়ে বের হয়েছেন, তারপর সহাবীদের দ্বারা (আল্লাহ্) তাকে শক্তিশালী করেছেন যেমন বীজ থেকে উদগত অঙ্কুর দ্বারা বীজ শক্তিশালী হয়।
৪৪৭৪। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... আসলাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) রাতের বেলা কোন এক সফরে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-ও চলছিলেন। হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) তাঁকে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করলেন, কিন্তু রাসূল (ﷺ) তাকে কোন জবাব দেননি। তিনি আবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিন্তু তিনি কোন জবাব দিলেন না। তারপর তিনি আবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, এবারও তিনি কোন জবাব দিলেন না। তখন উমর (রাযিঃ) (নিজেকে) বললেন, উমরের মা হারাক। তুমি তিনবার রাসূল (ﷺ) কে প্রশ্ন করলে, কিন্তু একবারও তিনি তোমার জবাব দিলেন না।
উমর (রাযিঃ) বলেন, তারপর আমি আমার উটটি দ্রুত চালিয়ে লোকদের আগে চলে গেলাম এবং আমার ব্যাপারে কুরআন নাযিলের আশঙ্কা করলাম। বেশীক্ষণ হয়নি, তখন শুনলাম এক আহবানকারী আমাকে আহবান করছে। আমি (মনে মনে) বললাম, আমি তো আশঙ্কা করছিলাম যে, আমার ব্যাপারে কোন আয়াত নাযিল হতে পারে। তারপর আমি রাসূল (ﷺ) এর কাছে এসে তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, আজ রাতে আমার উপর এমন একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে, যা আমার কাছে, এই পৃথিবী, যার ওপর সূর্য উদিত হয়, তা থেকেও অধিক প্রিয়। তারপর তিনি পাঠ করলেন, ″নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়″।
سورة الفتح وقال مجاهد: {بورا} [الفرقان: 18]: «هالكين»، {سيماهم في وجوههم} [الفتح: 29]: «السحنة» وقال منصور: عن مجاهد، " التواضع {شطأه} [الفتح: 29]: فراخه، {فاستغلظ} [الفتح: 29]: غلظ، {سوقه} [الفتح: 29]: الساق حاملة الشجرة " ويقال: {دائرة السوء} [التوبة: 98] كقولك: رجل السوء، ودائرة السوء: العذاب [ص:135]، {تعزروه} [الفتح: 9] تنصروه، {شطأه} [الفتح: 29] شطء السنبل، تنبت الحبة عشرا، أو ثمانيا، وسبعا، فيقوى بعضه ببعض، فذاك قوله تعالى {فآزره} [الفتح: 29] قواه، ولو كانت واحدة لم تقم على ساق، وهو مثل ضربه الله للنبي صلى الله عليه وسلم إذ خرج وحده، ثم قواه بأصحابه، كما قوى الحبة بما ينبت منها "
4833 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسِيرُ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، وَعُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ يَسِيرُ مَعَهُ لَيْلًا، فَسَأَلَهُ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ عَنْ شَيْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ: ثَكِلَتْ أُمُّ عُمَرَ، نَزَرْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، كُلَّ ذَلِكَ لاَ يُجِيبُكَ، قَالَ عُمَرُ: فَحَرَّكْتُ بَعِيرِي ثُمَّ تَقَدَّمْتُ أَمَامَ النَّاسِ، وَخَشِيتُ أَنْ يُنْزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ، فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِي، فَقُلْتُ: لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ نَزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ، فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ: " لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيَّ اللَّيْلَةَ سُورَةٌ لَهِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ، ثُمَّ قَرَأَ: {إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا} [الفتح: 1] "
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
rabi
বর্ণনাকারী:
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৪৪৭৪ | মুসলিম বাংলা