শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫০
পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
বিড়ালের উচ্ছিষ্টের হুকুম
৫০.আলী ইবন মা'বাদ (রাহঃ)...... আয়েশা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ বিড়ালের (পানি পানের) জন্য পাত্র কাত করে দিতেন। আর তিনি এর অবশিষ্ট অংশ (উচ্ছিষ্ট) দিয়ে উযূ করতেন। আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এক দল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করেছেন। তাঁরা বিড়ালের উচ্ছিষ্ট বস্তুতে কোন দোষ আছে বলে মনে করেন না। যারা এমত পোষণ করেছেন, ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) তাঁদের অন্তর্ভুক্ত। পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাঁদের বিরোধিতা করেছেন এবং একে (বিড়ালের উচ্ছিষ্টকে) মাকরূহ বলেছেন। প্রথমোক্ত মত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রমাণ হল যে, ইসহাক ইবন আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) থেকে মালিক (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ -এর উক্তি : “তা-তো (বিড়াল) তোমাদের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে।” এতে তোমাদের স্বপক্ষে কোনরূপ প্রমাণ নেই। কারণ হতে পারে এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্যে হচ্ছে, এটি গৃহসমূহে অবস্থান করে এবং কাপড়সমূহকে স্পর্শ করে, এটা বুঝানো। পক্ষান্তরে এর পাত্রে মুখ দেয়ার ক্ষেত্রে নাজাসাত প্রমাণিত হওয়া অথবা না হওয়ার বিষয়ে কোনরূপ দলীল নেই। আবু কাতাদা (রাযিঃ)-এর আমলও এর প্রতি ইঙ্গিত করে। অতএব, এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ্ -এর উক্তি দ্বারা প্রমাণ পেশ করা যাবে না। যেহেতু এতে এই সম্ভাবনার সাথে সাথে এর বিপরীত সম্ভাবনাও রয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ঘরসমূহে কুকুর থাকা মাকরূহ নয়। অথচ এর উচ্ছিষ্ট মাকরূহ (নাপাক)। অতএব হতে পারে আবু কাতাদা (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ থেকে যা কিছু বর্ণিত আছে, এর দ্বারা শিকার, পাহারা এবং কৃষি কার্যের জন্য ঘরসমূহে এগুলোর অবস্থান করা বুঝানো হয়েছে। কিন্তু তারই উচ্ছিষ্ট মাকরূহ কিনা, এ ব্যাপারে এতে কোন দলীল নেই। হ্যাঁ অপরাপর রিওয়ায়াতসমূহ যা আয়েশা (রাযিঃ)-এর বরাতে রাসূলুল্লাহ্ থেকে বর্ণিত আছে, সেই মুতাবিক তার উচ্ছিষ্ট মুবাহ। সুতরাং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে-এর বিপরীতও কি কিছু বর্ণিত আছে, তা আমরা দেখার প্রয়াস পাব। এই বিষয়ে আমরা দেখছিঃ
كتاب الطهارة
باب سؤر الهر
50 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ عَمْرٍو الْخُرَاسَانِيُّ، قَالَ: ثنا صَالِحُ بْنُ حَيَّانَ، قَالَ: ثنا عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ " أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصْغِي الْإِنَاءَ لِلْهِرِّ وَيَتَوَضَّأُ بِفَضْلِهِ. قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ فَلَمْ يَرَوْا بِسُؤْرِ الْهِرِّ بَأْسًا. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى ذَلِكَ أَبُو يُوسُفَ وَمُحَمَّدٌ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَكَرِهُوهُ، وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ عَلَى أَهْلِ الْمَقَالَةِ الْأُولَى , أَنَّ حَدِيثَ مَالِكٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنَ عَبْدِ اللهِ , لَا حُجَّةَ لَكُمْ فِيهِ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَنَّهَا لَيْسَتْ بِنَجَسٍ , إِنَّهَا مِنَ الطَّوَّافِينَ عَلَيْكُمْ أَوِ الطَّوَّافَاتِ لِأَنَّ ذَلِكَ قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أُرِيدَ بِهِ كَوْنُهَا فِي الْبُيُوتِ وَمُمَاسَّتُهَا الثِّيَابَ. فَأَمَّا وُلُوغُهَا فِي الْإِنَاءِ فَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ أَنَّ ذَلِكَ يُوجِبُ النَّجَاسَةَ أَمْ لَا. وَإِنَّمَا الَّذِي فِي الْحَدِيثِ مِنْ ذَلِكَ , فِعْلُ أَبِي قَتَادَةَ. فَلَا يَنْبَغِي أَنْ يُحْتَجَّ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا قَدْ يَحْتَمِلُ الْمَعْنَى الَّذِي يُحْتَجُّ بِهِ فِيهِ وَيُحْتَمَلُ خِلَافُهُ , وَقَدْ رَأَيْنَا الْكِلَابَ كَوْنُهَا فِي الْمَنَازِلِ غَيْرُ مَكْرُوهٍ، وَسُؤْرُهَا مَكْرُوهٌ، فَقَدْ يَجُوزُ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ مَا رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا فِي حَدِيثِ أَبِي قَتَادَةَ أُرِيدَ بِهِ الْكَوْنُ فِي الْمَنَازِلِ لِلصَّيْدِ وَالْحِرَاسَةِ وَالزَّرْعِ. وَلَيْسَ فِي ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى حُكْمِ سُؤْرِهَا , هَلْ هُوَ مَكْرُوهٌ أَمْ لَا. وَلَكِنَّ الْآثَارَ الْأُخَرَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا إِبَاحَةُ سُؤْرِهَا. فَنُرِيدُ أَنْ نَنْظُرَ هَلْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يُخَالِفُهَا فَنَظَرْنَا فِي ذَلِكَ