শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ২৩
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
২৩. মুহাম্মাদ ইব্নুল হাজ্জাজ (রাহঃ)...... জাবির (রাযিঃ) সূত্রে নবী পানিতে পেশাব করে তাতে উযূ করতে নিষেধ করেছেন। বর্ণনা করেন যে, তিনি স্থির
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন ঃ বস্তুত যখন রাসূলুল্লাহ্ বিশেষত সেই স্থির পানির কথা বলেছেন, যা কি না প্রবাহিত নয়। প্রবাহিত পানির উল্লেখ করেননি। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, তিনি তা পৃথক করে দিয়েছেন। যেহেতু নাজাসাত (অপবিত্রতা) সেই পানিতে প্রবেশ করে যা প্রবাহিত নয় । প্রবাহিত পানিতে প্রবেশ করে না।
রাসূলুল্লাহ্ থেকে কুকুরের মুখ দেয়া পাত্র ধৌত করার ব্যাপারেও (হাদীস) বর্ণিত আছে । আমরা তা আমাদের এই গ্রন্থের অন্যস্থানে ইনশাআল্লাহ্ শীঘ্রই বর্ণনা করব। বস্তুত এটি পাত্র এবং এর পানি অপবিত্র হওয়ার প্রমাণ। অথচ এটা এর গন্ধ রং এবং স্বাদের উপর প্রভাব ফেলে না। অতএব ঐ সমস্ত রিওয়ায়াতসমূহের বিশুদ্ধতাও সেই বস্তুকে অপরিহার্য করে যা আমরা এই অনুচ্ছেদে ‘বী’রে বুযাআ' সম্পর্কীয় হাদীসের মর্মার্থের ব্যাপারে বর্ণনা করেছি। এভাবে এই হাদীসের মর্ম ঐ সমস্ত হাদীসের মর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়ে সামঞ্জস্যশীল হয়। আর এটি সেই পানির বিধান যা প্রবাহিত নয় যখন কিনা তাতে অপবিত্রতা পতিত হয় এবং এটি হল এই সমস্ত রিওয়ায়াতের বিশুদ্ধ মর্ম নির্ধারণের সঠিক পদ্ধতি। পক্ষান্তরে একদল আলিম সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছুটা পরিমাণ নির্ধারিত করে বলেছেন : যখন পানি দুই কুল্লা (বড় দুই মটকা) পরিমাণ পৌঁছে যাবে তখন তা আর নাপাকী বহন করে না। তাঁরা এই বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ প্রমাণ স্বরূপ পেশ করেছেন :
ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেন ঃ বস্তুত যখন রাসূলুল্লাহ্ বিশেষত সেই স্থির পানির কথা বলেছেন, যা কি না প্রবাহিত নয়। প্রবাহিত পানির উল্লেখ করেননি। এতে বুঝা যাচ্ছে যে, তিনি তা পৃথক করে দিয়েছেন। যেহেতু নাজাসাত (অপবিত্রতা) সেই পানিতে প্রবেশ করে যা প্রবাহিত নয় । প্রবাহিত পানিতে প্রবেশ করে না।
রাসূলুল্লাহ্ থেকে কুকুরের মুখ দেয়া পাত্র ধৌত করার ব্যাপারেও (হাদীস) বর্ণিত আছে । আমরা তা আমাদের এই গ্রন্থের অন্যস্থানে ইনশাআল্লাহ্ শীঘ্রই বর্ণনা করব। বস্তুত এটি পাত্র এবং এর পানি অপবিত্র হওয়ার প্রমাণ। অথচ এটা এর গন্ধ রং এবং স্বাদের উপর প্রভাব ফেলে না। অতএব ঐ সমস্ত রিওয়ায়াতসমূহের বিশুদ্ধতাও সেই বস্তুকে অপরিহার্য করে যা আমরা এই অনুচ্ছেদে ‘বী’রে বুযাআ' সম্পর্কীয় হাদীসের মর্মার্থের ব্যাপারে বর্ণনা করেছি। এভাবে এই হাদীসের মর্ম ঐ সমস্ত হাদীসের মর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়ে সামঞ্জস্যশীল হয়। আর এটি সেই পানির বিধান যা প্রবাহিত নয় যখন কিনা তাতে অপবিত্রতা পতিত হয় এবং এটি হল এই সমস্ত রিওয়ায়াতের বিশুদ্ধ মর্ম নির্ধারণের সঠিক পদ্ধতি। পক্ষান্তরে একদল আলিম সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছুটা পরিমাণ নির্ধারিত করে বলেছেন : যখন পানি দুই কুল্লা (বড় দুই মটকা) পরিমাণ পৌঁছে যাবে তখন তা আর নাপাকী বহন করে না। তাঁরা এই বিষয়ে নিম্নোক্ত হাদীসসমূহ প্রমাণ স্বরূপ পেশ করেছেন :
باب الماء يقع فيه النجاسة
23 - وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَجَّاجِ بْنِ سُلَيْمَانَ الْحَضْرَمِيُّ , قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ قَالَ: ثنا أَبُو يُوسُفَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَنَّهُ نَهَى أَنْ يُبَالَ فِي الْمَاءِ الرَّاكِدِ ثُمَّ يُتَوَضَّأُ فِيهِ» . قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَلَمَّا خَصَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَاءَ الرَّاكِدَ الَّذِي لَا يَجْرِي دُونَ الْمَاءِ الْجَارِي , عَلِمْنَا بِذَلِكَ أَنَّهُ إِنَّمَا فَصَّلَ ذَلِكَ، لِأَنَّ النَّجَاسَةَ تُدَاخِلُ الْمَاءَ الَّذِي لَا يَجْرِي , وَلَا تُدَاخِلُ الْمَاءِ الْجَارِيَ. وَقَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْضًا فِي غُسْلِ الْإِنَاءِ مِنْ وُلُوغِ الْكَلْبِ مَا سَنَذْكُرُهُ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ مِنْ كِتَابِنَا هَذَا إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى، فَذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى نَجَاسَةِ الْإِنَاءِ وَنَجَاسَةِ مَائِهِ، وَلَيْسَ ذَلِكَ بِغَالِبٍ عَلَى رِيحِهِ، وَلَا عَلَى لَوْنِهِ , وَلَا عَلَى طَعْمِهِ. فَتَصْحِيحُ مَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ يُوجِبُ فِيمَا ذَكَرْنَا مِنْ هَذَا الْبَابِ مِنْ مَعَانِي حَدِيثِ بِئْرِ بُضَاعَةَ مَا وَصَفْنَا لِتَتَّفِقَ مَعَانِي ذَلِكَ وَمَعَانِي هَذِهِ الْآثَارِ , وَلَا تَتَضَادَّ. فَهَذَا حُكْمُ الْمَاءِ الَّذِي لَا يَجْرِي إِذَا وَقَعَتْ فِيهِ النَّجَاسَةُ مِنْ طَرِيقِ تَصْحِيحِ مَعَانِي الْآثَارِ. غَيْرَ أَنَّ قَوْمًا وَقَّتُوا فِي ذَلِكَ شَيْئًا، فَقَالُوا: إِذَا كَانَ الْمَاءُ مِقْدَارَ قُلَّتَيْنِ لَمْ يَحْمِلْ خَبَثًا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا
হাদীসের ব্যাখ্যা:
পান করা, কাপড় ধুয়া এবং অযু-গোসল করাসহ পানি মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং আবদ্ধ পানিতে পেশাব করে নাপাক বা ময়লা বানানো এবং পানির উপকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা কিছুতেই বৈধ হতে পারে না। তাই হানাফী মাযহাবে আবদ্ধ পানিতে পেশাব করা মাকরূহ। (আলমগিরী: ১/৫০) এমনকি প্রবাহমান পানিতেও প্রয়োজন ব্যতীত পেশাব করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
