শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং:
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
৬. বীরে বুযাআ সম্পর্কে আমরা যা উল্লেখ করেছি এটি ইমাম ওয়াকিদী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে। আমার নিকট তা আবু জা'ফর আহমদ ইব্‌ন আবু ইমরান বর্ণনা করেছেন। তিনি আবু আব্দুল্লাহ্ মুহাম্মাদ ইবন শুজা ছালজী (রাহঃ) সূত্রে ওয়াকিদী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, সেই কুয়োটি এইরূপই ছিলো।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এটিও একটি প্রমাণ যে, ফকীহগণ নিম্নোক্ত বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে যে, যখন কুয়োতে নাপাকি পতিত হয়ে পানির স্বাদ বা গন্ধ বা রং-কে প্রভাবিত করে তাহলে এর পানি নাপাক হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে 'বীরে বুয'আ' সম্পর্কে হাদীসে এমন কিছুর উল্লেখ নেই। এতে তো শুধু এটুকু ব্যক্ত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ কে বী'রে বুয'আ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে এবং তাঁকে বলা হয়েছে যে, এতে কুকুর এবং হায়যে ব্যবহৃত কাপড়ের টুকরো ফেলা হয়ে থাকে। তিনি বললেন, পানিকে কোন বস্তু নাপাক করতে পারে না।
বস্তুত আমরা জ্ঞাত আছি যে, যদি কে কুয়োতে এর চাইতে কম কিছুও পতিত হয় তাহলে এর
পানির গন্ধ এবং স্বাদ পরিবর্তিত না হওয়া অসম্ভব। আর এটি যুক্তিসঙ্গত এবং পরিজ্ঞাত বিষয় । বস্তুত যখন বিষয়টি এরূপ এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁদের জন্যে উক্ত পানি ব্যবহার করা বৈধ সাব্যস্ত করেছেন আর এটি তো সকলের কাছে স্বীকৃত যে, সেটি পানি পূর্বোল্লিখিত কারণসমূহের কোন কারণে পরিবর্তিত হয়ে যায় নি।
আমাদের বিবেচনায় আর আল্লাহ্ উত্তম রূপে জ্ঞাত কুয়োয় নাপাকি বিদ্যমান থাকা অবস্থায় নবী (ﷺ) কে এর পানি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা এবং তার এরূপ উত্তর প্রদান করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। সম্ভবত এই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিলো কুয়ো থেকে নাপাকি বের করার পরে, আর আল্লাহ্ উত্তমরূপে জ্ঞাত। যেন তাঁরা নবী (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করেছেন তা থেকে নাপাকি বের করার পর তা কি পাক হবে ? এবং এর সেই পানি নাপাক হবে না, যা এর পরবর্তীতে এখন তাতে পড়বে ? বস্তুত এটি একটি কঠিন বিষয়। যেহেতু কুয়োর দেয়ালসমূহ ধোয়া হয়নি এবং এর কাদা মাটিও বের করা হয়নি। অতএব নবী (ﷺ) তাঁদেরকে বলেছেন : পানি নাপাক হয় না। বস্তুত এর দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে, সেই পানি যা নাপাকি বের করার পরে সেখানে পৌঁছে। এরূপ নয় যে, পানিতে নাপাকি মিলিত হওয়ার পরে তা নাপাক হবে না। আবার আমরা তাঁকে (রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে) দেখছি তিনি বলেছেনঃ মু'মিন নাপাক (অপবিত্র) হয় না।
باب الماء يقع فيه النجاسة
6 - وَقَدْ حُكِيَ هَذَا الْقَوْلُ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي بِئْرِ بُضَاعَةَ عَنِ الْوَاقِدِيِّ , حَدَّثَنِيهِ أَبُو جَعْفَرٍ أَحْمَدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللهِ مُحَمَّدِ بْنِ شُجَاعٍ الثَّلْجِيِّ، عَنِ الْوَاقِدِيِّ أَنَّهَا كَانَتْ كَذَلِكَ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ فِي ذَلِكَ أَيْضًا أَنَّهُمْ قَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ النَّجَاسَةَ إِذَا وَقَعَتْ فِي الْبِئْرِ فَغَلَبَتْ عَلَى طَعْمِ مَائِهَا أَوْ رِيحِهِ أَوْ لَوْنِهِ , أَنَّ مَاءَهَا قَدْ فَسَدَ. وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ بِئْرِ بُضَاعَةَ مِنْ هَذَا شَيْءٌ، إِنَّمَا فِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّهُ يُلْقَى فِيهَا الْكِلَابُ وَالْمَحَائِضُ. فَقَالَ: «إِنَّ الْمَاءَ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ» . وَنَحْنُ نَعْلَمُ أَنَّ بِئْرًا لَوْ سَقَطَ فِيهَا مَا هُوَ أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ لَكَانَ مُحَالًا أَنْ لَا يَتَغَيَّرَ رِيحُ مَائِهَا وَطَعْمُهُ , هَذَا مِمَّا يُعْقَلُ وَيُعْلَمُ. فَلَمَّا كَانَ ذَلِكَ كَذَلِكَ، وَقَدْ أَبَاحَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاءَهَا، وَأَجْمَعُوا أَنَّ ذَلِكَ لَمْ يَكُنْ وَقَدْ دَاخَلَ الْمَاءَ التَّغْيِيرُ مِنْ جِهَةٍ مِنَ الْجِهَاتِ اللَّاتِي ذَكَرْنَا ; اسْتَحَالَ عِنْدَنَا، وَاللهُ أَعْلَمُ، أَنْ يَكُونَ سُؤَالُهُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ مَائِهَا وَجَوَابُهُ إِيَّاهُمْ فِي ذَلِكَ بِمَا أَجَابَهُمْ , كَانَ وَالنَّجَاسَةُ فِي الْبِئْرِ. وَلَكِنَّهُ، وَاللهُ أَعْلَمُ، كَانَ بَعْدَ أَنْ أُخْرِجَتِ النَّجَاسَةُ مِنَ الْبِئْرِ، فَسَأَلُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ: هَلْ تَطْهُرُ بِإِخْرَاجِ النَّجَاسَةِ مِنْهَا فَلَا يَنْجُسُ مَاؤُهَا الَّذِي يَطْرَأُ عَلَيْهَا بَعْدَ ذَلِكَ؟ وَذَلِكَ مَوْضِعٌ مُشْكِلٌ لِأَنَّ حِيطَانَ الْبِئْرِ لَمْ تُغْسَلْ وَطِينُهَا لَمْ يُخْرَجْ، فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْمَاءَ لَا يَنْجُسُ» . يُرِيدُ بِذَلِكَ الْمَاءَ الَّذِي طَرَأَ عَلَيْهَا بَعْدَ إِخْرَاجِ النَّجَاسَةِ مِنْهَا لَا أَنَّ الْمَاءَ لَا يَنْجُسُ إِذَا خَالَطَتْهُ النَّجَاسَةُ وَقَدْ رَأَيْنَاهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْمُؤْمِنُ لَا يَنْجُسُ»
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৬ | মুসলিম বাংলা