শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
১. পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
হাদীস নং: ৫
পানিতে নাপাকী পড়লে কী করণীয়ঃ
৫. ফাহাদ ইব্ন সুলায়মান ইবন ইয়াহইয়া (রাহঃ)...... জাবির (রাযিঃ) অথবা আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা একবার এক সফরে রাসূলুল্লাহ্ -এর সঙ্গে ছিলাম। এক সময় আমরা একটি জলাশয়ের কাছে পৌঁছালাম; যাতে মৃত (প্রাণী) পড়ে রয়েছিলো। আমরা বিরত থাকলাম এবং লোকেরাও বিরত থাকল। তারপর রাসূলুল্লাহ্ আমাদের নিকট এলেন এবং বললেন, তোমাদের কি হয়েছে, পানি পান করছ না কেন ? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এই মৃত প্রাণীর কারণে। তিনি বললেন, তোমরা পান কর। কেননা পানিকে কোন বস্তু কলুষিত করতে পারে না। সুতরাং আমরা অত্যন্ত তৃপ্তি সহকারে পান করলাম।
পর্যালোচনা:
একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করে বলেছেন, পানিতে পতিত কোন বস্তু পানিকে কলুষিত করতে পারে না যতক্ষণ না এর রং বা স্বাদ বা গন্ধ পরিবর্তিত হবে। পক্ষান্তরে ওগুলোর কোন একটি পরিবর্তিত হয়ে গেলে পানি নাপাক হয়ে যাবে।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন, 'বী'রে বুঝা'আ' সম্পর্কে যা কিছু তোমরা উল্লেখ করেছ এতে তোমাদের অনুকূলে কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু বীরে বুয়া'আ' সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে যে, তা কী ছিলো? একদল (বিশ্লেষক) আলিম বলেন যে, তা বাগানসমূহে প্রবহমান পানির পথ ছিলো। তাতে পানি স্থির থাকত না। অতএব এর পানির বিধান নদীসমূহের বিধানের অনুরূপ হবে। অনুরূপভাবে আমরা এরূপ প্রত্যেক স্থানের ব্যাপারে অনুরূপ বক্তব্য প্রদান করব যে, যদি তাতে নাপাকি পতিত হয় তাহলে তা যতক্ষণ পর্যন্ত এর স্বাদ বা রং বা গন্ধকে পরিবর্তত না করবে, পানি নাপাক হবে না। অথবা যদি জানা যায় যে, তা থেকে নেয়া পানির মধ্যে নাপাকির অংশ বিদ্যমান আছে, তাহলে পানি নাপাক হয়ে যাবে। আর যদি তা জানা না যায় তাহলে পানি পাক হিসাবে বিবেচিত হবে।
পর্যালোচনা:
একদল আলিম এই সমস্ত হাদীসের মর্ম গ্রহণ করে বলেছেন, পানিতে পতিত কোন বস্তু পানিকে কলুষিত করতে পারে না যতক্ষণ না এর রং বা স্বাদ বা গন্ধ পরিবর্তিত হবে। পক্ষান্তরে ওগুলোর কোন একটি পরিবর্তিত হয়ে গেলে পানি নাপাক হয়ে যাবে।
পক্ষান্তরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপরাপর আলিমগণ তাদের বিরোধিতা করে বলেছেন, 'বী'রে বুঝা'আ' সম্পর্কে যা কিছু তোমরা উল্লেখ করেছ এতে তোমাদের অনুকূলে কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু বীরে বুয়া'আ' সম্পর্কে মতবিরোধ রয়েছে যে, তা কী ছিলো? একদল (বিশ্লেষক) আলিম বলেন যে, তা বাগানসমূহে প্রবহমান পানির পথ ছিলো। তাতে পানি স্থির থাকত না। অতএব এর পানির বিধান নদীসমূহের বিধানের অনুরূপ হবে। অনুরূপভাবে আমরা এরূপ প্রত্যেক স্থানের ব্যাপারে অনুরূপ বক্তব্য প্রদান করব যে, যদি তাতে নাপাকি পতিত হয় তাহলে তা যতক্ষণ পর্যন্ত এর স্বাদ বা রং বা গন্ধকে পরিবর্তত না করবে, পানি নাপাক হবে না। অথবা যদি জানা যায় যে, তা থেকে নেয়া পানির মধ্যে নাপাকির অংশ বিদ্যমান আছে, তাহলে পানি নাপাক হয়ে যাবে। আর যদি তা জানা না যায় তাহলে পানি পাক হিসাবে বিবেচিত হবে।
باب الماء يقع فيه النجاسة
5 - حَدَّثَنَا فَهْدُ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ يَحْيَى، قَالَ: مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْأَصْبَهَانِيُّ قَالَ: أنا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللهِ النَّخَعِيُّ، عَنْ طَرِيفٍ الْبَصْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ جَابِرٍ، أَوْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرِنَا، فَانْتَهَيْنَا إِلَى غَدِيرٍ وَجِيفَةٍ، فَكَفَفْنَا وَكَفَّ النَّاسُ، حَتَّى أَتَانَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَا لَكُمْ لَا تَسْتَقُونَ؟ فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ , هَذِهِ الْجِيفَةُ. فَقَالَ: «اسْتَقُوا , فَإِنَّ الْمَاءَ لَا يُنَجِّسُهُ شَيْءٌ. فَاسْتَقَيْنَا وَارْتَوَيْنَا» . فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ , فَقَالُوا: لَا يُنَجِّسُ الْمَاءَ شَيْءٌ وَقَعَ فِيهِ , إِلَّا أَنْ يُغَيِّرَ لَوْنَهُ , أَوْ طَعْمَهُ , أَوْ رِيحَهُ , فَأَيُّ ذَلِكَ إِذَا كَانَ , فَقَدْ نَجِسَ الْمَاءُ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ، فَقَالُوا: أَمَّا مَا ذَكَرْتُمُوهُ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ فَلَا حُجَّةَ لَكُمْ فِيهِ؛ لِأَنَّ بِئْرَ بُضَاعَةَ قَدِ اخْتُلِفَ فِيهَا مَا كَانَتْ، فَقَالَ قَوْمٌ: كَانَتْ طَرِيقًا لِلْمَاءِ إِلَى الْبَسَاتِينِ، فَكَانَ الْمَاءُ لَا يَسْتَقِرُّ فِيهَا، فَكَانَ حُكْمُ مَائِهَا كَحُكْمِ مَاءِ الْأَنْهَارِ، وَهَكَذَا نَقُولُ فِي كُلِّ مَوْضِعٍ كَانَ عَلَى هَذِهِ الصِّفَةِ وَقَعَتْ فِي مَائِهِ نَجَاسَةٌ، فَلَا يَنْجُسُ مَاؤُهُ إِلَّا أَنْ يَغْلِبَ عَلَى طَعْمِهِ أَوْ لَوْنِهِ أَوْ رِيحِهِ أَوْ يُعْلَمَ أَنَّهَا فِي الْمَاءِ الَّذِي يُؤْخَذُ مِنْهَا , فَإِنْ عَلِمَ ذَلِكَ كَانَ نَجِسًا , وَإِنْ لَمْ يُعْلَمْ ذَلِكَ كَانَ طَاهِرًا.
