আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৪৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৮২১
২৫১৬. আল্লাহর বাণীঃ يغشى الناس هذا عذاب أليم "তা আবৃত করে ফেলবে মানব জাতিকে, এ হবে মর্মন্তুদ শাস্তি।" (৪৪ঃ ১১)
৪৪৬৩। ইয়াহ্ইয়া (রাহঃ) ......... মাসরূক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেছেন, অবস্থা এ জন্য যে, কুরাইশরা যখন রাসূল (ﷺ) এর নাফরমানী করল, তখন তিনি তাদের বিরুদ্ধে এমন দুর্ভিক্ষের দু'আ করলেন, যেমন দুর্ভিক্ষ হয়েছিল হযরত ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়ে। তারপর তাদের উপর দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধার কষ্ট এমনভাবে আপতিত হল যে, তারা হাড্ডি খেতে আরম্ভ করল। তখন মানুষ আকাশের দিকে তাকালে ক্ষুধার তাড়নায় তারা আকাশ ও তাদের মধ্যে শুধু ধোঁয়ার মত দেখতে পেত। এ সম্পর্কেই আল্লাহ্ নাযিল করলেন, “অতএব তুমি অপেক্ষা কর সেদিনের, যেদিন স্পষ্ট ধূম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ এবং তা আবৃত করে ফেলবে মানব জাতিকে। এ হবে মর্মন্তুদ শাস্তি।”
বর্ণনাকারী বলেন, রাসূল (ﷺ) এর নিকট (কাফেরদের পক্ষ থেকে) এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মুদার গোত্রের জন্য বৃষ্টির দু'আ করুন। তারা তো ধ্বংস হয়ে গেল। তিনি (রাসূল (ﷺ)) বললেন, মুদার গোত্রের জন্য দু'আ করতে বলছ। তুমি তো খুব সাহসী। তারপর তিনি বৃষ্টির জন্য দু'আ করলেন এবং বৃষ্টি হল। তখন নাযিল হল, তোমরা তো তোমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে। যখন তাদের সচ্ছলতা ফিরে এলো, তখন আবার নিজেদের পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেল। তারপর আল্লাহ্ নাযিল করলেন, “যেদিন আমি তোমাদের প্রবলভাবে পাকড়াও করব, সেদিন আমি তোমাদের প্রতিশোধ নেবই। বর্ণনাকারী বলেন, অর্থাৎ বদর যুদ্ধের দিন।
বর্ণনাকারী বলেন, রাসূল (ﷺ) এর নিকট (কাফেরদের পক্ষ থেকে) এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মুদার গোত্রের জন্য বৃষ্টির দু'আ করুন। তারা তো ধ্বংস হয়ে গেল। তিনি (রাসূল (ﷺ)) বললেন, মুদার গোত্রের জন্য দু'আ করতে বলছ। তুমি তো খুব সাহসী। তারপর তিনি বৃষ্টির জন্য দু'আ করলেন এবং বৃষ্টি হল। তখন নাযিল হল, তোমরা তো তোমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে। যখন তাদের সচ্ছলতা ফিরে এলো, তখন আবার নিজেদের পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেল। তারপর আল্লাহ্ নাযিল করলেন, “যেদিন আমি তোমাদের প্রবলভাবে পাকড়াও করব, সেদিন আমি তোমাদের প্রতিশোধ নেবই। বর্ণনাকারী বলেন, অর্থাৎ বদর যুদ্ধের দিন।
بَابُ قَوْلِهِ تعالى {يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ} [الدخان: 11]
4821 - حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: إِنَّمَا كَانَ هَذَا، لِأَنَّ قُرَيْشًا لَمَّا اسْتَعْصَوْا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا عَلَيْهِمْ بِسِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ، فَأَصَابَهُمْ قَحْطٌ وَجَهْدٌ حَتَّى أَكَلُوا العِظَامَ، فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَنْظُرُ إِلَى السَّمَاءِ فَيَرَى مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا كَهَيْئَةِ الدُّخَانِ مِنَ الجَهْدِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ. يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ} [الدخان: 11] قَالَ: فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ: اسْتَسْقِ اللَّهَ لِمُضَرَ، فَإِنَّهَا قَدْ هَلَكَتْ، قَالَ: «لِمُضَرَ؟ إِنَّكَ لَجَرِيءٌ» فَاسْتَسْقَى لَهُمْ فَسُقُوا، فَنَزَلَتْ: {إِنَّكُمْ عَائِدُونَ} [الدخان: 15] فَلَمَّا أَصَابَتْهُمُ الرَّفَاهِيَةُ عَادُوا إِلَى حَالِهِمْ حِينَ أَصَابَتْهُمُ الرَّفَاهِيَةُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {يَوْمَ نَبْطِشُ البَطْشَةَ الكُبْرَى إِنَّا مُنْتَقِمُونَ} [الدخان: 16] قَالَ: يَعْنِي يَوْمَ بَدْرٍ
