আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৭- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৭
৩১২। মসজিদে ঋণ পরিশোধের তাগাদা দেওয়া ও চাপ সৃষ্টি করা
৪৪৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি মসজিদের ভিতরে ইবনে আবু হাদরাদ (রাযিঃ) এর কাছে তাঁর পাওনা ঋণের তাগাদা করলেন। দু’জনের মধ্যে এ নিয়ে বেশ উচ্চঃস্বরে কথাবার্তা হল। এমনকি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর ঘর থেকেই তাদের কথার আওয়াজ শুনলেন এবং তিনি পর্দা সরিয়ে তাদের কাছে বেরিয়ে গেলেন। আর ডাক দিয়ে বললেনঃ হে কা’ব! কা’ব (রাযিঃ) উত্তর দিলেন, লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমর পাওনা ঋণ থেকে এতটুকু ছেড়ে দাও। আর হাতে ইশারা করে বোঝালেন, অর্থাৎ অর্ধেক পরিমাণ। তখন কা’ব (রাযিঃ) বললেনঃ আমি তাই করলাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! তখন তিনি ইবনে আবু হাদরাদকে বললেনঃ উঠ আর বাকীটা দিয়ে দাও।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাওনাদার কা'ব ইবনে মালিক রাযি.-কে তার পাওনার অর্থ থেকে অর্ধেক ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাও স্পষ্ট মুখের কথায় নয়, কেবল হাতের ইশারায়। হযরত কা'ব রাযি.-ও বিনাবাক্যে সে পরামর্শ মেনে নিয়েছেন। এর দ্বারা যেমন হযরত কা'ব রাযি.-এর বুদ্ধিমত্তা ও আনুগত্যপ্রিয়তার পরিচয় পাওয়া যায়, তেমনি এ শিক্ষাও লাভ হয় যে, দেনাদার অসচ্ছল হলে পাওনাদারের উচিত তার প্রতি সদয় ব্যবহার করা এবং সম্ভব হলে কিছুটা ছাড়ও দেওয়া।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. এ হাদীছ দ্বারা সাহাবায়ে কেরাম নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষা অনুসরণে কেমন তৎপর ছিলেন সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আমাদেরও উচিত হাদীছের শিক্ষা অনুসরণে তাদের সে তৎপরতা রপ্ত করা।

খ. এ হাদীছ দ্বারা বিরোধ নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করা যায়। কোনও কলহ-বিবাদ সম্পর্কে জানতে পারলে আমাদের কর্তব্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা নিরসনে ভূমিকা রাখা।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন