আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৯৫
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ لا تدخلوا ... عند الله عظيما (হে মু’মিনগণ) তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না; বরং যখন তোমাদের ডাকা হয়, তখন তোমরা প্রবেশ করবে । আহারের শেষে তোমরা চলে যাবে, তোমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনায় মশগুল হয়ে পড়বে না, কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচবোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ্ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা তার পত্মীদের থেকে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরালে থেকে চাইবে, এ বিধান তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। তোমাদের কারও পক্ষে আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া অথবা তাঁর মৃত্যুর পর তার পত্নীদের বিয়ে করা কখনও সঙ্গত নহে । আল্লাহর কাছে এটি গুরুতর অপরাদ।
৪৪৩৬। যাকারিয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পর্দার বিধান অবতীর্ণ হওয়ার পর সাওদা প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে যান। সাওদা এমন মোটা শরীরের অধিকারিণী ছিলেন যে, পরিচিত লোকদের থেকে তিনি নিজেকে গোপন রাখতে পারতেন না। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) তাঁকে দেখে বললেন, হে সাওদা! জেনে রাখ, আল্লাহর কসম, আমাদের দৃষ্টি থেকে গোপন থাকতে পারবে না। এখন দেখ তো, কেমন করে বাইরে যাবে? আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, (এ কথা শুনে) সাওদা (রাযিঃ) ফিরে আসলেন। আর এ সময় রাসূল (ﷺ) আমার ঘরে রাতের খানা খাচ্ছিলেন। তাঁর হাতে ছিল টুকরা হাড়। সাওদা (রাযিঃ) ঘরে প্রবেশ করে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে গিয়েছিলাম। তখন উমর (রাযিঃ) আমাকে এমন এমন কথা বলেছে। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, এ সময় আল্লাহ্ তাআলা তাঁর নিকট ওহী নাযিল করেন। ওহী অবতীর্ণ হওয়া শেষ হল, হাড় টুকরা তখনও তাঁর হাতেই ছিল, তিনি তা রাখেননি। রাসূল (ﷺ) বললেন, অবশ্যই প্রয়োজনে তোমাদের বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
