আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৪৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৯৪
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ لا تدخلوا ... عند الله عظيما (হে মু’মিনগণ) তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না; বরং যখন তোমাদের ডাকা হয়, তখন তোমরা প্রবেশ করবে । আহারের শেষে তোমরা চলে যাবে, তোমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনায় মশগুল হয়ে পড়বে না, কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচবোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ্ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা তার পত্মীদের থেকে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরালে থেকে চাইবে, এ বিধান তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। তোমাদের কারও পক্ষে আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া অথবা তাঁর মৃত্যুর পর তার পত্নীদের বিয়ে করা কখনও সঙ্গত নহে । আল্লাহর কাছে এটি গুরুতর অপরাদ।
৪৪৩৫। ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, যয়নাব বিনতে জাহাশের সাথে বাসর উদ্‌যাপনের সময় রাসূল (ﷺ) ওয়ালীমা করলেন। লোকদের তিনি গোশত-রুটি তৃপ্তি সহকারে খাওয়ালেন। তারপর তিনি উম্মুল মু’মিনীনদের কক্ষে যাওয়ার জন্য বের হলেন। যেমন বাসর রাত্রির ভোরে তার অভ্যাস ছিল যে, তিনি তাঁদের সালাম দিতেন ও তাঁদের জন্য দু'আ করতেন এবং তাঁরাও তাঁকে সালাম বলতেন, তাঁর জন্য দু'আ করতেন। তারপর ঘরে ফিরে এসে দু’ব্যক্তিকে আলাপরত দেখতে পেলেন। তাদের দেখে তিনি ঘর থেকে ফিরে গেলেন। সে দু’জন নবী (ﷺ) কে ঘর থেকে ফিরে যেতে দেখে দ্রুত বের হয়ে গেল। এরপরে, আমার স্মরণ নেই যে আমি তাঁকে তাদের বের হয়ে যাওয়ার সংবাদ দিলাম, না অন্য কেউ দিল। তখন তিনি ফিরে এসে ঘরে প্রবেশ করলেন এবং আমার ও তাঁর মধ্যে পর্দা লটকিয়ে দিলেন এবং পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হয়।
ইবনে আবী মারইয়াম..... আনাস (রা) সূত্রে মহানবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত।
باب قوله لا تدخلوا بيوت النبي إلا أن يؤذن لكم إلى طعام غير ناظرين إناه ولكن إذا دعيتم فادخلوا فإذا طعمتم فانتشروا ولا مستأنسين لحديث إن ذلكم كان يؤذي النبي فيستحيي منكم والله لا يستحيي من الحق وإذا سألتموهن متاعا فاسألوهن من وراء حجاب ذلكم أطهر لقلوبكم وقلوبهن وما كان لكم أن تؤذوا رسول الله ولا أن تنكحوا أزواجه من بعده أبدا إن ذلكم كان عند الله عظيما
4794 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «أَوْلَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ بَنَى بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، فَأَشْبَعَ النَّاسَ خُبْزًا وَلَحْمًا، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى حُجَرِ أُمَّهَاتِ المُؤْمِنِينَ كَمَا كَانَ يَصْنَعُ صَبِيحَةَ بِنَائِهِ، فَيُسَلِّمُ عَلَيْهِنَّ وَيُسَلِّمْنَ عَلَيْهِ، وَيَدْعُو لَهُنَّ وَيَدْعُونَ لَهُ، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ رَأَى رَجُلَيْنِ جَرَى بِهِمَا الحَدِيثُ، فَلَمَّا رَآهُمَا رَجَعَ عَنْ بَيْتِهِ، فَلَمَّا رَأَى الرَّجُلاَنِ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجَعَ عَنْ بَيْتِهِ وَثَبَا مُسْرِعَيْنِ، فَمَا أَدْرِي أَنَا أَخْبَرْتُهُ بِخُرُوجِهِمَا أَمْ أُخْبِرَ، فَرَجَعَ حَتَّى دَخَلَ البَيْتَ وَأَرْخَى السِّتْرَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ، وَأُنْزِلَتْ آيَةُ الحِجَابِ» ، وَقَالَ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ: أَخْبَرَنَا [ص:120] يَحْيَى، حَدَّثَنِي حُمَيْدٌ، سَمِعَ أَنَسًا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ওলীমা বলা হয় ওই দাওয়াতের অনুষ্ঠানকে, যা বিবাহের পর ছেলের বাড়িতে করা হয়ে থাকে। এটা করা সুন্নত। সামর্থ্য অনুযায়ী এটা করা উচিত। আর এটা যেহেতু সুন্নত, তখন করাও উচিত সুন্নতের মর্যাদা রক্ষা করে শরীআতবিরোধী কোনও কর্মকাণ্ড তাতে যুক্ত করা বাঞ্ছনীয় নয়। হযরত আব্দুর রহমান ইবন আওফ রাযি. বিবাহ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে হুকুম করলেন أولم ولو بشاة “তুমি ওলীমা কর, যদিও একটি ছাগল দ্বারা হয়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৪৪৩৫ | মুসলিম বাংলা