আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৯১
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ لا تدخلوا ... عند الله عظيما (হে মু’মিনগণ) তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না; বরং যখন তোমাদের ডাকা হয়, তখন তোমরা প্রবেশ করবে । আহারের শেষে তোমরা চলে যাবে, তোমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনায় মশগুল হয়ে পড়বে না, কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচবোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ্ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা তার পত্মীদের থেকে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরালে থেকে চাইবে, এ বিধান তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। তোমাদের কারও পক্ষে আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া অথবা তাঁর মৃত্যুর পর তার পত্নীদের বিয়ে করা কখনও সঙ্গত নহে । আল্লাহর কাছে এটি গুরুতর অপরাদ।
৪৪৩২। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ রকাশী (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যয়নাব বিনতে জাহাশকে যখন রাসূল (ﷺ) বিয়ে করেন, তখন তিনি লোকদের দাওয়াত দিলেন। লোকেরা আহারের পর বসে কথাবার্তা বলতে লাগল। তিনি উঠে যেতে উদ্যত হচ্ছিলেন, কিন্তু লোকেরা উঠছিল না। এ অবস্থা দেখে তিনি উঠে দাঁড়ালেন। তিনি উঠে যাওয়ার পর যারা উঠবার তারা উঠে গেল। কিন্তু তিন ব্যক্তি বসেই রইল। নবী (ﷺ) ঘরে প্রবেশের জন্য ফিরে এসে দেখেন, তারা তখনও বসে রয়েছে (তাই তিনি চলে গেলেন)। এরপর তারাও উঠে গেল। আমি গিয়ে নবী (ﷺ) কে তাদের চলে যাওয়ার সংবাদ দিলাম। তারপর তিনি এসে প্রবেশ করলেন। এরপরও আমি প্রবেশ করতে চাইলে তিনি আমার ও তার মাঝে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। তখন আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করেনঃيَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ الآيَةَ “হে মু’মিনগণ! তোমরা নবীর গৃহে প্রবেশ করো না ...... শেষ পর্যন্ত।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন