আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৯০
২৪৯৬ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ لا تدخلوا ... عند الله عظيما (হে মু’মিনগণ) তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতির জন্য অপেক্ষা না করে আহারের জন্য নবীর গৃহে প্রবেশ করবে না; বরং যখন তোমাদের ডাকা হয়, তখন তোমরা প্রবেশ করবে । আহারের শেষে তোমরা চলে যাবে, তোমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনায় মশগুল হয়ে পড়বে না, কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে সংকোচবোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ্ সত্য বলতে সংকোচবোধ করেন না। তোমরা তার পত্মীদের থেকে কিছু চাইলে পর্দার অন্তরালে থেকে চাইবে, এ বিধান তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। তোমাদের কারও পক্ষে আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া অথবা তাঁর মৃত্যুর পর তার পত্নীদের বিয়ে করা কখনও সঙ্গত নহে । আল্লাহর কাছে এটি গুরুতর অপরাদ। বলা হয় إِنَاهُ খাদ্য পরিপাক হওয়া। এটা أَنَى يَأْنِيْ أَنَاةً থেকে গঠিত। لَعَلَّ السَّاعَةَ تَكُوْنُ قَرِيْبًا সম্ভবত ক্বিয়ামাত অতি নিকটবর্তী। যদি তুমি مؤنث হিসেবে ব্যবহার কর, তবে قَرِيْبَةً বলবে। আর যদি الصِّفَةَ না ধর ظَرْفًا বা بَدَلً হিসেবে ব্যবহার কর, তবে এতে ’তা’ সংযোগ করবে না। তদ্রূপ এ শব্দটি একবচন, দ্বি-বচন, বহুবচন এবং مذكر- مؤنث সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়।
৪৪৩১। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার কাছে ভাল ও মন্দ লোক আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মু’মিনীনদের ব্যাপারে পর্দার আদেশ দিতেন (তবে ভাল হত) তারপর আল্লাহ্ তাআলা পর্দার আয়াত নাযিল করেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন