আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৮৩
২৪৯১ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ فمنهم من قضى نحبه ومنهم من ينتظر وما بدلوا تبديلا "তাদের কেউ কেউ তার অঙ্গীকার পূরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা তাতে কোন পরিবর্তন করেনি"। نحبه তার অঙ্গীকার أقطارها তার পার্শ্বসমূহ الفتنة لآتوها তারা তা গ্রহণ করত।
৪৪২৫। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এ আয়াত আনাস ইবনে নাযর সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। “মু’মিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে তাদের কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করেছে।”

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হযরত আনাস ইব্ন মালিক রাযি.-এর চাচা হযরত আনাস ইবনুন-নাযর রাযি. বদর যুদ্ধে শরীক থাকতে পারেননি, যেমনটা এ হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। না থাকতে পারার কারণ ছিল এই যে, বদর যুদ্ধ মূলত পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধের উদ্দেশ্যে বের হননি। তিনি বের হয়েছিলেন কুরায়শের একটি বাণিজ্য কাফেলাকে লক্ষ্য করে। তাঁর সঙ্গে ছিল মাত্র ৩১৩ জন সাহাবী। এ অল্পসংখ্যক সাহাবী নিয়েই তিনি কুরায়শদের এক সসস্ত্র ও বড়সড় রণপ্রস্তুত বাহিনীর সম্মুখীন হয়ে পড়েন। আল্লাহর সাহায্যে অকল্পনীয়ভাবে তিনি তাদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন। আর শত্রুপক্ষ কেবল পরাজিতই হয়নি; তাদের নেতৃস্থানীয় প্রায় সকলেই নিহত হয়। আর এভাবে ইসলাম ও কুফরের মধ্যে সংঘটিত প্রথম যুদ্ধে হক-বাতিলের চূড়ান্ত ফয়সালা হয়ে যায়।

যেমনটা বলা হয়েছে বদরের যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল সম্পূর্ণ অপ্রস্তুতভাবে। তাই বহু সাহাবীর পক্ষে এতে অংশগ্রহণ সম্ভব হয়নি। হযরত আনাস ইবনুন-নাযর রাযি, তাদের একজন। ইসলামী ইতিহাসের সর্বপ্রথম এ যুদ্ধে শরীক থাকতে না পারার কারণে তাঁর মনে বড় আক্ষেপ ছিল। সেই আক্ষেপ থেকেই তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লক্ষ করে বলেছিলেন, আপনি মুশরিকদের সঙ্গে সর্বপ্রথম যে যুদ্ধ করলেন। তাতে আমার উপস্থিত থাকা হল না!

সাহাবায়ে কিরাম ছিলেন দীনের জন্য জানমাল কুরবানী দিতে পাগলপারা। ফলে বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে না পারাটা তাদের পক্ষে ছিল অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তারা সে বেদনার প্রতিকার খুঁজছিলেন। হযরত আনাস ইবনুন-নাযর রাযি.-এর ভাষায় সে কথা উঠে এসেছে। তিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লক্ষ করে বললেনঃ-

لئن الله أشهدني قتال المشركين ليرين الله ما أصنع

‘এরপর যদি আল্লাহ মুশরিকদের সঙ্গে কোনও যুদ্ধে আমাকে উপস্থিত রাখেন, তবে আমি কী করি তা আল্লাহ অবশ্যই দেখিয়ে দেবেন।” অপর এক বর্ণনায় আছেঃ-

ليرين الله

'আল্লাহ অবশ্যই দেখতে পাবেন।'
এটা তাঁর সংকল্পের কথা। তিনি মনে মনে সংকল্প করেছিলেন, মুশরিকদের সঙ্গে এরপর যদি কোনও যুদ্ধ হয়, তবে তিনি অবশ্যই তাতে শরীক থাকবেন এবং প্রাণপণ লড়াই করবেন। তাতে যদি শহীদ হতে পারেন, তাকে জীবনের চরম সফলতা ও পরম সৌভাগ্য গণ্য করবেন।

তাঁর মনের এ আশা আল্লাহ তা'আলা পূরণ করেন। এক বছরের মথায়ই তাঁর সে সুযোগ আসে। বদর যুদ্ধের ক্ষতিপূরণের উদ্দেশ্যে মক্কার কাফেরগণ পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে উহুদ পাহাড়ের পাদদেশে সমবেত হয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রিয় সাহাবীদের নিয়ে তাদের মুখোমুখি হন। হযরত আনাস ইবনুন নাযর রাযি. পূর্ণোদ্দমে তাতে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধের প্রথমদিকে জয়ের হাওয়া মুসলিম বাহিনীর অনুকূলেই ছিল। তারপর একটা ভুলের কারণে পরিস্থিতি ঘুরে যায়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি ঘাঁটিতে একদল তিরন্দাজ বাহিনী নিযুক্ত করেছিলেন এবং তাদেরকে কঠোর হুকুম দিয়েছিলেন, যেন কোনও অবস্থায়ই সে ঘাঁটি ত্যাগ না করে। কিন্তু তারা যখন মুসলিম বাহিনীর বিজয় এবং শত্রুপক্ষের পলায়নপর দৃশ্য দেখলেন, তখন তাদের অনেকে সে ঘাঁটিতে অবস্থান অপ্রয়োজনীয় মনে করলেন এবং ঘাঁটি ত্যাগ করে রণক্ষেত্রে গনীমতের মাল কুঁড়াতে লেগে গেলেন। শত্রুপক্ষ যখন ঘাঁটিটি অরক্ষিত পেল, তখন কালবিলম্ব না করে সেখান থেকে মুসলিম বাহিনীর উপর অতর্কিত আক্রমণ চালাল। তাদের সে আকস্মিক হামলা প্রতিহত করা সাহাবায়ে কিরামের পক্ষে সম্ভব হল না। তাঁরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লেন এবং অনেকেই চারদিকে ছোটাছুটি শুরু করে দিলেন। মাত্র কয়েকজন সাহাবী নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে অবিচল থাকতে পেরেছিলেন। এভাবে তিরন্দাজ বাহিনীর ঘাঁটি ত্যাগ করা, তার পরিণামে প্রায় অর্জিত বিজয় হাতছাড়া হয়ে যাওয়া এবং পরিশেষে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রায় নিঃসঙ্গ রেখে সঙ্গীগণের পলায়ন করার দৃশ্য হযরত আনাস ইবনুন নাযর রাযি.-এর জন্য ছিল হৃদয়বিদারক। তিনি তাঁর মনের সে কষ্টের কথাই তাঁর এ দু'আর মধ্যে ব্যক্ত করেন যে--

اللهم أعتذر إليك مما صنع هؤلاء، يعني: أصحابه

‘হে আল্লাহ! তারা অর্থাৎ আমার সঙ্গীগণ যা করেছে সে ব্যাপারে আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।'তারপর বলেনঃ-

وأبرأ إليك مما صنع هؤلاء، يعني المشركين

এবং হে আল্লাহ! ওই মুশরিকরা যা করেছে তার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই।'
অর্থাৎ হে আল্লাহ! মুশরিকগণ আপনার রাসূলের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ করেছে, তাঁকে জখম করেছে এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে শহীদদের লাশ বিকৃত করে দিয়েছে, তাদের এসব দুষ্কর্মের সাথে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি শিরক ও মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে আপনার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আপনাকে রাজিখুশি করার উদ্দেশ্যে এ জিহাদে শরীক হয়েছি। কাজেই তাদের এ বর্বরোচিত কাজের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না। আমি এর প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি। সুতরাং তাদের প্রতি আপনার যে গযব ও ক্রোধ বর্ষণ হওয়ার রয়েছে, তা থেকে আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি।

হযরত আনাস ইবনুন নাযর এ দু'আ করার পর ফের রণক্ষেত্রে ছুটে যান। তাঁর মনের মধ্যে তখন শাহাদাতলাভের উদ্দীপনা। জান্নাত যেন তাঁর চোখের সামনে। জান্নাতের অবর্ণনীয় নি'আমতরাশি যেন তাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সে হাতছানিতে সাড়া দেওয়ার জন্যই তাঁর এ ছুটে চলা। পথিমধ্যে হযরত সা'দ ইব্ন মু'আয রাযি.-এর সঙ্গে দেখা হলে তিনি মনের সে ভাবাবেগ প্রকাশ করে বলেন, হে সা'দ! আমি আমার বাবা নাযরের প্রতিপালকের কসম করে বলছি, এখন তো আমি কেবল জান্নাতই চাই। উহুদের পাদদেশ থেকে আমি জান্নাতের সুরভি পাচ্ছি।

তিনি বোঝাতে চাচ্ছিলেন, জান্নাত এখন তাঁর খুব কাছে। যেন তার সুঘ্রাণ পাচ্ছেন। এ সুঘ্রাণ পাওয়াটা বাস্তবিক অর্থেও হতে পারে। সত্যিই তখন শহীদদের জন্য যে জান্নাত প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তার সুরভি তিনি অনুভব করতে পারছিলেন এবং তাঁর মনোপ্রাণ সে সুরভিতে আমোদিত হয়ে উঠছিল। অথবা তিনি তাঁর কল্পনার কথা বলছিলেন। তাঁর মনের আয়নায় জান্নাতের ছবি ভেসে উঠেছিল। তার অফুরন্ত নি'আমত মানসচক্ষে দেখতে পাচ্ছিলেন এবং কল্পনায় তার সুরভি উপভোগ করছিলেন।

এই বলে তিনি রণক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে যান। কী রকমের লড়াই তিনি করেছিলেন এবং শত্রুর কত আঘাত তিনি বুক পেতে গ্রহণ করেছিলেন, তা হযরত সা'দ রাযি. এর বক্তব্য এবং তাঁর শহীদী লাশের অবস্থা দ্বারা অনুমান করা যায়। যুদ্ধের পর যখন মুজাহিদদের বীরত্ব ও কুরবানী সম্পর্কে কথা হচ্ছিল, তখন একপর্যায়ে হযরত সা'দ ইব্ন মু'আয রাযি. হযরত আনাস ইবনুন নাযর রাযি. এর প্রশংসায় বলে ওঠেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে যা করেছে আমি তা করতে পারিনি'। অর্থাৎ এ যুদ্ধে সা'দ যে বীরত্ব দেখিয়েছেন, যেভাবে প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন এবং যেভাবে শত্রুদের উপর্যুপরি আঘাত বুক পেতে গ্রহণ করেছেন, তেমনটা আমি করতে পারিনি!

বলার অপেক্ষা রাখে না, আপন স্থান থেকে হযরত সা'দ ইব্ন মু'আয রাযি. কিছুমাত্র কম বীরত্ব দেখাননি। তিনিও এক শ্রেষ্ঠতম আনসারী সাহাবী। ইসলাম ও নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য জান কুরবান করার ব্যাপারে তিনি কারও থেকেই পিছিয়ে থাকার মানুষ নন। কাজেই তাঁর পক্ষে সম্ভবপর সবটুকুই যে তিনি করেছিলেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তা সত্ত্বেও তিনি যে হযরত আনাস ইবনুন নাযর রাযি.-এর এমন অকুন্ঠ প্রশংসা করেছেন, এটা তাঁর সাহাবীসুলভ মহানুভবতা। সেইসঙ্গে হযরত আনাস ইবনুন নাযর রাযি. যেভাবে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন এবং শহীদী প্রেরণায় উজ্জীবিত এ বীর যেভাবে শত্রুদের নিষ্ঠুর নির্মমতার শিকার হয়ে উচ্চতর শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করেছিলেন, এটা তার অকুণ্ঠ স্বীকারোক্তিও বটে।

হযরত আনাস ইব্ন মালিক রাযি. জানান, তাঁর চাচার শরীরে ৮০টিরও বেশি জখম পাওয়া গিয়েছিল। কোনও জখম তরবারির আঘাতের, কোনওটি বর্শার আঘাতের এবং কোনওটি তিরের আঘাতের। এতে করে তাঁর শরীরের চামড়া ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। ফলে কেউ তাঁকে চিনতে পারছিল না। চিনতে পেরেছিলেন কেবল তাঁর বোন। তাও শরীরের অন্য কোনও অঙ্গ দিয়ে নয়, কেবল আঙ্গুলের মাথা দেখে। ভাবা যায়, তাঁর শরীর কেমন ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল? সুবহানাল্লাহ, কী রকম ঈমানী শক্তি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাতলাভের কতটা উদ্দীপনা থাকলে এত বেশি আঘাত বুক পেতে গ্রহণ করা যায়! হাঁ, তাঁরাই মহান সাহাবী। তাঁদের এরকম ত্যাগ ও কুরবানীর ফলেই ইসলাম প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে এবং সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, যদ্দরুন আজ আমরা সম্পূর্ণ বিনা ত্যাগে একদম মুফতে ইসলামের মহা নি'আমত পেয়ে গেছি। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে এ নি‘আমতের যথাযথ শোকর আদায়ের তাওফীক দান করুন এবং মহান সাহাবীদেরকে জান্নাতের উচ্চ থেকে উচ্চতর মর্যাদায় ভূষিত করুন, আমীন।
হযরত আনাস রাযি. জানান, তাঁর চাচা হযরত আনাস ইবনুন নাযর রাযি. এবং তাঁর মত অপরাপর সাহাবী সম্পর্কেই নাযিল হয়েছেঃ-

مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا

অর্থ : এই ঈমানদারদের মধ্যেই এমন লোকও আছে, যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতিকে সত্যে পরিণত করেছে এবং তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে, যারা তাদের নজরানা আদায় করেছে এবং আছে এমন কিছু লোক, যারা এখনও প্রতীক্ষায় আছে আর তারা (তাদের ইচ্ছার ভেতর) কিছুমাত্র পরিবর্তন ঘটায়নি।সূরা আহযাব, আয়াত ২৩
এ আয়াতে আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি বলতে আলোচ্য হাদীছে হযরত আনাস ইবনুন নাযর রাযি.-এর যে প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ জাতীয় প্রতিশ্রুতি আরও অনেক সাহাবী করেছিলেন এবং তাদের প্রত্যেকেই তা রক্ষা করেছিলেন।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. এ হাদীছে বর্ণিত ঘটনাটি মুজাহাদার এক শ্রেষ্ঠতম দৃষ্টান্ত। দীনের অনুসরণ করতে গেলে নফস ও সমাজের পক্ষ থেকে যে সকল বাধা আসে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করার হিম্মত আমরা এর থেকে নিতে পারি।

খ. এ হাদীছ দ্বারা সাহাবায়ে কিরামের ঈমান কত উচ্চ পর্যায়ের ছিল সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

গ. এ হাদীছ দ্বারা সাহাবীগণের একজন অন্যজনকে কেমন সম্মান করতেন এবং অন্যের গুণ ও যোগ্যতার কেমন সমাদর করতেন সে শিক্ষাও পাওয়া যায়। আমাদের উচিত নিজেদের জীবনে এর চর্চা করা।

ঘ. সাথীসঙ্গী ও প্রিয়জনদের কোনও ভুলত্রুটি হলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা এবং সে ব্যাপারে আল্লাহর কাছে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।

ঙ. কাফের-মুশরিকদের ‘আকীদা-বিশ্বাস ও তাদের অন্যায়-অনাচারের সঙ্গে নিজের কোনও সম্পর্ক না থাকার বিষয়টা জনমনে পরিষ্কার করে দেওয়ার শিক্ষাও এর দ্বারা পাওয়া যায়।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন