আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৩০
সূরা মারইয়াম

ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তারা আজ (দুনিয়ায়) কোন উপদেশ শুনছে না এবং কোন নিদর্শন দেখছে না এবং তারা প্রকাশ্য ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। অথচ কিয়ামতের দিন কাফিরেরা কত স্পষ্ট শুনবে ও দেখবে। لَأَرْجُمَنَّكَ আমি অবশ্যই তোমাকে প্রস্তরাঘাতে বিচূর্ণ করে দিব। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এর অর্থ لَأَشْتِمَنَّكَ অবশ্যই আমি তোমাকে গালি দিব। رِئِيْنًا দৃশ্য। ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) বলেন, تَوُزُّهُمْ শয়তান তাদের পাপের দিকে চরম ভাবে প্ররোচিত করছে। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, إِدًّا বক্রতা। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, وِرْدًا তৃষ্ণার্ত। أَثَاثًا মাল। إِدًّا কঠোর বাক্য। رِكْزًا ফিসফিস আওয়াজ। عِتِيَّا অবাধ্য।[১] بُكِيًّا ক্রন্দনকারী একটি দল। صِلِيًّا (প্রবেশ করা)। صَلِيَ يَصْلَى এর মাসদার। نَدِيًّا এবং النَّادِيْ বৈঠক।

[১] আল্লাহ্ তা'আলার বাণী : أَيُّهُمْ أَشَدُّ عَلَى الرَّحْمَٰنِ عِتِيًّا যে দয়াময়ের প্রতি সর্বাধিক অবাধ্য। ১৬ : ৬৯
৪৩৭৫। উমর ইবনে হাফস ইবনে গিয়াস (রাহঃ) ......... আবু সাইদ খুদরি (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, কিয়ামতের দিন মৃত্যুকে একটি ধুসর রঙের মেষের আকৃতিতে আনা হবে। তখন একজন সম্বোধনকারী ডাক দিয়ে বলবেন, হে জান্নাতবাসী! তখন তারা ঘাড় মাথা উঁচু করে দেখতে থাকবে। সম্বোধনকারী বলবেন, তোমরা কি একে চিন? তারা বলবেন হ্যাঁ, এতো মৃত্যু। কেননা প্রত্যেকেই তাকে দেখেছে। তারপর সম্বোধনকারী আবার ডেকে বলবেন, হে জাহান্নামবাসী! জাহান্নামীরা মাথা উঁচু করে দেখতে থাকবে। তখন সম্বোধনকারী বলবে, তোমরা কি একে চিন? তারা বলবে হ্যাঁ, এতো মৃত্যু। কেননা প্রত্যেকেই তাকে দেখেছে। তারপর (সেটি) যবেহ করা হবে। আর ঘোষক বলবেন, হে জান্নাতবাসী! স্থায়ী ভাবে (এখানে) থাক। তোমাদের আর কোন মৃত্যু নেই। আর হে জাহান্নামবাসী! চিরদিন (এখানে) থাক। তোমাদের আর মৃত্যু নেই। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পাঠ করলেন, أَنْذِرْهُمْ يَوْمَ الْحَسْرَةِ إِذْ قُضِيَ الأَمْرُ وَهُمْ فِي غَفْلَةٍ “তাদের সতর্ক করে দাও পরিতাপের দিবস সম্বন্ধে যখন সকল সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে অথচ এখন তারা গাফিল, তারা অসতর্ক দুনিয়াবাসি-অবিশ্বাসী”।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৪৩৭৫ | মুসলিম বাংলা