আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭১৯
আল্লাহ তাআলার বাণীঃ عسى أن يبعثك ربك مقاما محمودا “আশা করা যায় তমার রব তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদে” ।
৪৩৬৪। আলি ইবনে আইয়াশ (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আযান শোনার পর এ দু'আ পড়বে , “হে আল্লাহ! এ পরিপূর্ণ আহবানের এবং প্রতিষ্ঠিত নামাযে এর প্রতিপালক, মুহাম্মাদ(ﷺ) কে ওসীলা ও শ্রেষ্ঠত্ব দান কর। প্রতিষ্ঠিত কর তাকে মাকামে মাহমুদে, যার ওয়াদা তুমি করেছ”। কিয়ামতের দিন তার জন্য আমার শাফাআত অনিবার্য হয়ে যাবে।
এ হাদীসটি হামযা ইবনে আব্দুল্লাহ তার পিতার থেকে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইমাম ইবনুছ্ ছুন্নী রহ. তাঁর লিখিত আমালুল ইয়াওমি ওয়ালস্নাইলা কিতাবের ৯৫ নাম্বারে ইমাম নাসাঈ ও তাঁর উস্তাদ আমর বিন মানছূর-এর মাধ্যমে উপরিউক্ত হাদীসটি হুবহু সনদে বর্ণনা করেছেন। সে হাদীসে آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ বাক্যের পরে وَالدَّرَجَةَ الرَّفِيعَةَ শব্দটি বর্ণিত হয়েছে। উক্ত হাদীসের রাবীগণ সকলে নির্ভরযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও অনেকে وَالدَّرَجَةَ الرَّفِيعَةَ শব্দটিকে শায তথা অপ্রবল এবং কোন লিপিকার থেকে ভুলক্রমে সংযোজিত হয়েছে বলে মনত্মব্য করেছেন। আবার এ হাদীসটি ইমাম বায়হাকী রহ. তাঁর আস সুনানুছ ছগীর কিতাবের ২২৯ নাম্বারেও বর্ণনা করেছেন। সে বর্ণনায় উক্ত দুআর শেষে إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ বাক্যটি বৃদ্ধি করা আছে। বুখারী শরীফের প্রসিদ্ধ চারজন সংকলকের মধ্যে আল্লামা আবুল হাইছাম কুশমিহানী রহ.-এর সংকলনেও বুখারী শরীফের হাদীসে উপরিউক্ত বাক্যটি বৃদ্ধি আছে। কোন কোন ইমাম এটাকেও শায বলেছেন। সুতরাং গ্রহণযোগ্য সূত্রে বর্ণিত উপরিউক্ত দুআটি পড়াই উত্তম হবে।
ফায়দা: আযানের মধ্যে রসূল স.-এর পুতপবিত্র মোবারক নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আযানের জবাবে তাঁর প্রতি দুরূদ পড়ার নিয়ম নেই। এ কারণে মুআজ্জিন আযান শেষে আর শ্রোতাগণ আযানের জবাব দেয়া শেষ করে প্রথমে দুরূদ পড়বে অতঃপর আযানের দুআ পাঠ করবে। হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আছ রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রসূল স. ইরশাদ করেন: إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ، فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ ثُمَّ صَلُّوا عَلَيَّ، তোমরা মুআজ্জিনকে আযান দিতে শুনবে তখন যেভাবে তাঁকে বলতে শুনবে সেভাবে বলবে অতঃপর আমার প্রতি দুরূদ পড়বে। (মুসলিম-৭৩৫, মুসনাদে আহমাদ-৬৫৬৮) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৯৮)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন