আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং: ৪২৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৪০
২৩৮০. আল্লাহর বাণীঃ বল, হে মানুষ! আমি তোমাদের সকলের জন্যে আল্লাহর রাসুল। যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী; তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই, তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান, সুতরাং তোমরা ঈমান আন আল্লাহর প্রতি ও তার বার্তাবাহক উম্মী নবীর প্রতি, যে আল্লাহ ও তার বাণীতে ঈমান আনে এবং তোমরা তার অনুসরণ কর যাতে তোমরা পথ পাও। (৭ঃ ১৫৮)
৪২৮৫। আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবুদ দারদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) এর মধ্যে বিতর্ক হয়েছিল, আবু বকর (রাযিঃ) উমর (রাযিঃ) কে চটিয়ে দিয়েছিলেন, এরপর রাগান্বিত অবস্থায় উমর (রাযিঃ) সেখান থেকে প্রস্থান করলেন, আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে করতে তাঁর পিছু ছুটলেন কিন্তু উমর (রাযিঃ) ক্ষমা করলেন না, বরং তাঁর সম্মুখে দরজা বন্ধ করে দিলেন। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) রাসূল (ﷺ) এর নিকটে আসলেন। আবুদ দারদা (রাযিঃ) বলেন, আমরা তখন রাসূল (ﷺ) এর কাছে ছিলাম, ঘটনা শোনার পর রাসূল (ﷺ) বলেন, তোমাদের এই সাথী আবু বকর (রাযিঃ) অগ্রে কল্যাণ লাভ করেছে। তিনি বলেন, এতে উমর লজ্জাবোধ করলেন এবং সালাম করে নবী (ﷺ) এর পাশে বসে পড়লেন ও ইতিবৃত্ত রাসূল (ﷺ) এর কাছে সব বর্ণনা করলেন।
আবু দারদা (রাযিঃ) বলেন, এতে রাসূল (ﷺ) অসন্তুষ্ট হলেন। সিদ্দিকে আকবর (রাযিঃ) বারবার বলছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি অধিক দোষী ছিলাম। অনন্তর রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমরা আমার জন্য আমার সাথীটাকে রাখবে কি? তোমরা আমার জন্য আমার সাথীটাকে রাখবে কি? এমন একদিন ছিল যখন আমি বলেছিলাম, ‘‘হে লোক সকল! আমি তোমাদের সকলের জন্য রাসূল, তখন তোমরা বলেছিলেন, ‘‘তুমি মিথ্যা বলেছ’’ আর আবু বকর (রাযিঃ) বলেছিল, ‘আপনি সত্য বলেছেন।
ইমাম আবু আব্দুল্লাহ বুখারী (রাহঃ) বলেনغَامَرَ অগ্রে কল্যাণ লাভ করেছে।
আবু দারদা (রাযিঃ) বলেন, এতে রাসূল (ﷺ) অসন্তুষ্ট হলেন। সিদ্দিকে আকবর (রাযিঃ) বারবার বলছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি অধিক দোষী ছিলাম। অনন্তর রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমরা আমার জন্য আমার সাথীটাকে রাখবে কি? তোমরা আমার জন্য আমার সাথীটাকে রাখবে কি? এমন একদিন ছিল যখন আমি বলেছিলাম, ‘‘হে লোক সকল! আমি তোমাদের সকলের জন্য রাসূল, তখন তোমরা বলেছিলেন, ‘‘তুমি মিথ্যা বলেছ’’ আর আবু বকর (রাযিঃ) বলেছিল, ‘আপনি সত্য বলেছেন।
ইমাম আবু আব্দুল্লাহ বুখারী (রাহঃ) বলেনغَامَرَ অগ্রে কল্যাণ লাভ করেছে।
بَاب قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ {قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ يُحْيِي وَيُمِيتُ فَآمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ الَّذِي يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَكَلِمَاتِهِ وَاتَّبِعُوهُ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ}
4640 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ [ص:60] بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَمُوسَى بْنُ هَارُونَ، قَالاَ: حَدَّثَنَا الوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ العَلاَءِ بْنِ زَبْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي بُسْرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو إِدْرِيسَ الخَوْلاَنِيُّ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ، يَقُولُ: كَانَتْ بَيْنَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ مُحَاوَرَةٌ، فَأَغْضَبَ أَبُو بَكْرٍ عُمَرَ فَانْصَرَفَ عَنْهُ عُمَرُ مُغْضَبًا، فَاتَّبَعَهُ أَبُو بَكْرٍ يَسْأَلُهُ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لَهُ، فَلَمْ يَفْعَلْ حَتَّى أَغْلَقَ بَابَهُ فِي وَجْهِهِ، فَأَقْبَلَ أَبُو بَكْرٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ وَنَحْنُ عِنْدَهُ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَّا صَاحِبُكُمْ هَذَا فَقَدْ غَامَرَ» قَالَ: وَنَدِمَ عُمَرُ عَلَى مَا كَانَ مِنْهُ، فَأَقْبَلَ حَتَّى سَلَّمَ وَجَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَصَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الخَبَرَ، قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ: وَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يَقُولُ: وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَأَنَا كُنْتُ أَظْلَمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَلْ أَنْتُمْ تَارِكُونَ لِي صَاحِبِي، هَلْ أَنْتُمْ تَارِكُونَ لِي صَاحِبِي، إِنِّي قُلْتُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا، فَقُلْتُمْ: كَذَبْتَ، وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: صَدَقْتَ " قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: " غَامَرَ: سَبَقَ بِالخَيْرِ "


বর্ণনাকারী: