আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬২৩
২৩৬৫. আল্লাহর বাণীঃ বাহীরা, সাইবা, ওসীলা ও হাম আল্লাহ স্থির করেন নি (৫ঃ ১০১) وَإِذْ قَالَ اللهُ বাক্যে قَالَ اللهُ মানে يَقُوْلُ অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিবসে বলবেন আর إِذْ শব্দটি অতিরিক্ত। الْمَائِدَةُ মূলে مَفْعُوْلَةٌ এর কাঠামোতে مَمْيُوْدَة ছিল, যেমন عِيْشَةٍ رَاضِيَةٍ এর মধ্যে رَاضِيَةٍ অর্থ مَرْضِيَةٌٍ এবং تَطْلِيْقَةٍ بَائِنَةٍ এর মধ্যে بَائِنَةٍ অর্থ مُبَائِنَةٍ, সুতরাং অর্থ হবে مِيْدَ بِهَا صَاحِبُهَا مِنْ خَيْرٍ ‘‘তার মালিক কল্যাণ বিছিয়েছেন’’ যেমন مَادَنِي-يَمِيْدُنِيْ বলা হয়।
ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, مُتَوَفِّيْكَ আমি তোমার মৃত্যু ঘটাব। (৩ঃ ৫৫)
ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, مُتَوَفِّيْكَ আমি তোমার মৃত্যু ঘটাব। (৩ঃ ৫৫)
৪২৬৮। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) বলেছেন,الْبَحِيرَةُ বাহীরা যে জন্তুর স্তন প্রতিমার উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত থাকে কেউ তা দোহন করে না। السَّائِبَةُ সায়িবা, যে জন্তু তারা তার উপাস্যের নামে ছেড়ে দিত এবং তা বহন কার্যে ব্যবহার করে না। তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন যে, রাসূল (ﷺ) বলেছেন যে, আমি আমর ইবনে আমির খুযায়ীকে দোযখের মধ্যে দেখেছি সে তার নাড়িভুঁড়ি টানছে, সে-ই প্রথম ব্যক্তি যে সায়িবা প্রথা প্রথম চালু করে। الْوَصِيلَةُ ওসীলাহ, যে উট প্রথম বারে মাদী বাচ্চা প্রসব করে এবং দ্বিতীয়বারেও মাদী বাচ্চা প্রসব করে, (যেহেতু নর বাচ্চার ব্যবধান ব্যতীত একটা অন্যটার সাথে সংযুক্ত হয়েছে সেহেতু) ঐ উটকে তারা তাদের তাগুতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিত।
الْحَامِ -হাম, নর উট যা দ্বারা কয়েকবার প্রজনন কার্য নেয়া হয়, প্রজনন কার্য সমাপ্ত হলে সেটাকে তারা তাদের প্রতিমার জন্য ছেড়ে দেয়, এবং বোঝা বহন থেকে ওটাকে মুক্তি দেয়। সেটির উপর কিছু বহন করা হয় না। এটাকে তারা ‘হাম’ নামে অভিহিত করত।
আমাকে আবুল ইয়ামান বলেছেন যে, শুয়াইব, ইমাম যুহরী (রাহঃ) থেকে আমাদের অবিহিত করেছেন, যুহরী বলেন, আমি সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব (রাহঃ) থেকে শুনেছি, তিনি তাকে এ ব্যাপারে অবিহিত করেছেন। সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব বলেছেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেছেন, আমি নবী (ﷺ) থেকে এ রকম শুনেছি।
ইবনে হাদ এটা বর্ণনা করেছেন ইবনে শিহাব থেকে। আর তিনি সাঈদ থেকে, তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে যে, আমি নবী (ﷺ) থেকে শুনেছি।
الْحَامِ -হাম, নর উট যা দ্বারা কয়েকবার প্রজনন কার্য নেয়া হয়, প্রজনন কার্য সমাপ্ত হলে সেটাকে তারা তাদের প্রতিমার জন্য ছেড়ে দেয়, এবং বোঝা বহন থেকে ওটাকে মুক্তি দেয়। সেটির উপর কিছু বহন করা হয় না। এটাকে তারা ‘হাম’ নামে অভিহিত করত।
আমাকে আবুল ইয়ামান বলেছেন যে, শুয়াইব, ইমাম যুহরী (রাহঃ) থেকে আমাদের অবিহিত করেছেন, যুহরী বলেন, আমি সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব (রাহঃ) থেকে শুনেছি, তিনি তাকে এ ব্যাপারে অবিহিত করেছেন। সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব বলেছেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেছেন, আমি নবী (ﷺ) থেকে এ রকম শুনেছি।
ইবনে হাদ এটা বর্ণনা করেছেন ইবনে শিহাব থেকে। আর তিনি সাঈদ থেকে, তিনি আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে যে, আমি নবী (ﷺ) থেকে শুনেছি।
