আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৩১
২২৯৪. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীগন চার মাস দশদিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত (২ঃ ২৩৪)
৪১৭৫। ইসহাক (রাহঃ) ......... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا এ আয়াতে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর পরিবারে থেকে ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। আয়াতে উল্লিখতيعفون শব্দের অর্থيهبن দান করে। অনন্তর আল্লাহ তাআলা নাযিল করেনঃوَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا وَصِيَّةً لأَزْوَاجِهِمْ مَتَاعًا إِلَى الْحَوْلِ غَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنْفُسِهِنَّ مِنْ مَعْرُوفٍ ‘‘তোমাদের মধ্যে সপত্নীক অবস্থায় যাদের মৃত্যু আসন্ন তারা যেন তাদের স্ত্রীদের গৃহ হতে বহিস্কার না করে তাদের এক বছরের ভরণ পোষণের ওসীয়ত করে। কিন্তু যদি তারা বের হয়ে যায় তবে বিধিমত নিজেদের জন্য তারা যা করবে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। আল্লাহ পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়। (২: ২৪০)
রাবী বলেন, আল্লাহ তাআলা স্ত্রীর জন্য পূর্ণ বছর সাত মাস এবং বিশ রজনী নির্ধারিত করেছেন ওসীয়ত হিসেবে। সে ইচ্ছা করলে তার ওসীয়তে থাকতে পারে, ইচ্ছা করলে বের হয়েও যেতে পারে। এ কথারই ইঙ্গিত করে আল্লাহর বাণীঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ মোট কথা যেভাবেই হোক স্ত্রীর উপর ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। মুজাহিদ থেকে এরূপই জানা গেছে। কিন্তু ইমাম আতা বলেন যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এই আয়াত স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর বাড়িতে ‘ইদ্দত পালন করার হুকুম রহিত করে দিয়েছে। সুতরাং স্ত্রী যথেচ্ছা ‘ইদ্দত পালন করতে পারে। আল্লাহর এ বাণীর দলীল বলেঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ আতা বলেন, স্ত্রী ইচ্ছা করলে স্বামীর পরিজনের নিকট ‘ইদ্দত পালন করতে পারে এবং তার ওসীয়ত পালন করতে পারে অথবা তথা হতে চলেও যেতে পারে।فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ এর আয়াতের মর্মানুসারে।
আতা (রাহঃ) বলেন, তারপর মিরাস বা উত্তরাধিকারের হুকুমولهن الربع مما تركتم আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হল। সুতরাং ঘর ও বাসস্থানের নির্দেশ রহিত হয়ে যায়। কাজেই যথেচ্ছা স্ত্রী ‘ইদ্দত পালন করতে পারে। আর তার জন্য ঘরের বা বাসস্থানের দাবি অগ্রাহ্য।
মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমার নিকট ওরাকা’ ইবনু আবি নাজীহ থেকে আর তিনি মুজাহিদ থেকে এ সম্পর্কে। এবং আবী নাজীহ আতা থেকে এবং তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এই আয়াত স্ত্রীর ‘ইদ্দত পালন স্বামীর বাড়িতে ইদ্দত পালন করার হুকুম রহিত করে দেয়। সুতরাং স্ত্রী যথেচ্ছা ইদ্দত পালন করতে পারে। আল্লাহর এই বাণীঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ এবং তদনুরূপ আয়াত এর দলীল মুতাবিক।
রাবী বলেন, আল্লাহ তাআলা স্ত্রীর জন্য পূর্ণ বছর সাত মাস এবং বিশ রজনী নির্ধারিত করেছেন ওসীয়ত হিসেবে। সে ইচ্ছা করলে তার ওসীয়তে থাকতে পারে, ইচ্ছা করলে বের হয়েও যেতে পারে। এ কথারই ইঙ্গিত করে আল্লাহর বাণীঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ فَإِنْ خَرَجْنَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ মোট কথা যেভাবেই হোক স্ত্রীর উপর ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব। মুজাহিদ থেকে এরূপই জানা গেছে। কিন্তু ইমাম আতা বলেন যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এই আয়াত স্ত্রীর প্রতি তার স্বামীর বাড়িতে ‘ইদ্দত পালন করার হুকুম রহিত করে দিয়েছে। সুতরাং স্ত্রী যথেচ্ছা ‘ইদ্দত পালন করতে পারে। আল্লাহর এ বাণীর দলীল বলেঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ আতা বলেন, স্ত্রী ইচ্ছা করলে স্বামীর পরিজনের নিকট ‘ইদ্দত পালন করতে পারে এবং তার ওসীয়ত পালন করতে পারে অথবা তথা হতে চলেও যেতে পারে।فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ এর আয়াতের মর্মানুসারে।
আতা (রাহঃ) বলেন, তারপর মিরাস বা উত্তরাধিকারের হুকুমولهن الربع مما تركتم আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হল। সুতরাং ঘর ও বাসস্থানের নির্দেশ রহিত হয়ে যায়। কাজেই যথেচ্ছা স্ত্রী ‘ইদ্দত পালন করতে পারে। আর তার জন্য ঘরের বা বাসস্থানের দাবি অগ্রাহ্য।
মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমার নিকট ওরাকা’ ইবনু আবি নাজীহ থেকে আর তিনি মুজাহিদ থেকে এ সম্পর্কে। এবং আবী নাজীহ আতা থেকে এবং তিনি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এই আয়াত স্ত্রীর ‘ইদ্দত পালন স্বামীর বাড়িতে ইদ্দত পালন করার হুকুম রহিত করে দেয়। সুতরাং স্ত্রী যথেচ্ছা ইদ্দত পালন করতে পারে। আল্লাহর এই বাণীঃغَيْرَ إِخْرَاجٍ এবং তদনুরূপ আয়াত এর দলীল মুতাবিক।


বর্ণনাকারী: