আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
৮. জামাআতে নামায পড়া
হাদীস নং: ২৮৮
৩. ইমামের সঙ্গে নামায পুনরায় পড়া
রেওয়ায়ত ৮. বুসূর ইবনে মিহজন (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন- তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মজলিসে ছিলেন। তখন নামাযের আযান দেওয়া হইল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মজলিস হইতে উঠিলেন এবং নামায পড়িলেন। (নামাযের পর) পুনরায় মজলিসে প্রত্যাবর্তন করিলেন। মিহজন (কিন্তু) তাহার স্থানে বসা রহিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাকে প্রশ্ন করিলেনঃ লোকের সাথে নামায পড়িতে তোমাকে কোন জিনিস বারণ করিল? তুমি কি মুসলিম নও? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (আমি মুসলিম), তবে আমি আমার ঘরে নামায পড়িয়া আসিয়াছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাকে বলিলেনঃ তুমি নামায (ঘরে) পড়িয়া থাকিলেও যখন (মসজিদে) আস তখন পুনরায় লোকের সাথে নামায পড়িবে।
بَاب إِعَادَةِ الصَّلَاةِ مَعَ الْإِمَامِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي الدِّيلِ يُقَالُ لَهُ بُسْرُ بْنُ مِحْجَنٍ عَنْ أَبِيهِ مِحْجَنٍ أَنَّهُ كَانَ فِي مَجْلِسٍ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُذِّنَ بِالصَّلَاةِ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى ثُمَّ رَجَعَ وَمِحْجَنٌ فِي مَجْلِسِهِ لَمْ يُصَلِّ مَعَهُ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَ النَّاسِ أَلَسْتَ بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ فَقَالَ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلَكِنِّي قَدْ صَلَّيْتُ فِي أَهْلِي فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا جِئْتَ فَصَلِّ مَعَ النَّاسِ وَإِنْ كُنْتَ قَدْ صَلَّيْتَ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, কেউ একাকী নামায পড়ার পরে যদি কোন কারণে আবার ঐ নামাযের জামাতে উপস্থিত হয় তাহলে সে তাদের সাথে পুনরায় নামায পড়বে। (শামী: ২/৫৩) অবশ্য কোন্টি ফরয আর কোন্টি নফল হবে সে ব্যাপারে এ হাদীসে কিছু বলা হয়নি। হযরত আবু যর রা. থেকে মুসলিম: ১৩৪০, ১৩৪১ ও ১৩৪২ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত আছে যে, একাকী নামায আদায়ের পরে জামাতে শরিক হলে জামাতের নামাযটি হবে তার জন্য নফল। এ কথা থেকে আরো একটি মাসআলা বের হয় যে, যে সব নামাযের পরে রসূলুলস্নাহ স. নফল পড়তে নিষেধ করেছেন সে সব ফরয নামাযের ক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকর হবে না। অন্যথায় এ আমল উক্ত হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে। সুতরাং ফজর এবং আছরের নামাযে এটা করা যাবে না। কেননা এ দুই নামাযের পরে নফল পড়া নিষেধ। যে সব হাদীসে এ দুই নামাযের পরে জামাতে শরিক হওয়ার নির্দেশ পাওয়া যায় সেগুলো হয়তো ইসলামের প্রথম দিকের ঘটনা যখন ফজর এবং আছরের নামাযের পরে নফল পড়ার নিষেধাজ্ঞা জারী হয়নি। আর মাগরিবের নামাযের পরেও এটা করা যাবে না। কেননা নফল নামায বেজোড় পড়ার আমল প্রমাণিত নয়। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (মারাকিল ফালাহ: ১/২০৭, অধ্যায়: ইদরাকুল ফরীযা)


বর্ণনাকারী: