আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
৮. জামাআতে নামায পড়া
হাদীস নং: ২৮৭
২. ইশা ও ফজর-এর নামায প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৭. আবু বকর ইবনে সুলায়মান ইবনে আবি হাসমা (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) একদিন সুলায়মান ইবনে আবি হাসমাকে ফজরের নামাযে উপস্থিত পান নাই। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বাজারের দিকে গমন করিলেন। আর সুলায়মানের বাসগৃহ বাজার ও মসজিদের মাঝপথে অবস্থিত। তিনি সুলায়মানের জননী শিফা’-এর নিকট গমন করিলেন। তারপর তাহাকে বলিলেনঃ আমি ফজরের নামাযে সুলায়মানকে দেখিলাম না যে? তিনি (উত্তরে) বলিলেনঃ সে রাত্রে জাগ্রত থাকিয়া নামায পড়িয়াছিল, পরে ঘুমাইয়া পড়িয়াছে। (ইহা শুনিয়া) উমর (রাযিঃ) বললেনঃ ফজরের নামাযের জামাআতে হাজির হওয়া আমার নিকট সারারাত (নফল) নামায পড়া হইতে পছন্দনীয়।
আব্দুর রহমান ইবনে আবি আমরা আনসারী (রাহঃ) হইতে বর্ণিত— উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) একবার ইশার নামাযে আসিলেন এবং মসজিদে অল্প মুসল্লী দেখিতে পাইলেন। তারপর তিনি অধিক লোক আসার অপেক্ষায় মসজিদের শেষভাগে শুইলেন। অত:পর তাহার নিকট ইবনে আবি আমরা আসিলেন এবং তাহার কাছে বসিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তুমি কে? তিনি পরিচয় দিলেন। আবার তিনি জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তুমি কি পরিমাণ কুরআন কণ্ঠস্থ করিয়াছ? তিনি তাহা জানাইলেন। তারপর উসমান (রাযিঃ) বলিলেন, যে ব্যক্তি ইশার নামাযে উপস্থিত হয়, সে যেন অধরাত্রি নামায পড়িল, আর যে ফজরের নামায পড়িল সে যেন পূর্ণ রাত্রি নামায় পড়িল।
আব্দুর রহমান ইবনে আবি আমরা আনসারী (রাহঃ) হইতে বর্ণিত— উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) একবার ইশার নামাযে আসিলেন এবং মসজিদে অল্প মুসল্লী দেখিতে পাইলেন। তারপর তিনি অধিক লোক আসার অপেক্ষায় মসজিদের শেষভাগে শুইলেন। অত:পর তাহার নিকট ইবনে আবি আমরা আসিলেন এবং তাহার কাছে বসিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তুমি কে? তিনি পরিচয় দিলেন। আবার তিনি জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তুমি কি পরিমাণ কুরআন কণ্ঠস্থ করিয়াছ? তিনি তাহা জানাইলেন। তারপর উসমান (রাযিঃ) বলিলেন, যে ব্যক্তি ইশার নামাযে উপস্থিত হয়, সে যেন অধরাত্রি নামায পড়িল, আর যে ফজরের নামায পড়িল সে যেন পূর্ণ রাত্রি নামায় পড়িল।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَقَدَ سُلَيْمَانَ بْنَ أَبِي حَثْمَةَ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ وَأَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ غَدَا إِلَى السُّوقِ - وَمَسْكَنُ سُلَيْمَانَ بَيْنَ السُّوقِ وَالْمَسْجِدِ النَّبَوِيِّ - فَمَرَّ عَلَى الشِّفَاءِ أُمِّ سُلَيْمَانَ فَقَالَ لَهَا لَمْ أَرَ سُلَيْمَانَ فِي الصُّبْحِ فَقَالَتْ إِنَّهُ بَاتَ يُصَلِّي فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ . فَقَالَ عُمَرُ لأَنْ أَشْهَدَ صَلاَةَ الصُّبْحِ فِي الْجَمَاعَةِ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ أَقُومَ لَيْلَةً
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ قَالَ جَاءَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى صَلاَةِ الْعِشَاءِ فَرَأَى أَهْلَ الْمَسْجِدِ قَلِيلاً فَاضْطَجَعَ فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُ النَّاسَ أَنْ يَكْثُرُوا فَأَتَاهُ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ فَسَأَلَهُ مَنْ هُوَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ فَأَخْبَرَهُ . فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ مَنْ شَهِدَ الْعِشَاءَ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ لَيْلَةٍ وَمَنْ شَهِدَ الصُّبْحَ فَكَأَنَّمَا قَامَ لَيْلَةً
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ قَالَ جَاءَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى صَلاَةِ الْعِشَاءِ فَرَأَى أَهْلَ الْمَسْجِدِ قَلِيلاً فَاضْطَجَعَ فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُ النَّاسَ أَنْ يَكْثُرُوا فَأَتَاهُ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ فَسَأَلَهُ مَنْ هُوَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ مَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ فَأَخْبَرَهُ . فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ مَنْ شَهِدَ الْعِشَاءَ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ لَيْلَةٍ وَمَنْ شَهِدَ الصُّبْحَ فَكَأَنَّمَا قَامَ لَيْلَةً
